Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভূঞাপুরে বাদাম চাষে ব্যস্ত কৃষক

আলীম আকন্দ, ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৬ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার চরাঞ্চলে বাদাম চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কৃষকরা। যমুনার চরাঞ্চল থেকে স¤প্রতি বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় চরাঞ্চলে চারদিকে জেগে উঠেছে বালুচর। এ অঞ্চলে বর্তমানে কৃষকরা পরিবারের লোকজন নিয়ে বাদাম বীজ বপনে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। উপজেলার গাবসারা, রেহাইগাবসারা, রুলীপাড়া, বেলটিয়াপাড়া, জুঙ্গীপুর, সরইপাড়া, বলরামপুর, কুঠিবয়ড়া, বাসুদেবকোল, গোবিন্দপুর, নলছিয়া, চিতুলিয়াপাড়া, রামপুর ও কালিপুরসহ প্রায় অর্ধশত গ্রামের কৃষকরা এলাকায় বাদাম চাষ করছে। যমুনা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকার মানুষ তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে বাদাম বীজ বপন করা শুরু করছে।

সরেজমিনে চরাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বাদাম চাষের জন্য কৃষকরা জমি প্রস্তুত করছে, কেউ বাদামের বীজ বপন করছে, কেউ লাঙল টানছে আবার অনেক চাষিরা বীজ বপন করা জমি পরিচর্যা করছে। অন্যদিকে, চরাঞ্চলের গ্রামীণ নারীরাও বাদাম চাষে বিশেষ ভূমিকা রাখছে, বাড়ির কাজের পাশাপাশি ছেলেদের সাথে মেয়েরাও সহযোগীতা করছে।

চাষি মো. আলম মিয়া বলেন, বিগত বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পুরোদমে বাদাম বীজ বপন ও ক্ষেতের পরিচর্যা শুরু করছি। অল্প খরচ, কম সময় বাদাম চাষে অধিক লাভবান হওয়া যায়। বাদাম চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় প্রায় ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা এবং বিঘা প্রতি ফলন পাওয়া যায় প্রায় ৭ থেকে ৮ মণ। হাট বাজারে বাদামের ভালো চাহিদা থাকায় খরচ বাদে বিঘা প্রতি লাভ হয় প্রায় ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা।
মোসা. কোহিনুর বেগম বলেন, গত বছর আমি ৩ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করে ভালো ফলন এবং বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় এ বছর প্রায় ৭ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছি। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে এবারও ভালো ফলন হবে বলে আশা করছি।

উপজেলা কৃষি স¤প্রসারণ কর্মকর্তা এস.এম রাশেদুল হাসান বলেন, ইতোমধ্যে যমুনার চরাঞ্চলে বাদাম চাষ শুরু হয়েছে। অনেক চরগুলোতে বাদামের চারাও গুজিয়েছে। বাদাম চাষি কৃষকদের সহযোগীতা করার জন্য কৃষক পরিবারের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। সরকারের বরাদ্দকৃত প্রণোদনা পেলে দ্রুত সময়ে কৃষকদের মাঝে তা বিতরন করা হবে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. জিয়াউর রহমান বলেন, সুস্বাদু, মুখোরচক ও ভিটামিন সমৃদ্ধ এই ফসল একদিকে যেমন খাদ্যে যোগান দিয়ে থাকে তেমনি তেলের চাহিদা পূরণ করে। বাদাম ক্ষেত থেকে কচি পাতা কেটে কৃষকরা তাদের গরু ছাগলের খাওয়ান যোগায়। এতে গরু ছাগল তাড়াতাড়ি মোটাতাজা হয়। তাছাড়া অন্য ফসলের মতো বাদামের জমিতে সার ও কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয় না। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে বিগত বছরগুলোর চেয়ে এ বছর বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ