Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রবাসীর স্ত্রীকে ইয়াবায় ফাঁসানোর অভিযোগ

দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩০ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মেয়েকে উত্যক্তকারীর কারাদ-ের জের ধরে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে ওমান প্রবাসীর স্ত্রী রুপালী বেগমকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ উঠেছে। প্রতিবেশীর সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ থাকায় তারা প্রতিশোধ নিতে রুপালী বেগমের বাথরুমে ইয়াবা রেখে র‌্যাবকে দিয়ে তা উদ্ধার করিয়েছে বলে এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা অভিযোগ করেছেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা যায়, উপজেলার পিয়াপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের ওমান প্রবাসী আবু বক্করের বাড়িতে গত সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তার ঘরের ভেতরে নবনির্মিত ও অব্যবহৃত বাথরুম থেকে ৮৪৩ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। পরে মাদক রাখার অপরাধে ওমান প্রবাসী আবু বক্করের স্ত্রী রুপালী বেগম (৩৭) কে আটক করে দৌলতপুর থানায় সোপর্দ করা হয়।

রুপালী বেগমের বড় মেয়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা জানান, প্রতিবেশীদের সাথে তাদের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। তাকে বিভিন্ন সময় উত্যক্ত করার অপরাধে প্রতিবেশী শাহীন নামে এক বখাটের কয়েকদিন আগে ২ বছরের কারাদ- হয়েছে। এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে হামলা, প্রাণনাশের হুমকিসহ বিভিন্ন অপরাধের একাধিক মামলা ও দৌলতপুর থানায় জিডি রয়েছে। এর কারণে তাদের বাথরুমে মাদক রেখে নিরাপরাধ মাকে ফাঁসানো হয়েছে বলে কলেজ ছাত্রী জাকিয়া অভিযোগ করেন।
জাকিয়ার ছোট বোন কামালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী জুঁই’র অভিযোগ তাদের বাথরুমে ৩ বার তল্লাশী চালিয়ে কোন কিছু না পেয়ে পরে ৪র্থ বার প্রতিবেশী সাদ আহম্মদ ও সুমন ফরাজীকে সাথে নিয়ে র‌্যাব তল্লাশী চালিয়ে ইয়াবা উদ্ধার করে।
পিয়ারপুর ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ লালু অভিযোগ করে বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে ঘটনাটি পুরো সাজানো নাটক। ওমানে থাকা আবু বক্করের স্ত্রী ৩ মেয়েকে ও মা’কে নিয়ে বাড়িতে বসবাস করেন। তারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এটা কখনও মনে হয়নি। প্রতিবেশীদের সাথে বিরোধ থাকায় মিথ্যাভাবে আবু বক্করের স্ত্রীকে ফাঁসানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানান তিনি। দৌলতপুর থানার ওসি এস এম আরিফুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কোন নির্দোষ ব্যক্তি সাজা পাক এটা কাম্য হতে পারেনা। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ