Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সৈয়দপুরে এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ক্লাস বর্জন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

এমপিওভুক্ত না হওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার শ্বাষকান্দর ব্যাঙমারী নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ক্লাস বর্জন করে বিদ্যালয় মাঠে অবস্থান নেয়। এ সময় শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এমপিওভুক্তির তালিকায় তাদের বিদ্যালয়ের নাম অন্তর্ভূক্ত করা দাবি জানায়। গতকাল রবিবার বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এ দাবির প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অভিভাবকরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বোতলাগাড়ি ইউনিয়নের শিক্ষানুরাগী ও বিদ্যোৎসাহী মরহুম নজির উদ্দিন প্রামানিক। তিনি তাঁর জীবদ্দশায় বিগত ২০০২ সালে নিজস্ব সাড়ে ৫৩ শতক জায়গায় শ্বাষকান্দর ব্যাঙমারী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার দুই বছরের মধ্যে গত ২০০৪ সালে বিদ্যালয়টি পাঠদান এবং ২০০৫ সালে একাডেমিক স্বীকৃতি লাভ করে। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যয়ন করছে। বিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীর সংখ্যায় বেশি।

আর শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছে ৭ জন। কর্মচারী আছেন ২ জন। প্রতিষ্ঠাকালীন থেকে বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা অত্যন্ত আন্তরিকতার সঙ্গে নিয়মিত পাঠদান দিয়ে আসছেন শিক্ষার্থীদের। গত ২০১৮ সালের জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষায় বিদ্যালয়ের শতভাগ শিক্ষার্থী পাশের সফলতা অর্জন করে। এর আগে বছরগুলোতেও জেএসসি পরীক্ষার্থীয় ঈর্ষনীয় ফলাফল করে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। বিগত ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভুক্ত হবে এমন স্বপ্ন ছিল। কিন্তু সে সময় অজ্ঞাত কারণে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত থেকে বঞ্চিত হয়। এরপর এবারে এমপিওভূক্তির জন্য প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ সকল শর্ত পূরণ করে ও নিয়মকানুন মেনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে। আবেদনের পর বিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিষ্ঠানটি এমপিওভূক্তি হবে এমন স্বপ্ন দিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন। এ অবস্থার মধ্যে দীর্ঘ সাড়ে নয় বছরের মাথায় গত বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের ২ হাজার ৭৩০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভূক্তির ঘোষণা দেন। কিন্তু ঘোষিত তালিকায় শ্বাষকান্দর ব্যাঙমারী নিম্নমাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নাম নেই।

বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আনিছুর রহমান, মতিয়ার রহমান ও মেরিনা বানু বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে বিদ্যালয়ে পাঠদান দিচ্ছিন। আর কতদিন এভাবে বিনা বেতন চাকরি করবো বলুন? এদিকে সরকারি চাকরির বয়সও প্রায় শেষ হয়ে যাচ্ছে।

প্রধান শিক্ষক মো. রেজাউল করিম বলেন, এমপিওভুক্তির সকল শর্ত মেনে আমরা বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্তকরণের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আবেদন করি। আশায় ছিলাম এবারে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হবেই। কিন্তু হলো না।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ