রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
মাদারীপুর সদর উপজেলার গাছবাড়িয়া কওমি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীর টাকা হারিয়ে যাওয়ার অজুহাতে দ্বিতীয় শ্রেনীর ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। নিহত আসিফ মাদারীপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের শ্রীনাথদি গ্রামের আনোয়ার মাতুব্বরের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দুই দিন আগে আসিফকে মাদারীপুর সদর উপজেলা গাছবাড়িয়া কওমি মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলির টাকা হারিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বেদম মারধর করে। এই ঘটনায় দ্বিতীয় দফায় গত বুধবার আবারও মারধর করে দ্বিতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী আসিফ মাতুব্বরকে। এতে আফিস গুরুতর আহত হয়। পরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে আনলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় হাসপাতাল থেকে পুলিশ গাছবাড়িয়ার কওমি মাদরাসার আবুল বাসার নামে এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।
এ ব্যাপারে নিহত আসিফের বাবা আনোয়ার মাতুব্বর বলেন, ‘দুই দিন আগে আসিফকে টাকা হারিয়ে যাওয়ার কথা বলে মারধর করে। পরে গুরুতর অসুস্থ্য অবস্থায় বাড়ি চলে যায়। গত মঙ্গলবার সকালে আবার আফিসকে ছাত্রকে মাদরাসায় নিয়ে আসে। গত বুধবার সকালে আসিফকে দ্বিতীয় দফায় মারধর করে মাদরাসার শিক্ষক ইউসুফ আলি। বিকালে আমাদের কাছে ফোনে জানানো হয় আসিফ অসুস্থ তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরে এসে দেখি আমার ছেলে মারা গেছে।’
নিহত আসিফের চাচি রোকেয়া বেগম জানান, ‘আসিফ দ্বিতিয় শ্রেনির ছাত্র এবং সে মাদরাসায় থাকতো। গত বুধবার সকালে মাদরাসার শিক্ষক ইউসুফ আলী আসিফকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আবুল বাশার নামের অপর এক শিক্ষক আসিফকে মাদারীপুর সদর হাসপাতলে নিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে আসিফ মারা যায়।’
মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার অখিল সরকার জানান, গত বুধবার বিকালে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করা হয়। এখনো কি কারণে মারা গেছে, তা ময়নাতদন্ত করে বলা যাবে।’
এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর মডেল থানার ওসি সওগাতুল আলম জানান, গাছবাড়িয়া কওমি মাদরাসার আসিব নামের দ্বিতীয় শ্রেনীর আবাসিক এক ছাত্রকে মারধর করায় আহতাবস্থায় তাকে বুধবার দুপুর তিন টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং বিকালে সে মারা যায়। হাসপাতাল থেকে এই ঘটনায় আবুল বাশার নামের এক শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।’
তবে এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক ইউসুফ আলীকে পাওয়া যায়নি। মাদরাসার অন্য শিক্ষকরা ধারণা করছেন, তিনি এই ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।