Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ টাকা কেজি চালবঞ্চিত ৩৫০০ পরিবার

হিজলা (বরিশাল) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতিদরিদ্র খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির আওতায় নিবন্ধিত ৩৫০০ পরিবার ১০ টাকা কেজি চাল প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে বঞ্চিত হয়ে এসকল মানুষ মানবেতর জীবনযাপন করছেন। এ কর্মসূচির আওতায় হিজলার মেঘনা নদী ভাঙন কবলিত ও দুর্যোগ প্রবন এলাকার ১৬৬১৩টি পরিবারকে অতি দরিদ্র তালিকা ভ‚ক্ত করা হয়। তাদের আপদকালীন সময় মার্চ-নভেম্বর এ ৫ মাসে অতিদরিদ্রদের ক্ষুধা নিরুদ্দেশকরণ লক্ষ্যে ৩০ কেজি চাল বরাদ্দ দেন শেখ হাসিনা সরকার। এ ব্যাপারে উপজেলা ফুড অফিসার শেখ হোসেন সানোয়ারের কার্যালয়ে খোঁজ খবর নিতে গেলে তিনি ইনকিলাবকে জানান, হিজলা উপজেলায় ৬টি ইউনিয়নে ৩৫টি ডিলার নিয়োগ করে প্রত্যেক ডিলারকে ৫০০ অতিদরিদ্র পরিবারের মধ্যে ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহ করে আসছেন। তবে ৭টি ডিলার তাদের এলাকায় এ বরাদ্দকৃত চাল একাধিক মাস ধরে পাননি বলে জানান এবং এর সত্যতাও পাওয়া যায়।

আপদকালীন সময়ে এ চাল প্রাপ্তি হতে কেনো বঞ্চিত হয়েছেন জানতে চাইলে এর কোন উত্তর পাওয়া জায়নি ফুড অফিসার শেখ হোসেন সানোয়ার থেকে। এ ডিলারগুলো হলো হরিনাথপুর ইউনিয়নের ২টি, দুলখোলা ইউনিয়নের ২টি, বরজালিয়া ইউনিয়নের ২টি ও গুয়াবাড়িয়া ইউনিয়নের ১টি। দুলখোলা বাজার এলাকায় এ ব্যাপারে খোঁজে খবর নিতে গেলে বাজার এলাকার দরিদ্র বিল্লাল দেওয়ান, হাসান দেওয়ান, আফসারের স্ত্রী সুমি বেগম, দেলোয়ার দেওয়ান ইনকিলাবকে জানায় আমরা শুধু এ পর্যন্ত এক ট্রিপ চাল পাই। আমাদের দিন কেমন করে কাটে তা কিভাবে জানামু। যারা আমাগো চাউল দেয় নাই তাগো বিচার চাই।

তারা আরো বলেন, আমাদের ঐ চাউল পাইতে দাবি জানাই। দুলখোলা আলিগঞ্জ এলাকার ডিলার সেলিম কে মোবাইল ফোনে চাল সরবরাহ করছেন না কেন জানতে চাইলে সে বলেন স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতা কর্মীদের প্রভাবে বিধি মোতাবেক চাল দিতে পারি না। তাই নানা বিপদের আশঙ্কায় চাল উত্তলন করি না।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারটি জানতে পেরে উপজেলা পরিষদে জরুরি সভা ডেকে বিধি মোতাবেক পাশবর্তী ডিলার অথবা স্থানীয় চ্ছোরম্যানদের মাধ্যমে ঐ এলাকায় এ চাল উত্তোলন করে দ্রুত সরবরাহ করার ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হয় বলে ইনকিলাবকে জানান। তিনি আরো জানান এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ