বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগ নেতা মিজানুর রহমান লালনকে প্রাণনাশের ও তার পরিবারকে হুমকি দানের ঘটনায় লালনের ভগ্নীপতি শহিদুল ইসলামের করা জিআর মামলায় জামিন লাভ করেছেন ইবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ এবং সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব। মোকাম মেহেরপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতে তারা জামিন লাভ করেন। তারা উভয়ে উক্ত আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত ন্যায়বিচারের স্বার্থে জামিনে মুক্তি দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়া অন্য আরেক আসামী হলেন গাংনীর বেদবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা মোঃ অনিক।
এর আগে গত রবিবার (৩ নভেম্বর) উক্ত মামলায় আটক থাকা ৪ আসামীকে একই আদালতে হাজির করা হয়। তারা আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরও জামিনে মুক্তি দেন। জামিনে মুক্তি পাওয়া এসব আসামীরা হলেন, মামলার প্রধান আসামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি সেলের কর্মচারী ইলিয়াস জোয়ার্দার, ক্যাম্পাস পাশ্ববর্তী শেখপাড়া গ্রামের বাসিন্দা উজ্জ্বল জোয়ার্দার, গাংনীর বেদবাড়ীয়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ হোসেন ও শৈলকূপার চরপাড়া গ্রামের ওবায়দুর রহমান।
ইবি শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে, ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান লালন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমানের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় আন্দোলন করে আসছে। ড. মাহবুবের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় মামলার এজাহারে থাকা আসামিগণ দীর্ঘদিন লালনকে হুমকি দিয়ে আসছেন। সেই সূত্র ধরে গত শুক্রবার (১ নভেম্বর) আসামীরা লালনের বাড়ি গিয়ে লালনকে খুঁজতে থাকে। লালনকে না পেয়ে তার পরিবারের সদস্যদের হুমকি প্রদান করে। ফলে ক্যাম্পাসে দুই দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক আটকে দিয়ে আন্দোলন করে শাখা ছাত্রলীগের বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এঘটনায় গত শনিবার (২ নভেম্বর) রাতে লালনের ভগ্নীপতি শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে মেহেরপুরের গাংনী থানায় একটি জিআর মামলা দায়ের করেন। ‘ইবি কর্মচারীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ১৪৩, ৪৪৮ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলার ৩ নম্বর আসামী ছিলেন শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও ৪ নম্বর আসামী সভাপতি রবিউল ইসলাম পলাশ।
এবিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে উপস্থিত হয়। পরে আমাদের আইনজীবী বিচারকের কাছে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আমাদের জামিনে মুক্তি দেয়।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।