পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
এবার বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। সেই সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মুলার পাশাপাশি সব ধরনের সবজি। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর এলাকার বিভিন্ন বাজার সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, কাঁচা মরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫-২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচা মরিচের দামে ২৫০ গ্রামে বেড়েছে ২০ টাকা পর্যন্ত। বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের এমন দাম বেড়েছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, একদিন আগেও পোয়া কাঁচা মরিচ ১৫ টাকায় বিক্রি করেছি। আর আজ ৩০ টাকার নিচে বিক্রি করার উপায় নেই। বৃষ্টির কারণে মরিচের দাম বেড়েছে। বৃষ্টি না থামলে কাঁচা মরিচের দাম আরও বাড়তে পারে।
সরবরাহ বাড়লেও শীতের আগাম সবজি শিমের দাম গত সপ্তাহের মতো ১০০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ২০-৪০ টাকা পিস। ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হচ্ছে বাঁধাকপি। মুলার কেজি বিক্রি ৩০-৪০ টাকা। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ও গাজরের দাম এখনো চড়া-ই রয়েছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকায়। গাজর বিক্রি হচ্ছে ৬০-৮০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে গাজরের দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে।
শীতের আগাম সবজির সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ, উসি, ধুনদলসহ সব ধরনের সবজি। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ চলতি সপ্তাহে বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকায়। করলা বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। একই দামে বিক্রি হচ্ছে বরবটি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজি। চিচিংগা, ঝিঙা, ধুনদলের কেজি ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন শীতের
আগাম সবজির সরবরাহ বেড়েছে। আশা করছি শিগগির সবজির দাম কমে যাবে। তবে দুই দিন ধরে যে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে হিতে বিপরীত হতে পারে। বৃষ্টি না থামলে সবজির দাম উল্টো বাড়তে পারে।
মাছ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩০০ টাকা কেজি। তেলাপিয়া ১৩০-১৬০, পাঙাস ১২০-১৫০, শিং ৪০০-৬০০, কাচকি ২৫০-৩৫০, পাবদা ৪০০-৬০০, ট্যাংরা ৫৫০-৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোশতের বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতিকেজি গরু ও মহিষের গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা, খাসি ৭৫০-৭৮০ টাকা। ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৩০-১৩৫ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৪০-১৫০ টাকায়। আর লাল লেয়ার আগের সপ্তাহের মতো ২০০-২২০ টাকা এবং পাকিস্তানি কক ২৫০-২৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।