বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ পরীক্ষায় নরসিংদীর মহিলা এমপি তামান্না নুসরাত বুবলী জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক সামাজিক সামাজিক বিজ্ঞান বিভাগের ডিন ড. মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে। অন্য সদস্যরা হলেন মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান উকিল, স্টুডেন্ট সাপোর্ট সার্ভিস ডিভিশনের পরিচালক আনিসুর রহমান ড. আনিসুর রহমান, ঢাকা আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক আহমেদ সেলিম। এই কমিটি জালিয়াতির ঘটনা তদন্ত করে তিন দিনের ভিতর বাউবি কর্তৃপক্ষের নিকট রিপোর্ট পেশ করবেন।
ইতিমধ্যেই তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে। গতকাল মঙ্গলবার তদন্ত কমিটির সদস্য নরসিংদী সরকারি কলেজ সংশ্লিষ্ট স্থানসমূহ সমূহ পরিদর্শন করেছেন। বেলা পৌনে দুইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত পরিদর্শনকালে কমিটির সদস্যবৃন্দ নরসিংদী সরকারি কলেজ প্রিন্সিপাল ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর হাবিবুর রহমান আকন্দ, হল সুপার প্রফেসর শফিকুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকজনের লিখিত বক্তব্য নিয়েছেন।
এদিকে রোববার অনুষ্ঠিত উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সভায় সকল পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক উপস্থিত থাকলেও নরসিংদী সরকারি কলেজ কেন্দ্রের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান আকন্দ উপস্থিত হননি।
প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান আকন্দের এই পলায়নপর ঘটনায় বাউবির সভায় তার তীব্র সমালোচনা করা হয়। সভায় বলা হয় পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হয়েও প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান আকন্দ কোন দায়িত্ব পালন করেননি। তিনি ৮ দিনের পরীক্ষার মধ্যে একদিনও পরীক্ষা হলে যাননি। তিনি গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, প্রক্সি পরীক্ষার্থীরা প্রবেশপত্র হারানোর ঘটনা দেখিয়ে থানায় দাখিলকৃত একটি জিডির কপি নিয়ে পরীক্ষা দিতে যাওয়ায় তারা প্রক্সি পরীক্ষার্থীদেরকে কিছু বলতে পারেন নি।
সভায় জালিয়াতির ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ৮জন ছাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে গ্রেফতার করে বিচারের জন্য পুলিশকে আহ্বান জানান। এদিকে গণমাধ্যম কর্মীরা জানিয়েছেন, জালিয়াতির ঘটনা ধরা পড়ার পর সাথে সাথে সিসি ফুটেজ দেয়ার জন্য তারা প্রিন্সিপালকে অনুরোধ জানান। কিন্তু প্রিন্সিপাল হাবিবুর রহমান আকন্দ ফুটেজ দিতে হলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুমতি লাগবে বলে জানিয়ে পাশ কাটিয়ে যান। বর্তমানে তিনি পরীক্ষা হলের সিসি ফুটেজগুলো সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র করছেন বলে জানা গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।