বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রূপগঞ্জে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে ভুয়া দাতা বানিয়ে জমি বিক্রি করেছে প্রতারকচক্র। দলিল লেখকসহ রেজিস্ট্রি অফিসের কর্মকর্তারা এ চক্রের সাথে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে বাদীকে হুমকি দিচ্ছে।
ভুক্তভোগী মো. বেলাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, ২০০৯ সালে মো. আফজাল হোসেন গংদের পক্ষে নিযুক্তীয় আমমোক্তার দলিল লেখক নজরুলের স্ত্রী নাছরিনের কাছ থেকে রূপগঞ্জের জাঙ্গীর মৌজায় ৬৯.৫০ শতাংশ জমি ৩১ লাখ ৫৩ হাজার টাকায় কিনে নিজের স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিনের নামে রেজিস্ট্রিকৃত বায়না দলিল করেন। পৃথক দলিলে শুকুর মোহাম্মদ ও মো. নাসির উদ্দীন ভূঁইয়ার পক্ষে নিযুক্ত আমমোক্তার নাছরিন ও মো. শাহনেওয়াজের কাছ থেকে ভিংরাব মৌজায় ৫৫ শতাংশ জমি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যে ফরিদা ইয়াসমিনের নামে রেজিস্ট্রিকৃত বায়না দলিল করেন।
জমির দুই মধ্যস্থতাকারী মো. শাখাওয়াত হোসেন মাস্টার ও দলিল লেখক মো. নজরুল ইসলামের মাধ্যমে তিন কিস্তিতে পুরো টাকা বুঝিয়ে দেন। টাকা পেয়ে দলিল লেখক নজরুলের স্ত্রী নাছরিন ও তাদের লোকেরা এবং ফরিদা ইয়াসমিনের নামে সাফ কবলা দলিল রেজিস্ট্রি দিতে তালবাহানা শুরু করেন। বেলাল হোসেন ভূঁইয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, অন্য কোনো মহিলাকে ফরিদা ইয়াসমিন সাজিয়ে সম্পাদিত বায়না রেজিস্ট্রি দু’টি বাতিল করে নাছরিন ও মো. শাহনেওয়াজকে পুনরায় ভুয়া আমমোক্তার নিযুক্ত করে ফরিদা ইয়াসমিনের নামে বায়নাকৃত জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়।
আসামি ও দলিল লেখক মো. নজরুল ইসলাম প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, জমিটি নিয়ে সমস্যা আছে। শাখাওয়াত হোসেন মাস্টার সব কিছু জানেন।
আরেক আসামি জমির দালাল মো. শাখাওয়াত হোসেন মাস্টার জয়নাল জানান, থানা থেকে মামলা সমাধান করা হয়েছে। মামলা দিয়ে মানহানি করার জন্য আমি বেলাল হোসেন ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে মামলা করব। রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহামুদ হাসান বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুই আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মামলা তদন্ত করে রিপোর্ট আদালতে পাঠানো হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।