বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মাহমুদুল হাসান নামে এক রোহিঙ্গা ডাকাত নিহত হয়েছে। সে নয়াপাড়া শরণার্থী মৌচনী ক্যাম্পের এইচ ব্লকের বাকার আহমেদের ছেলে। সে শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডাকাত সর্দার জকিরের ডান হাত। বুধবার (১৩ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে একটি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন, ১৮ রাউন্ড পিস্তলের গুলি, তিনটি এলজি, ১৩ রাউন্ড শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১৫ রাউন্ড কার্তুজের খালি খোসা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। তারা হলেন, কনস্টেবল মিঠুন জয়, শাহীন ও হাবিব।
পুলিশ সূত্র জানায়, অস্ত্র মামলার পলাতক আসামি মাহমুদুল হাসান টেকনাফের শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পশ্চিম পাশে পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে, এমন খবর পায় পুলিশ। পরে কক্সবাজার (সদর) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ানের নেতৃত্বে মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ওসি (তদন্ত) এবিএমএস দোহা ও নয়াপাড়া মোচনী ক্যাম্পের পুলিশ ফাঁড়ি ইনচার্জ পরিদর্শক মো. মনিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযানে যায়। পুলিশ দেখা মাত্র ডাকাত দলের সদস্যরা গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
পরবর্তীতে ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে গেলে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মাহমুদুল হাসানকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাকে উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। সেখানে নেয়া হলে চিকিৎসক হাসানকে মৃত ঘোষণা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।