পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সাকিব আল হাসানের ওপর নিষেধাজ্ঞার ঘটনাকে ‘দুর্ভাগ্যজনক’ অভিহিত করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আশা ব্যক্ত করেছেন, ‘দ্রুতই সে (সাকিব) ক্রিকেট মাঠে ফিরে আসবে’।
তবে ক্রীড়াঙ্গনে বর্তমান শাসনব্যবস্থার প্রতিফলন হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, সরকার যেভাবে চালাচ্ছে তাতে করে জবাবদিহিতা তো কারো নেই। প্রত্যেকটা ফেডারেশন এখন আপনার মানি আর্নিংয়ের ব্যবস্থা হয়ে গেছে, কী করে অর্থ উপার্জন করবে সেই ব্যবস্থা হয়ে গেছে- সেটা দুর্নীতির মধ্য দিয়ে। চিন্তা করে দেখুন, প্রত্যেকটা ক্লাবই প্রায় ক্যাসিনো চালায়। এটা তাদের নলেজে ছিলো না, ফেডারেশন জানে না, ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড জানে না, আপনার ফুটবল ফেডারেশন জানে না, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ জানে না, ক্রীড়া মন্ত্রী জানেন না। তাহলে এতোদিন ধরে কিভাবে চললো? অর্থাৎ সরকারের আসলে পুরো শাসন নেই, কমপ্লিটলি তারা ব্যর্থ। এই দুঃশাসন ছাড়া কোনো সুশাসন নেই, সুশাসনের অভাবের কারনে এই বিষয়গুলো হচ্ছে।
গতকাল (বুধবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ক্রিকেট খেলোয়াড়দের সা¤প্রতিক আন্দোলন ও বিসিসিবির কার্যক্রম সম্পর্কে বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই ধরনের বিষয়গুলোতে অনেক রকমের চক্রান্ত থাকে, ষড়যন্ত্র থাকে। একজন প্রতিভাবান খেলোয়াড়কে বিপদগ্রস্থ করবার ব্যাপার থাকে। এসব তদন্তের মধ্যে বেরিয়ে আসবে। আমি এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্টভাবে বলতে চাই না। কারণ আমার কাছে এ বিষয়ে তথ্য প্রমাণ নেই। কিন্তু এই ধরনের ঘটনা ক্রিকেটেও ঘটে।
মির্জা ফখরুল বলেন, সাকিবের ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। নিঃসন্দেহে সাকিব আমাদের বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অত্যন্ত প্রতিভাবান একজন খেলোয়াড় যিনি এই টিমের জন্যে বা এই ক্রিকেট খেলার জন্য একটা অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে আমরা মনে করি। আমরা আশা করবো যে, সাকিব ফিরে আসবে দ্রুত। সে তার পূর্ণ ফর্ম নিয়ে খেলবে এবং বাংলাদেশের মুখ উজ্জ্বল করবে। তিনি বলেন, আজকে গোটা দেশের মানুষ যারা ক্রিকেট ভালোবাসেন তারা সাকিবের ঘটনায় অত্যন্ত ব্যথিত। ক্রিকেটের অনুরাগীরা এই ধরনের ব্যথা-বেদনা নেবেন না। আমরা আশা করবো এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না।
যৌথসভায় গৃহীত কর্মসূচি সম্পর্কে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে ঐ দিন সকাল ৬ টায় নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশে দলীয় কার্যালয়গুলোতে দলীয় প্রতাকা উত্তোলন করা হবে। সকাল ১০ টায় দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী সাবেক প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমান বীর উত্তম এর মাজারে পুস্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন। দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন স্ব স্ব উদ্যোগে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালন করবে। পোস্টার ও লিফলেট প্রকাশ করা হবে। একইভাবে দেশব্যাপী বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভা ও অন্যান্য কর্মসূচি পালিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, হাবিব উন নবী খান সোহেল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, মীর সরফত আলী সপু, এবিএম মোশাররফ হোসেন, আবদুস সালাম আজাদ, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, আকম মোজাম্মেলন হক।
অঙ্গসংগঠনের মধ্যে মহানগর বিএনপির কাজী আবুল বাশার, এবিএমএ রাজ্জাক, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাদেক আহমেদ খান, মহিলা দলের সুলতানা আহমেদ, জেবা খান, নায়াব ইউসুফ, স্বেচ্ছাসেবক দলে সাদরেজ জামান, মৎস্যজীবী দলের রফিকুল ইসলাম মাহতাব, নাদিম চৌধুরী, উলামা দলের নজরুল ইসলাম তালুকদার, সেলিম রেজা, রফিকুল ইসলাম, শ্রমিক দলের মোস্তাফিজুল করীম মজুমদার, কৃষক দলের হাসান জাফির তুহিন, এস কে সাদী, তাঁতী দলের আবুল কালাম আজাদ, জাসাস আহসান উল্লাহ চৌধুরী, জাকির হোসেন রোকন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।