Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চিকিৎসকের অভাবে মনিরামপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সেবা মিলছে না

কেশবপুর (যশোর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের দরুন চিকিৎসা সেবার বেহাল দশায় পরিনত হয়েছে যশোরের মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এ উপজেলার একমাত্র সরকারি হাসপাতালটি ৮ বছর আগে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও এখনও সেই ৩১ শয্যার জনবল দিয়ে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অত্যান্ত নাজুক পরিস্থিতির মধ্যে চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩১ শয্যার জনবলও নেই! আবাসিক মেডিকেল অফিসার, এ্যানেসথেসিষ্ট, শিশু বিশেষজ্ঞ, মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট (রেডিও গ্রাফার), প্যাথলজিষ্ট, সহকারি সার্জনসহ গুরুত্বপূর্ণ পদসমূহ দীর্ঘদিন ধরে শুন্য রয়েছে। স্যাকমো (উপসহকারি কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার) দিয়ে কোন প্রকার দায়সারা কাজ চলছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য সেবা। ৩৮ চিকিৎসকের স্থলে মাত্র ৫ জন চিকিৎসক এ হাসপাতালে কর্মরত থাকায় স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন উপজেলার সাধারন জনগন। এছাড়া হাসপাতালের ২য়, ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির জনবলের অবস্থা আরো নাজুক। এক্স-রে মেশিনটি দীর্ঘদিন পড়ে আছে। কোনো এমটি মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট না থাকায় সম্প্রতি যশোর বক্ষব্যাধি হাসপাতালে কর্মরত এমটি আনিসুর রহমান সপ্তাহে ৩ দিন এবং পাশ্ববর্তী ঝিকরগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত এ্যানেসথেসিষ্ট ডা. সুচিন্ত দত্ত সপ্তাহে ২ দিন আসেন। যার ফলে কিছু রোগীর অপারেশন হয়।

জানা যায়, দেশের বৃহত্তম এ উপজেলায় ১টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ২টি উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ১৫টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। ২০১১ সালে উপজেলা সদরে অবস্থিত স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা হলেও সেই আগের জনবল কাঠামোয় রয়েছে। কিন্তু ৫০ শয্যার জনবল তো দূরের কথা ৩১ শয্যার জনবল কাঠামোর সিংহভাগ পদই এখানে শুন্য রয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. শুভ্রারানী দেবনাথ চিকিৎসকসহ জনবল সংকটের কথা জানিয়ে বলেন, ৩৯তম বিসিএস ক্যাডার (স্বাস্থ্য) নিয়োগকৃতদের পদায়ন হলে সংকট অনেকটা দুর হবে।

জেলা সিভিল সার্জন ডা. দিলীপ কুমার রায় বলেন, ইতোমধ্যে জেলার ৫০ শয্যায় উন্নীত অন্যান্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জনবল পূরণ হয়েছে। মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটির শর্ত পূরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ