Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রূপগঞ্জে গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতন : গ্রেফতার ২

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের চারিতালুক এলাকায় চুরির অপবাদ দিয়ে মৎস্য ও সবজি চাষী মজনু চৌধুরীসহ দুই জনকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পাশবিক নির্যাতনের ঘটনায় নুরুল ইসলাম ও মনির হোসেন নামে দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মমতাজ বেগম ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সরেজমিনে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে ওই দুই জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত ওই দুইজন চারিতালুক এলাকার মৃত লস্কর আলী প্রধানের ছেলে।

এদিকে, চাষ করা তিনটি পুকুর দখলমুক্ত করে নির্যাতিত মজনু চৌধুরীকে বুঝিয়ে দেয় প্রশাসন। অভিযানকালে আরো উপস্থিত ছিলেন রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমদাদ হোসেন, ভোলাব তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর সফিকুল ইসলাম, ভোলাব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন টিটুসহ আরো অনেকে।

রূপগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এমদাদ হোসেন জানান, এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত বাকিদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া মৎস্য ও সবজি চাষী মজনু চৌধুরী বাদী হয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

জানা যায়, চারিতালুক এলাকায় মিজানুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রিত হয়ে কেয়ারটেকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন মজনু চৌধুরী নামের এক মৎস্য ও সবজি চাষী। বাড়ির মালিক মিজানুর রহমান ও স্ত্রী মেহেরুন্নেছা মারা যাওয়ার পর থেকেই ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে মাহাবুর, মোহাম্মদ মিয়ার ছেলে আকবর মিয়া, আইয়ুব মিয়া, ইয়ানুছ মিয়ার ছেলে মাজাহারুল ও নাজমুলসহ তাদের নিয়োজিত সন্ত্রাসী বাহিনী বাড়িঘর জবরদখল করতে মজনু চৌধুরীকে নানাভাবে হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে আসছে।

মজনু চৌধুরী অভিযোগ করে জানান, মজনু মিয়া বিভিন্ন এনজিও থেকে ঋণ গ্রহণ করে ৩টি পুুকুর বর্গা নিয়ে মৎস্য চাষ করে আসছেন। এসব পুকুরে রুই, কাতলা, মির্কা, ব্রিগেট, গ্রাস কার্পসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করেছেন। পুকুরের চারপাশে লাউসহ বিভিন্ন সবজি চাষ করেন তিনি। গত ৩ মাস পূর্বে উল্লেখিত সন্ত্রাসীরা এক বিঘার একটি পুকুর জবরদখল করে নিয়ে যায়। বাকি দুইটি পুকুরের মাছ জোরপূর্বক ধরে বিক্রি করে দেয়।

পুকুর পাড়ে চাষ করা লাউসহ সবজি গাছ কেটে ফেলে। পুকুরে গেলেই মজনু চৌধুরীকে হত্যা ও হামলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। গত মাসে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা ফজরের নামাজরত অবস্থায় মসজিদ থেকে ডেকে নিয়ে মোশারফ হোসেন নামের এক যুবকের সঙ্গে মজনু চৌধুরীকে চুরির অপবাদ দিয়ে নারিকেল গাছের সঙ্গে বেঁধে পাশবিক নির্যাতন চালায়। পরে দীর্ঘ এক মাস ঢাকা সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসে প্রশাসনের কাছে অভিযোগ করেন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ