পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘এবার জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঘটেনি। তবুও অপপ্রচারকারীরা প্রশ্নফাঁসের গুজব রটাচ্ছে। এসব অপপ্রচারকারীদের শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’- শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এসব কথা বলেছেন।
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, ‘প্রশ্নপত্র ফাঁসে গোয়েন্দা সংস্থা যথেষ্ট সতর্ক। এবার কোনো প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি। আগামীতেও হবে না।’
শনিবার (২ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সারাদেশে একযোগে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা শুরু হয়।
পরীক্ষা শুরুর আগে কেরানীগঞ্জের জিঞ্জিরা পিএম পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মন্ত্রী।
পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
দীপু মনি বলেন, ‘বিগত সময়ে আমরা দেখেছি, একটি চক্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে প্রতারণা করেছে। এমনকি প্রশ্নপত্র ফাঁসের গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করেছে, অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।’
তিনি জানান, ‘সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসব গুজব রটনাকারীদের শনাক্তকরণে গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। যারা এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
শুধু তাই নয় পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টার পরিচালনাকারী শিক্ষকদের বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘পাবলিক পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টার বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। আর সেই নির্দেশ অমান্য করে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার শিক্ষক কানিজ ফাতেমা কোচিং বাণিজ্য চালু রেখেছেন বলে অভিযোগ পেয়েছি। তার বিরুদ্ধেও শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘পরীক্ষা শুরুর পর কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে পরীক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটে। এজন্য আমরা পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র পরিদর্শন করেছি। এ কেন্দ্রে পর্যাপ্ত আলো বাতাস রয়েছে এবং সব নিয়মকানুন মানা হয়েছে।’
অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, ‘সন্তানদের ভালো প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে পাঠাবেন। তাহলে মেধা অনুযায়ী তাদের ফল আসবে। আপনারা যদি সন্তানের ভালো ফলাফলের জন্য অনৈতিক পদ্ধতি অবলম্বন করেন তাহলে তাদের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে।’
আজ পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন -শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের জৈষ্ঠ সচিব মো: সোহরাব হোসাইন, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো: গোলাম ফারুক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) কেরানীগঞ্জ সার্কেল কামরুল হাসান সোহেল, কেন্দ্র পরিচালক ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার জাহান।
প্রসঙ্গত ২ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া জেএসসি পরীক্ষা আগামী ১১ নভেম্বর ও ১৩ নভেম্বর শেষ হবে জেডিসি পরীক্ষা।
এবছর জেএসসি ও জেডিসিতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন। এর মধ্যে ছাত্র ১২ লাখ ২১ হাজার ৬৯৫ জন এবং ছাত্রী ১৪ লাখ ৩৯ হাজার ৯৮৭ জন। ছাত্রী পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছাত্রের থেকে ২ লাখ ১৮ হাজার ২৯২ জন বেশি।
এদিকে এবার মোট পরীক্ষা কেন্দ্রে সংখ্যা ২ হাজার ৯৮২টি। ২৯ হাজার ২৬২টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা এবার পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। এছাড়াও দেশের বাইরে ৯টি কেকেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এবছর শিক্ষার্থীদের ৭টি বিষয়ে ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা দিতে হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।