বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ফরিদপুরে দুদকের মামলায় মাদারীপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সাবেক হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা টি এম কামরুল হাসানকে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ৩০ হাজার ৫৪৪ টাকা ৭০ পয়সা আত্মসাতের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-সহ অর্থদ- দিয়েছেন আদালত।
গতকাল বিকেলে ফরিদপুরের বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. মতিয়ার রহমান এ আদেশ দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় কামরুল হাসান পলাতক ছিলেন।
আদালত ১৮৬০ সালের দন্ডবিধির ৪০৯ ধারায় সরকারি টাকা আত্মসাতের দায়ে কামরুল হাসানকে দুই বছরের সশ্রম কারাদ- এবং নগদ ৩০ হাজার ৫৪৪ টাকা ৭০ পয়সা অর্থদ- করেছেন। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদ- ভোগ করতে হবে। এছাড়া ওই দ-বিধির ৪৬৮ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে তাকে এক বছর সশ্রম কারাদ- এবং নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। এছাড়া ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে দুই বছর সশ্রম কারাদ- এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন।
তবে আসামিকে সব সাজা একত্রে খাটতে হবে এবং যে কয়দিন হাজতবাস করেছেন তা প্রদত্ত সাজার মেয়াদ থেকে বাদ যাবে।
মামালার পিপি মো. কোব্বাত হোসেন জানান, ১৯৯৯ সালের ১৩ জুন থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত হাসপাতাল ও বিভিন্ন ডর্মেটরির বিদ্যুতের বিল জমা না দিয়ে ভুয়া ভাউচার দেখিয়ে ৩০ হাজার ৫৪৪ টাকা ৭০ পয়সা আত্মসাৎ করেন কামরুল হাসান। এ ব্যাপারে দুদকের খন্দকার ইমামুল বাদী হয়ে ২০০২ সালের ১৬ জুলাই মাদারীপুর সদর থানায় কামরুল হাসনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় তদন্ত করে গত ২০১০ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আদালতে চার্জশিট জমা দেন দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ সমন্বিত ফরিদপুর জেলা কার্যালয় (দুদক) এর সাবেক উপ-সহকারী পরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম।
পিপি আরও জানান, আসামি কামরুল হাসান এ মামলায় গ্রেফতার হয়ে কিছুদিন হাজতে ছিলেন। পরে জামিন পান। শুনানির সময় আদালতে হাজিরও ছিলেন। তবে এ মামলার শেষ দিকে এসে তিনি পলাতক হন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।