Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বন্যায় উত্তাল রাজধানীর কাঁচাবাজার

প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

অর্থনৈতিক রিপোর্টার : এক সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। বন্যার অজুহাতে কাঁচামরিচসহ সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। যদিও বাজারে সবজির সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কমার ঘোষণা দেয়া হলেও বেড়েছে ভোজ্যপণ্যের দাম। বাজারে সোয়াবিনসহ বিভিন্ন ভোজ্যতেলের দাম বেড়েছে। এছাড়া ডিম ও আদার দাম বেড়েছে। রাজধানীর খুচরা বিক্রেতাদের কাছে দাম বৃদ্ধির কোন কারণ না থাকলেও বলছে সরবরাহ কম। তবে খুচরা ও পাইকারি বাজার ঘুরে সরবরাহের কোন কমতি দেখা যায় নি। ক্রেতাদের দাবি বন্যা-বৃষ্টির অজুহাত দিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নিত্যপণ্যের দাম বাড়াচ্ছে।
রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি ডিম হালি প্রতি ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায় এবং ফার্মের মুরগির ডিম হালি প্রতি ৪ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩৪ টাকা।
রাজধানীর খুচরা বাজারে প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন তেলের দাম দুই টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। একই সঙ্গে দাম বেড়েছে বোতলজাত সয়াবিন তেলেরও। বাজারে খোলা ও বোতলজাত সয়াবিন তেল সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হলেও গত দুই দিন থেকে দুই টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের পাইকারি বিক্রেতারা জানান, খোলা সয়াবিন তেল (এক নম্বর) ৮৫ টাকা কেজি, লিটার ৮০ টাকা। সয়াবিন (সুপার) কেজি ৭০ টাকা, লিটার ৬৬ টাকা। পামওয়েল কেজি ৬৮ টাকা, লিটার ৬২ টাকা। আর খুচরা বাজারে খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯২ টাকায়, সয়াবিন (সুপার)৭৪ থেকে ৭৬ টাকা, আর পামওয়েল ৭০ টাকায়।
বাজারে পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল- রূপচাঁদা ৪৫০ টাকা, ফ্রেশ ৪৩০ টাকা, ভিওলা ৪৩০ টাকা, পুষ্টি ৪৩০ টাকা ও তীর ৪৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে দুই দিন আগে। বর্তমানে কোনো কোনো বাজারে দুই টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া গত দুই দিন আগে থেকে রূপচাঁদা এক লিটারের প্যাকেটের দাম ৯০ টাকার পরিবর্তে ৯৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি করলা ৫৫-৬০ টাকা, ঝিঙা ৬০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, বাঁধা কপি ৫০ টাকা (প্রতি পিচ), ফুল কপি ৩০-৪০ টাকা (প্রতি পিচ), চিচিঙ্গা ৫০-৫৫ টাকা, শিম ৮০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা, বেগুন ৫০-৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৪০ টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কচুরমুখী ৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, আলু ২০-২২ টাকা, ধুন্দুল ৪০ টাকা, গাজর ৫০ টাকা এবং পটল ৩৫ টাকা এবং প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা দরে। এ ছাড়া প্রতি হালি লেবু ২০-৩০ এবং কাঁচকলা হালি ২৫-৩০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে, বাজারে মানভেদে প্রতিকেজি ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া, মানভেদে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায়, প্রতিকেজি দেশি রসুন ৯০ থেকে ১৬০ টাকায় এবং আমদানিকৃত রসুন ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতিকেজি আদা ১০০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা গত সপ্তাহে ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এদিকে চালের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতি কেজি মিনিকেট ৪০-৫২ টাকা (মান ভেদে), মোটা চাল ৩৫-৩৬ টাকা, পারিজা চাল প্রতি কেজি ৪০-৪১ টাকা, বিআর আটাশ ৪০-৪২ টাকা, নাজিরশাইল ৪২-৪৩ টাকা এবং পোলাও চাল মানভেদে ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কেজি প্রতি দেশি মসুর ডাল ১৪০ টাকা, ভারতীয় মোটা মসুর ডাল ৯৫-১০০ টাকা, মুগ ডাল ১০০-১১০ টাকা, বুটের ডাল ৪০ থেকে ৪৫ টাকা, মাষকলাই ৯০ টাকা, ছোলা ১০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গোশতের বাজারেও দেখা গেছে স্থিতিশীলতা। প্রতি কেজি গরুর গোশত ৪৩০ টাকা, খাসির গোশত ৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ১৬০ টাকা, লেয়ার মুরগি ১৯০ টাকা, পাকিস্তানি লাল মুরগি প্রতি পিস ২৪০-২৮০ টাকায় (আকার অনুসারে) পাওয়া যাচ্ছে।
এদিকে মাছ আকার ভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে ৪৫০ টাকা, কাতল ৩০০- ৫০০ টাকা, তেলাপিয়া প্রতি কেজি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা, প্রকার ভেদে চিংড়ি ৭০০ টাকা থেকে ১০০০ টাকা, টেংরা ৮০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৬০ থেকে ২০০ টাকা, পাঙ্গাস ১৮০ থেকে ২২০ টাকা, চাষের কৈ ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা, দেশি মাগুর ৬০০-৯০০ টাকা এবং আকারভেদে ইলিশ প্রতি জোড়া ১২০০-২২০০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: বন্যায় উত্তাল রাজধানীর কাঁচাবাজার
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ