রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
আলু রোপনের মৌসুম সামনে রেখে সিরাজদিখান উপজেলায় লাঙ্গল বিক্রির ধুম পড়েছে। সিরাজদিখান বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন লাঙ্গল কেনাকাাঁ চলছে অন্য সময়ের তুলনায় অনেক।
জানা যায়, বর্ষা মৌসুম শেষ হতে না হতেই আলু রোপন মৌসুমের সামনে কৃষকরা প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি কেনাকাাঁ করছেন। জমি প্রস্তুত করার লক্ষ্যে লাঙ্গল কেনাকাাঁর ধুম পড়েছে বলে জানান লাঙ্গল বিক্রেতারা।
জানা যায়, উপজেলার কয়েকটি গ্রামে লাঙ্গল তৈরি করা হয়ে থাকে। আর লাঙ্গল তৈরিতে ব্যস্ত সময় কাাঁচ্ছেন কারিগররা।
লাঙ্গলের কারিগররা বলেন, ৩টি জিনিস দিয়ে তৈরি হয় লাঙ্গল। এর মধ্যে ইস, নাঙ্গল, ফাল দিয়ে তৈরি হয় পূর্নাঙ্গ একটি লাঙ্গল। এটি তৈরির অন্যতম একটি উপকরণ হচ্ছে কাঠ। কাঠের গুনগত মানের ব্যবধানের কারণে একেকটি লাঙ্গলের দাম একেক রকম হয়ে থাকে। সারেন্দ্র ও গাত ২ধরনের লাঙ্গল বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ২০০ থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।
কৃষক সোরহাব বলেন, ১০ থেকে ১৫ দিন পর আলু রোপন শুরু হবে। তাই জমি প্রস্তুত করার জন্য উপকরণ হিসেবে লাঙ্গলসহ আনুষাঙ্গিক যন্ত্রপাতি কিনে নিচ্ছি। তবে গত বছরের তুলনায় এ বছর লাঙ্গলের দাম একটু বেশি। ১ হাজার ৩০০ টাকা দিয়ে একটি লাঙ্গল কিনেছি।
লাঙ্গল বিক্রেতা শান্তি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আলুর মৌসুমে সিরাজদিখান বাজারে লাঙ্গল বিক্রি করে থাকি। ক্রেতা নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী এ লাঙ্গল কিনে থাকেন। লাঙ্গল তৈরিতে লোহা ও বরই কাঠ বেশি ব্যবহৃত হয়। ১টি লাঙ্গল তৈরি করতে ১ হাজার ২০০ টাকা থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকা খরচ হয়ে থাকে।
বিক্রেতা মহাদেব বলেন, আলু রোপন মৌসুম এলেই সিরাজদিখান বাজারে লাঙ্গল বিক্রির ধুম পড়ে। কৃষকরা বর্ষা মৌসুম শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে লাঙ্গল কেনাকাাঁ শুরু করে থাকেন। কৃষকদের চাহিদার কথা ভেবে বছরের এ সময়ে লাঙ্গল তৈরি করে থাকেন কারিগররা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।