পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পেঁয়াজ নিয়ে আগাম ব্যবস্থা না নেওয়া আমাদের ভুল ছিল বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। গতকাল বুধবার সচিবালয়ের নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রবিশস্য সাতটি ও খরিপ-১ এর আওতায় দুটি শস্যসহ মোট ৯টি শস্যের উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রণোদনা দেওয়ার অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন,পেঁয়াজ উৎপাদন বেশি হলে কৃষক দাম পায় না। এ বছর পেঁয়াজের উৎপাদন বেশি হয়েছিল। আবার বৃষ্টিতেও এ বছর পেঁয়াজ বেশি নষ্ট হয়েছে। এমন সময় ভারত পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে আমাদের সমস্যা হচ্ছে। তবে আমাদেরও ভুল হয়েছে, আগাম ব্যবস্থা নেওয়া উচিত ছিল। কৃষি উৎপাদন বাড়াতে ৯টি ফসল উৎপাদনে সারাদেশের ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৬ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হবে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, বেশি পরিমাণ পেঁয়াজ উৎপাদনের ওপর গুরুত্ব বাড়াতে হবে। মাঠ থেকে পেঁয়াজ ওঠানোর সময় আমদানি বন্ধ রাখার চিন্তা করা হচ্ছে, যাতে কৃষক ভালো দাম পায়। কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকার আগামীতে কৃষকের কাছ থেকে চালের পরিবর্তে বেশি করে ধান কিনবে। যেহেতু সরকারের কাছে পর্যাপ্ত গুদাম নেই, সেহেতু এই ধান কেনার সঙ্গে মিলারদের সংযুক্ত করা হবে। মিলারদের গুদামে এই ধান সংরক্ষণ করা হবে। তারা এই ধান থেকে চাল বানিয়ে সরকারের গুদামে রাখবে। তাদের যে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে, সেজন্য আজ বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
মন্ত্রী বলেন, ৯টি শস্য উৎপাদন বাড়ানোর লক্ষ্যে দেশের ৬৪ জেলায় ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে ৮০ কোটি ৭৩ লাখ ৯১ হাজার ৮০০ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। এই প্রণোদনা বাবদ কৃষকদের বীজ, সার ও পরিবহন খরচে নগদ টাকা দেওয়া হবে। যে ৯টি শস্য বাবদ প্রণোদনা দেওয়া হবে, তার মধ্যে সাতটি রবিশস্য হলো, গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, শীতকালীন মুগডাল, পেঁয়াজ ও সূর্যমুখী। খরিপ-১ এর আওতায় দুটি শস্য হলো গ্রীষ্মকালীন মুগডাল ও গ্রীষ্মকালীন তিল।
৬৪টি জেলায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের প্রণোদনার মাধ্যমে প্রতি কৃষক পরিবারকে সর্বোচ্চ এক বিঘা জমির জন্য বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রণোদনা দেওয়া হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৭০০ বিঘা জমিতে যে ৯টি ফসল উৎপাদন হবে, তার মাধ্যমে ৮৪০ কোটি ২৯ লাখ ৩৪ হাজার ২৯১ টাকা আয় হবে।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কার্ডধারী জনগোষ্ঠীকে চাল দেওয়া হয় বছরে পাঁচ মাস। এখন এটাকে আরও দুই মাস বাড়িয়ে সাত মাসের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিতে নতুন করে যুক্ত হবে গ্রাম পুলিশ ও চৌকিদার।
তিনি বলেন, কৃষির আধুনিকায়ন তথা যান্ত্রিকীকরণ, বাণ্যিজিকীকরণ এবং বাজারজাতই কৃষির উন্নয়ন অগ্রযাত্রার নিয়ামক। সরকারের কৃষিবান্ধব নীতির জন্য কৃষিতে অভুতপূর্ব উন্নতি হয়েছে। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে আরো উন্নতি ঘটানোর জন্য পুরোপুরি যান্ত্রিকীকরণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, কৃষি যেভাবে অগ্রসরমান তাতে আগামীতে আরো উন্নীত হওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে। বিশ্বের অন্যান্য উন্নয়নশীল দেশের তুলনায় বাংলাদেশের কৃষির বিস্ময়কর উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিঃসন্দেহে বিরাট অর্জন। বিশেষ করে একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষে বিশ্বের মধ্যে রেকর্ড সৃষ্টি করেছে। কৃষিজমির বিপরীতমুখী চাপ সত্তেও বাংলাদেশের বর্তমান খাদ্যশস্য উৎপাদন বেড়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।