পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্বেচ্ছাচারী কায়দায় সংগঠন পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দল পরিচালনায় ড. কামাল হোসেনের নানা সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন গণফোরামের কয়েকজন সিনিয়র নেতা। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়েও ফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও দলীয় সভাপতির নানা সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না ওই নেতারা।
এসব বিষয়ে শোধরাতে ড. কামাল হোসেনে চিঠি দিয়েছেন গণফোরামের ৬জন জ্যেষ্ঠ নেতা।
ছয় জ্যেষ্ঠ নেতারা হলেন- গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল, জামাল উদ্দিন আহমেদ, অ্যাডভোকেট এসএম আলতাফ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল হক এবং স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এএ মাহমুদ।
ছয় শীর্ষ নেতাই গণফোরামের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য এবং প্রথম থেকেই ড. কামাল হোসেনের রাজনৈতিক সঙ্গী।
চিঠিতে উল্লেখিত সমস্যা সমাধানে দলের সভাপতিকে ডিসেম্বর পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন ছয় শীর্ষ নেতা। এর মধ্যে সমাধান না হলে নিজেরা তলবিসভা অথবা বিশেষ সভা আহ্বান করবেন। এতে সারা দেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হবে। এ সভা থেকেই পরবর্তী করণীয় ঠিক করবেন ছয় নেতা।
জানা গেছে, ড. কামাল হোসেনের উদ্দেশে ১২ অক্টোবর দুই পৃষ্ঠার চিঠি দেন এ ছয় নেতা। এতে ডিসেম্বরের মধ্যে বৃহত্তর কর্মিসভা (কনভেনশন) আহ্বান করে গণফোরামে গঠণতন্ত্রের ধারা এবং আদর্শ সমুন্নত রাখার দাবি জানিয়েছেন।
একই সঙ্গে তারা ২৬ এপ্রিল মহানগর নাট্যমঞ্চে অনুষ্ঠিত কেন্দ্রীয় কাউন্সিল শেষে গঠিত কমিটিকে ‘অগণতান্ত্রিক এবং অনৈতিকভাবে গঠিত’ দাবি করেন। তারা দ্রুত এ কমিটি ভেঙে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। অন্যথায় তারা ভিন্ন পথ দেখবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।
চিঠিতে গঠনতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড, ব্যক্তিস্বার্থে অগণতান্ত্রিক ও স্বেচ্ছাচারী কায়দায় দল পরিচালনার অভিযোগ আনা হয়েছে ড. কামালের বিরুদ্ধে। এছাড়া দলের নীতি, আদর্শ, লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য বিসর্জন দিয়ে বিএনপি-জামায়াতসহ স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির সঙ্গে ঐক্য করার অভিযোগও আনা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গণফোরামের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মফিজুল ইসলাম খান কামাল বলেন, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আমরা গণফোরাম প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। এ দল আমাদের হাতে গড়া। দলটির ক্ষতি হোক আমরা তা চাই না।
কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য- যে লক্ষ্য, নীতি, আদর্শ এবং উদ্দেশ্য নিয়ে গণফোরামের জন্ম হয়েছিল, দলটি এখন সে জায়গায় নেই।
ড. কামাল হোসেনসহ কয়েকজন সুবিধাভোগী নেতা গণফোরামকে বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গী বানিয়ে ফেলেছেন। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়েছি। দলের সভাপতিকে লিখিতভাবে আমরা আমাদের কথা জানিয়েছি। যদি তারা না শুধরান, আমরা আমাদের মতো করে পথ চলব।
তবে এ বিষয়ে ড. কামাল হোসেন কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। সমস্যা থাকলে আমরা আলোচনায় বসে তা সমাধান করব। এ নিয়ে বাইরে কথা বলা সমীচীন মনে করি না।’
সূত্র জানায়, ছয় নেতা তাদের চিঠিতে বলেন- ‘দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত দ্বিদলীয় রূগ্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে নীতিনিষ্ঠ অর্থবহ মূল ধারার রাজনীতি প্রতিষ্ঠার স্লোগান দিয়ে ১৯৯৩ সালে গণফোরাম রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। আমাদের ঘোষণা ছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বৈষম্য মুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ২০১১ সালের ১৯ মার্চ অনুষ্ঠিত গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গৃহীত সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্টেও ‘দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়িত দ্বিদলীয় (দ্বি-জোট) রূগ্ন রাজনীতির বিরুদ্ধে নীতিনিষ্ঠ অর্থবহ পরিবর্তনের রাজনীতি গড়ে তোলার কথা বলা হয়েছে।’ কিন্তু গণফোরাম এখন আর সেই জায়গায় নেই।
জানা গেছে, চিঠিতে দলের বহু পরীক্ষিত নেতাদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া এবং নির্বাচনের দুই/তিন/চার মাস আগে দলে যোগ দিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটির বড় বড় পদ পাওয়া, আওয়ামী লীগের বিতর্কিত নেতাদের গণফোরামে জায়গা দেয়ার বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া সাংগঠনিক দুর্বলতা, সংগঠন নিয়ে অসত্য তথ্য পরিবেশন, উপদেষ্টামণ্ডলীর পদ গঠনতন্ত্রে না থাকা সত্ত্বেও এ পদ সৃষ্টি, ড. কামাল হোসেনের একক সিদ্ধান্তে দল পরিচালনা সম্পর্কে বলা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।