বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসনের দুর্নীতি ও নানা অনিয়মে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে অপসারণের দাবিতে ৯ম দিনের মত মানববন্ধন করেছে সরকারদলীয় শিক্ষকদের একাংশ। ‘দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষক সমাজ’ এর ব্যানারে গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টায় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনের সামনে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
মানববন্ধনে পরিবেশ বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক ও ভূতত্ব খনিবিদ্যা বিভাগের সভাপতি ড. মো. সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় এখন দুর্নীতির অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে। এখানে চলছে স্বৈরাচার, অন্যায়-অনিয়ম, নিয়োগ বাণিজ্য। অথচ যারা এ অনিয়মের সাথে জড়িত তারাই মুখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কথা বলে বেড়াচ্ছে। নিয়োগ বাণিজ্যর ফোনালাপ প্রকাশ পেল, অথচ কোন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি বর্তমান প্রশাসন। এমনকি তদন্ত কমিটি গঠন করাও প্রয়োজন মনে করেন নি। এতেই প্রতীয়মান হয় যে, সে টাকায় বর্তমান ভিসি অংশীদার রয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স’ নীতি প্রনয়ণ করে সারা দেশে সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছেন। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন দলীয় নেমপ্লেট ব্যবহার করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বেপরোয়া অনিয়ম ও দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছে। সেগুলো তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ বলেন, রাবি শিক্ষক নিয়োগের যে নীতিমালা ছিল সেটা অন্য বিশ^বিদ্যালয়গুলো অনুসরণ করত কিন্তু নীতিমালা পরিবর্তন করে ৬৭তম হয়েও ভিসির জামাতা নিয়োগের মাধ্যমে ব্যক্তিগত লাভবান হলেও বিশ^বিদ্যালয়কে কলঙ্কিত করেছে। এদিকে জাহাঙ্গীর নগর বিশ^দ্যিালয়ে শিক্ষকদের উপর হামলার ঘটনায় এদিন শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে মৌন প্রতিবাদ করেন অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহা. ফরিদ উদ্দিন খান। জাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে সেখানে তিনি ঘন্টাব্যাপী অবস্থান করেন।
ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সৈয়দ মুহাম্মদ আলী রেজার সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অংশ নেন, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক এস এম এক্রাম উল্যাহ, কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সাবেক প্রশাসক ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা এবং ভূগোল ও পরিবেশবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান, সাবেক প্রক্টর ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মজিবুল হক আজাদ খান প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।