Inqilab Logo

সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮ আশ্বিন ১৪৩১, ১৯ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

এক যুগেও হয়নি টেকসই বেড়িবাঁধ

মিজানুর রহমান বুলেট, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

দুই মন্ত্রনালয়ের চিঠি চালাচালি পর্যন্তই থমকে আছে লাল্য়ুা ইউনিয়নের বেড়িবাঁধের কাজ। বিধ্বস্ত হওয়ার ১২ বছরেও হচ্ছে না টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে ওই ইউনিয়নের দশ গ্রামের প্রায় দশ হাজার মানুষ।
কলাপাড়া পাউবো সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় সিডরের সময় লালুয়া ইউনিয়নের ৪৭/৫ পোল্ডারের সাত কিলোমিটার বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হয়। পরে ২০১১-১২ অর্থ বছরে জরুরি সাইক্লোন রিওরিয়োশেন প্রজেক্টের (ইসিআরপি) আওতায় বাঁধটি নির্মাণ করা হয়। তবে রাবনাবাদ নদীর করাল গ্রাসে পুরো বাঁধটিই ধীরে ধীরে ভেঙে বিলীন হয়ে যায়। শেষ ২০১৫ সালে এমারজেন্সি বাঁধ নির্মাণ করে পাউবো। তাও টেকসই না হওয়ায় আবারও ভেঙে যায় বাঁধটি। তবে এ বেড়িবাঁধটি নির্মাণের ব্যাপারে নৌ পরিবহন ও পানি সম্পদ মন্ত্রনালয়ের মধ্যে কয়েকবার চিঠি চালাচালি হয়েছে। এখন পর্যন্ত কোন ফলপ্রসূ হয়নি।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, জোয়ারের পানির উচ্চতা বাড়লেই প্রতিনিয়নত ভাঙা বেড়িবাঁধ দিয়ে পানি প্রবেশ করে তলিয়ে যায় গ্রামের পর গ্রাম। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের প্রভাবে দু’দফা জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে এ ইউনিয়নের ১০টি গ্রাম। অস্বাভাবিক জোয়ারের চাপে সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এখানকার মানুষের। ভেঙে গেছে বেশ কিছু বাড়ি-ঘর। প্রলংকারী সিড়রের পরে যে কয়টি ঘূর্নিঝড় হয়েছে প্রত্যেক বারই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এ এলাকার মানুষ। বর্তমানে নতুন কোন ঘূর্নিঝড়েরর শংকায় দিনাতিপাত করছে তারা। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভয়াবহ অবস্থা চলতে থাকলেও বেড়িবাঁধ করার উদ্যোগ নিচ্ছেনা কেউ। লালুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বিশ্বাস বলেন, পানি সম্পদ ও নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয়ের রশি টানাটানিতে বাঁধটি হচ্ছে না। বন্যানিয়ন্ত্রন বাঁধ না থাকায় জোয়ারের পানি উঠছে আর নামছে। যার কারণে মানুষের ক্ষতির পরিমানটাও দিন দিন বাড়ছে। দ্রæত বাঁধটা নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি।
কলাপাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী খান মোহাম্মদ ওলিউজ্জামান জানান, ক্ষতিগ্রস্থ বেড়িবাঁধ এলাকায় অধিগগ্রহনকৃত পানি উন্নয়ন বোর্ডের সবজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। সাধারন মানুষের যে জমি আছে সেগুলো পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ অধিগ্রহন করেছে। তাই বাঁধ নির্মানে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না।
পায়রা বন্দর চেয়ারম্যান কমডোর জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি অধিগ্রহনের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে এখনও পানি উন্নয়ন বোর্ড জমি বুঝিয়ে দেয়নি। তবে জমি অধিগ্রহনের ব্যাপারে দুই মন্ত্রনালয়ের মধ্যে প্রসেসিং চলছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ