‘একটা ঘটনা ঘটলে দেখা যায় এর পুনরাবৃত্তি ঘটে। সেটা কেন হয়, ভেবে দেখতে হবে। ট্রেন দুর্ঘটনার পেছনে অন্য কোনো দুরভিসন্ধি বা চক্রান্ত আছে কি না, তা তদন্ত করা হবে এবং যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে একথা বলেন সরকার প্রধান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেখানে চালক কুয়াশার কারণে সিগন্যাল দেখতে পাননি।
এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আহতদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সরকার ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে আছে। এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনার পর পরই রংপুর এক্সপ্রেস দুর্ঘটনা কবলিত হয়েছে। তবে আশার খবর হচ্ছে এতে কেউ নিহত হননি। কয়েকজন আহত হয়েছেন। শীত এলে ট্রেন দুর্ঘটনা বেড়ে যায়, এ বিষয়ে কী করা যায় সরকার তা দেখবে।’
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘
বিএনপি রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দিতে চেয়েছিল। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে রেল সম্প্রসারিত করছে। পুরোনো রেল লাইনগুলো মেরামত করা হচ্ছে। নতুন লাইন করা হচ্ছে।’
এর আগে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ তার বক্তব্যে রেল দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলেন, যেখানে সাধারণ ট্রেন চালানো যাচ্ছে না, সেখানে পাতাল রেল, মেট্রোরেল কীভাবে চলবে?
এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ট্রেনের একটা দুটা দুর্ঘটনা হয়েছে, সে জন্য ট্রেন বন্ধ করে দিতে হবে? গাড়িতেও দুর্ঘটনা হয় সে জন্য কী গাড়ি বন্ধ করে দিতে হবে? তাহলে বিরোধীদলীয় নেতা কি গাড়িতে চড়া বন্ধ করে দেবেন? প্রধানমন্ত্রী বলেন, মাথা ব্যথার কারণে মাথা কেটে ফেলা যাবে না। দুর্ঘটনা রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’