পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘আজকে আওয়ামী লীগ সরকার ভোটারবিহীনভাবে ক্ষমতায়। তাদেরকে কী সরকার বলবো? আজকে এই দেশ চালাচ্ছে মাফিয়া সিন্ডিকেট। এই সরকার, সরকার নয়। এটি একটি মাফিয়া সিন্ডিকেট। তা না হলে বেগম খালেদা জিয়ার জামিন হবে না কেন? এ রকম মামলায় অসংখ্য জামিন হয়েছে।’- বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল। এই মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রুহুল কবির রিজভী এসব কথা বলেন।
শনিবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
মানববন্ধন শেষে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করে মহিলা দল।
মিছিলটি কাকরাইল নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার নয়াপল্টনে গিয়ে শেষ হয়।
মিছিলে অংশ নেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস, সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক হেলেন জেরিন খানসহ সংগঠনের কয়েকশ নেতাকর্মী ও সমর্থক।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, তারা (সরকার) নিজ থেকেই বলেছে তারেক যদি বাড়াবাড়ি করে, তাহলে কিন্তু তার মা মুক্ত হবেন না। কারণ, এই জামিনের চাবিটা শেখ হাসিনার হাতে আছে। শেখ হাসিনা যতক্ষণ পর্যন্ত না তালা খুলবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত হবেন না।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে রিজভী বলেন, মাঝে মাঝে তার আত্মীয়-স্বজনরা যাচ্ছেন, খবর নিয়ে আসছেন। তিনি (খালেদা জিয়া) হাত নাড়াতে পারছেন না। প্রতিদিন সেটা ফিক্সড হয়ে যাচ্ছে। কোটি কোটি মানুষের সমর্থন যার প্রতি, তিনি আজ হুইল চেয়ারবাইন্ড হয়ে গেছেন। তাকে দুজনে ধরে তুলতে হয়।
অথচ তিনি হেঁটে কারাগারে গেছেন। তার আজকের এই চরম, শোচনীয় শারীরিক অবনতির জন্য দায়ী স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তার ক্ষোভ, তার হিংসা, তার জিঘাংসা এবং তার রাষ্ট্রক্ষমতা ভোগ দখলের জন্য খালেদা জিয়া ধুঁকে ধুঁকে কারাগারের মধ্যে জীবনযাপন করছেন- অভিযোগ রিজভীর।
বিএনপির এই সিনিয়র নেতা বলেন, যে হাসপাতালে তিনি (খালেদা জিয়া) রয়েছেন, সেখানে তার চিকিৎসা হচ্ছে না। তার আত্মীয়-স্বজনরা বলেছেন, তিনি মুক্ত হলে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাবেন। কিন্তু পরিবারের এই আকুতি সরকারের কানে ঢোকে না।
তিনি আরও বলেন, আজকে কোথায় যাব? মানুষের শেষ আশ্রয় আদালত। সেই আদালতে কোনো বিচার নেই। সেখানে কোনো বিচার পাওয়া যায় না। তাহলে আর কোথায় কোন জায়াগায় গিয়ে দাঁড়াবে মানুষ? তাই আমরা মনে করি, অবিলম্বে বেগম জিয়ার মুক্তি আমাদেরকেই নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের গণতন্ত্র আমাদেরকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।