পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বর্তমান সরকার এসডিজি বাস্তবায়নে দৃঢ় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ উল্লেখ করে পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন এসডিজি হলো বিশ^ব্যাপী সার্বজনিন একটি চুক্তি। সারাবিশে^ জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন লক্ষণ করছি। যা পৃথিবীর জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরুপ। এই পরিবর্তন মোকাবিলার জন্য আমাদের টেকসই উন্নয়ন করতে হবে। প্রকৃতিতে খেয়ে উন্নয়ন করা যাবে না। জলবায়ু পরিবর্তনে বড় দেশগুলো যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল তারা তা রক্ষা করেনি। কিন্তু আমরা এই কাজ করে যাব।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত ‘এসডিজি অর্জনে চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ইংরেজী দৈনিক ‘বাংলাদেশ পোস্ট’ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন ‘আমাদের প্রধানমন্ত্রীর মূল বার্তা হলো-কেউ না করলেও আমরা এটা একা করবো। কেউ আসলে তার জন্য স্বাগতম। আমাদের মাথাপিছু আয় বেড়েছে। এজন্য আমরা এসডিজি বাস্তবায়নে ব্যয়ও করতে পারছি। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এখানে বাড়তি সম্পদ ব্যয় করবো।
‘বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ের এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ নিয়মিত ট্রেকিং করছি আমরা। পদ্মা সেতুর মতো বলতে চাই, কেউ আসলেও এটা আমরা করবো, না আসলেও এটা করবো,’ যোগ করেন তিনি।
সেমিনারে সবার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, সরকার কোথায় কী কাজ করছে, কিভাবে ব্যয় করছে তা আপনারা খোঁজ দেন। আপনারা গঠনমূলক সমালোচনা করুন। সরকারকে সহযোগিতা করুন।
সেমিনারে সাবেক রাষ্ট্রদূত ও বিশ্লেষক মুহাম্মদ জমির বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নের জন্য সবাইকে সমান সুযোগ পেতে হবে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক বলেন, এমডিজিতে আমাদের অভূতপূর্ব সাফল্যের শক্তি নিয়ে এসডিজি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এসডিজিতে যে ১৬৯ টি টার্গেট রয়েছে তা বাস্তবায়ন করতে হলে সবাইকে এর সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে হবে। ‘আমাদের মাথাপিছু আয় বাড়লেও ধনী দরিদ্রের বৈষম্য কমেনি। এই বৈষম্য কমাতে না পারলে এসডিজি বাস্তবায়ন হবেনা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানও এই বৈষম্য কমানোর কথা বলেছিলেন। আমাদের নারী-পুরুষ ও অন্যান্য শ্রেনী পেশার ক্ষেত্রে যেসব বৈষম্য রয়েছে সেগুলো কমাতে হবে। সমাজে অরাজকতা সৃষ্টি বন্ধ করে আইনের শাসন প্রতিষ্টা করতে হবে। প্রশাসন সঠিকভাবে কাজ করলে শুধু নুসরাত নয় প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার সম্ভব। না হলে এসডিজি বাস্তবায়ন করা যাবে না। আমি মানবাধিকার কমিশনের কাজ করতে গিয়ে সরকারের কাছ থেকে বাঁধা পায়নি। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের সহায়তা পায়নি। এসডিজি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রতিষ্টানগুলোকে শক্তিশালী করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ পোস্ট সম্পাদক শরীফ শাহাব উদ্দীন। তিনি বলেন, আমাদের সবাইকে এসডিজি সম্পর্কে জানতে হবে। নাগরিক হিসেবে আমাদের কী করনীয় তা জানতে হবে এবং সেটি করতে হবে। না হলে দেশ এগুবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।