প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন বর্ষীয়ান অভিনেতা প্রবীর মিত্র। অস্টিওপরোসিসে (হাড়ক্ষয়) আক্রান্ত হয়ে চলাফেরার সক্ষমতা হারিয়ে কয়েক বছর ধরে তিনি বাসায় সময় কাটাচ্ছেন। প্রবীর মিত্র বলেন, বাসা থেকে কবে বের হয়েছি মনে করতে পারছি না। আমি এখন আর একা চলাফেরা করতে পারি না। ঘরের মধ্যেই লাঠিতে ভর দিয়ে হাঁটাচলা করতে হয় আমাকে। এখন আর চিকিৎসায়ও কাজ হচ্ছে না। সেগুনবাগিচার বাসায় ছেলে ও ছেলের স্ত্রী তার দেখভাল করছে। মাঝেমধ্যে সহকর্মীদের কেউ কেউ তার খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, সহশিল্পীরা খোঁজখবর নেওয়ার চেষ্টা করলেও নানা ব্যস্ততায় আসতে পারে না। সবাই তো ব্যস্ত। সুবিধা-অসুবিধার ব্যাপার আছে। আমি কোনো অভিযোগ করি না। প্রবীর মিত্র স্কুলজীবনে প্রথমবারের মতো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ডাকঘর নাটকে প্রহরীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। পরবর্তীতে পরিচালক এইচ আকবরের হাত ধরে জলছবি চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে তার অভিষেক হয়। প্রায় চার দশকের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিতাস একটি নদীর নাম, দুই পয়সার আলতা, বড় ভালো লোক ছিল, বেদের মেয়ে জোসনাসহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। সর্বশেষ এসডি রুবেলের পরিচালনায় বৃদ্ধাশ্রম নামে একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি। সিনেমাটি এখনও মুক্তি পায়নি। বয়সের ভারে ন্যুব্জ এ অভিনয় শিল্পী আর কখনও ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন না। চলচ্চিত্র ছেড়ে দিলেও চলচ্চিত্র এখনও তাকে ছাড়েনি; এখনও অবসরে এফডিসির সোনালী দিনের স্মৃতি রোমন্থন করেন। দীর্ঘ অভিনয় জীবনে প্রবীর মিত্র ১৯৮২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত মোহাম্মদ মহিউদ্দিন পরিচালিত 'বড় ভালো লোক ছিলো' চলচ্চিত্রে অভিনয়ে জন্য পার্শ্ব অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এবার পেলেন ২০১৮ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা। প্রবীর মিত্র বলেন, দেরিতে হলেও এ পুরস্কার পেয়ে ভালোই লাগছে। তারপরও কোনো আক্ষেপ কিংবা কোনো দুঃখ নেই। আমার দর্শকরা খুশি হয়েছে। এটাই বড় কথা। উল্লেখ্য, ১৯৪০ সালে চাঁদপুরে জন্ম নেওয়া প্রবীর মিত্রের শৈশব কেটেছে পুরান ঢাকায়। পড়াশোনা করেন সেন্ট গ্রেগরি হাইস্কুল ও জগন্নাথ কলেজে (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়)। তার তিন ছেলে, এক মেয়ে। স্ত্রী অজন্তা মিত্রকে ২০০০ সালে হারানোর পর ২০১২ সালে তার ছোট ছেলে আকাশও মৃত্যুবরণ করেন। এখন বাসায় তিনি নিভৃতে সময় কাটান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।