প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
এদেশের সঙ্গীত জগতে শৈশবেই বেশ আলোচিত হয়েছিলেন সঙ্গীতশিল্পী লিসা কালাম। ১৯৯১ সালে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গাওয়া তার গান ‘এ লাশ ঢাকা আসবেই’ ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। তখন থেকেই লিসা সঙ্গীতজগতে তারকা খ্যাতি লাভ করেন। তার প্রথম অ্যালবাম ‘এ লাশ ঢাকা আসবেই’ শ্রোতামহলে আলোচিত হওয়ার পাশাপাশি বোদ্ধামহলেও প্রশংসিত হয়। ‘এ লাশ ঢাকা আসবেই’ গানটিরর সুরকার ছিলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক দেবু ভটাচার্য্য। লিসা ছোটবেলা থেকেই গান শুরু করেন। গান শেখেন ওস্তাদ রাম হরি মল্লিক, দেবু ভটাচার্য্য, সুবল দাস, ওস্তাদ জাকির হোসেন, ইয়াকুব আলী খান, খন্দকার নুরুল আলম, সনজীব দে’র কাছে। লিসার গানের অনুপ্রেরণা শাহনাজ রহমতুল্লাহ এবং নিয়াজ মাহমুদ চৌধুরী। বলা যায়, গানের ভিত্তি শক্ত করেই তিনি সঙ্গীত জগতে প্রবেশ করেন। সময়ের সাথে সাথে লিসা একজন পরিণত সঙ্গীতশিল্পী হয়ে ওঠেন। শিশু শিল্পী হিসেবে আলোচিত অ্যালবাম প্রকাশের পর ’৯৮ সালে প্রকাশিতহয় তার আধুনিক গানের অ্যালবাম ‘ইশারায় ডেকোনা’। এটি প্রকাশ করে সাউন্ডটেক। তবে তাকে সবচেয়ে বেশি আলোচিত করে ২০০০ সালে সঙ্গীতা থেকে প্রকাশিত ‘কানাই’ আ্যলবামটি। এরপর একই কো¤পানি থেকে বের হয় প্রণব ঘোষের সুরে ‘কবুল’ অ্যালবামটি। সেই সময় সঙ্গীত জগতে লিসা কালাম তুমুল জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। তারপর হঠাৎ করেই যেন গানে অনিয়মিত হয়ে পড়েন। সর্বশেষ ২০১০ সালে বিটিভিতে তার একটি একক গানের অনুষ্ঠান হয়েছিল। ওটাই ছিল তার সর্বশেষ অনুষ্ঠান। সঙ্গীতে অনিয়মিত হয়ে পড়া প্রসঙ্গে লিসা কালাম বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে গানের চেয়ে সংসার করা জরুরি। এই মনে হওয়অ থেকেই সংসার করা নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি। সন্তানদের সময় দিয়েছি। এখন মনে হয় নিজেকে একটু সময় দেয়া দরকার। এই মনে হওয়া থেকেই নতুন করে গানে ফিরতে চাচ্ছি। কিছুদিন আগে জি সিরিজ থেকে একটি গান প্রকাশিত হয়েছে। আরো তিনটি গান আসার অপেক্ষায় রয়েছে। গানগুলোর রেকর্ডিং হয়ে গেছে। এখন শুধু ভিডিও করা বাকি। তারপরই একটার পর একটা গান প্রকাশিত হবে। তিনি জানান, ‘কানাই’ শিরোনামে যে গানটি আমার সেসময় অনেক জনপ্রিয়তা পেয়েছিল, সেই গানটি আবার কাভার করছি। এ গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন শেখ ওয়াহেদ। সঙ্গীতায়োজন করেছেন শহীদ মাহমুদ। এছাড়া নুরুজ্জামান শেখ ও আহমেদ ইউসুফ সাবেরের লেখা দুটি গান প্রকাশ করব। প্রায় এক দশক পর সঙ্গীতাঙ্গণে ফিরে কেমন লাগছে এমন প্রশ্নের জবাবে লিসা বলেন, ভালো লাগছে। তবে অনেক পরিবর্তন হয়ে গেছে। , এখন অনেক নতুন শিল্পীরা গাইছে। তারা হয়তো আমাকে চেনেনা বা আমিও অনেককে চিনিনা। তবে সুখের বিষয় হচ্ছে, আমি যখন শুনি বিভিন্ন লাইভ অনুষ্ঠানে তারা আমার গান গাইছে, তখন খুব ভাল লাগে। এ সময়ে সবচেয়ে বড় যে পরিবর্তন তা হচ্ছে ইউটিউব। তবে আমার এ বিষয়টি ভাল লাগে না। এখানে সবকিছু ভিউজ-এর উপর নির্ভর করে। এতে খুব ভালো ভালো গানও চাপা পড়ে যায়। ক্যাসেট, সিডির সময় আমরা যে ফিলিংসটা পেতাম, আমার মনে হয়না এখনকার শিল্পীরা সেই ফিলিংস কোনদিন পাবে। তারপরও যুগের সাথে তো চলতে হবে। গানটাতো আসলে শোনার বিষয়। এখন তা দেখারও বিষয় হয়ে যাচ্ছে বেশি। আমি মানি দেখারও বিষয় আছে, তবে তা যেন বাঙ্গালি সংস্কৃতিকে ছেড়ে না যায়। লিসা বলেন, আমার গানে ফেরার আরেকটা কারণ হচ্ছে, আমার বাবা-মা। তাঁরা খুব চান আমি যেন গানটা সারাজীবন গেয়ে যাই। উল্লেখ্য, লিসা কালাম ‘৯৭-’৯৮ সালে বিটিভি এবং বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।