Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাঘব বোয়ালদের অর্থের সন্ধানে

সম্রাট, শামীম ও খালেদের মদদদাতা-সুবিধাভোগী অর্ধশত প্রভাবশালী নজরদারিতে

সাখাওয়াত হোসেন | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

ক্যাসিনো-টেন্ডারবাজির সাথে জড়িতদের জিজ্ঞাসাবাদে মদদদাতা ও সুবিধাভোগী প্রভাবশালী অর্ধশত ব্যক্তির তালিকা করেছে একটি সংস্থা। ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট, জি কে শামীম ও খালেদ মাহমুদসহ গ্রেফতারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্তে ওইসব ব্যাক্তিদের সম্পৃক্ততা বেরিয়ে এসেছে। জড়িত এসব রাঘব বোয়ালরা নানা সময়ে ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজির সাথে জড়িতদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা চাঁদা হিসেবে নিয়েছে। শুধু তাই নয়, সম্রাট, খালেদ মাহমুদ, জি কে শামীম, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচারসহ দুর্নীতি-সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকার তথ্য পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা পুলিশ। শুধু তাই নয়, দেশের ভেতর টেন্ডারবাজিসহ প্রভাব বিস্তার করতে অবৈধ অস্ত্রধারী ক্যাডার বাহিনী গড়ে তোলার তথ্যও রিমান্ডে প্রকাশ করেছে গ্রেফতারকৃতরা। একটি সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

ক্যাসিনো কান্ডে গ্রেফতারকৃতদের রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন একটি সংস্থার এমন একজন কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, জি কে শামীম ও সম্রাটসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) ও সরকারি কর্মকর্তাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সাথে তাদের (জি কে শামীম, খালেদ, সম্রাট ও কাউন্সিলর মিজান-রাজীব) সখ্য ছিল। টেন্ডারবাজি ও ক্যাসিনোর অবৈধ আয় থেকে নিয়মিত তাদের মোটা অঙ্কের টাকা দেয়া হতো। হুন্ডি ও ব্যাংকের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা সিঙ্গাপুর, দুবাই, অস্ট্রেলিয়া ও মালয়েশিয়াসহ ৬টি দেশে পাচার করেছে। এসব দেশে ব্যাংকে টাকা জমা রাখার পাশাপাশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করেছে তারা। এমনকি ক্যাসিনো কিং ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ও জি কে শামীমদের অবৈধ অর্থ লুকাতে স্বজনদের পাশাপাশি নিরাপত্তারক্ষীদের নামেও খুলেছেন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট। তাদের দেয়া তথ্য কতটুকু সঠিক তা যাচাই-বাছাই করতে দেশে ও দেশের বাইরে একাধিক টিম কাজ করছে বলে ওই কর্মকর্তা মন্তব্য করেন।

দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, অবৈধ ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজিসহ নানা অপকর্মের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জনকারী রাঘব বোয়ালদের অর্থের সন্ধানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক টিম কাজ করছে। প্রাথমিক অনুসন্ধানে দেশে ও দেশের বাইরে এদের বিপুল পরিমাণ সম্পদ-ব্যাংকে টাকা থাকার তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেছেন, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িত ৪৩ জনের নামের একটি তালিকা দুদকের হাতে এসে পৌঁছেছে। অনুসন্ধানে প্রমাণ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলা হবে।

সিআইডির ডিআইজি (অর্গানাইজড ক্রাইম) ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, আমরা কয়েকটি সংস্থার কাছে জি কে শামীম, সম্রাট ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার সম্পদের তথ্য, এর আগের উৎস, স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছি। একই সঙ্গে তার কাছ থেকে আরও কিছু ব্যক্তির নাম পাওয়া গেছে, যারা তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিত। আমরা তাদের বিষয়েও তদন্ত করছি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুদকের এক কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, ক্যাসিনোর সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য মিলছে। অবৈধভাবে একেকজন বিপুল পরিমাণ অর্থের মালিক হয়েছেন। তাদের ব্যাংক হিসাবের হদিস করতে গিয়েও মিলছে নানা তথ্য। তিনি আরো জানান, টেন্ডার মোগলখ্যাত জি কে শামীমের অবৈধ টাকার তথ্যই নতুন করে পাওয়া যাচ্ছে। তার নিকটাত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে এত টাকা জমা নেই, যা রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী ও দূর সম্পর্কের আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে। যাচাই-বাছাই শেষে শামীমের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ২৯৭ কোটি টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাও করেছে দুদক।

তিনি আরো বলেন, এছাড়া প্রাথমিক অনুসন্ধানে সম্রাট, খালেদ মাহমুদ, ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান ও কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবসহ ১৩ জনের অবৈধ অর্থের প্রমাণ পেয়েছে দুদক। খালেদ ও শামীমের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। আরো ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি রয়েছে দুদকের।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর বিভিন্ন পর্যায়ের অর্ধশতাধিক রাজনৈতিক নেতা দেশের বাইরে গা-ঢাকা দিয়েছেন। ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজির সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে তাদের অপকর্মের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের প্রত্যেককেই আইনের আওতায় আনতে হবে। এরই মধ্যে প্রভাবশালী ৫ জন রাজনৈতিক নেতার বিষয়ে নজরদারি ও জোর তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। যারা এক সময় প্রভাবশালী কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অবৈধ ক্যাসিনো ও টেন্ডারবাজির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত হচ্ছে এবং চলমান থাকবে। জড়িতদের অনেককে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং যাদের বিষয়ে তথ্য প্রমাণ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

একটি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের পর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রূপন ভূঁইয়া পলাতক রয়েছে। দুই ভাইয়ের ৩৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ থাকার প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দারা। এনু ও রূপনের ঢাকা-চট্টগ্রামে একাধিক ফ্ল্যাট, বিভিন্ন ব্যাংকের লেনদেন, উদ্ধারকৃত টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ অবৈধ সম্পদ রয়েছে। বিদেশে ফ্ল্যাট বা বাড়ি ক্রয়ের তথ্যও রয়েছে গোয়েন্দাদের হাতে। এখন পর্যন্ত ক্যাসিনোর মাধ্যমে অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন তাদের একটি তালিকা করেছে সংস্থাটি। প্রাথমিকভাবে ৪৩ জনের তালিকা সম্পন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ক্ষমতাসীন দলের দুই এমপি, যুবলীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতা, পিডি, প্রশাসন ও পুলিশের কতিপয় দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা এবং তাদের স্বজনদের নাম রয়েছে। ওই তালিকায় কাউন্সিলর মিজান ও রাজীব ছাড়াও আরো ১০ জন কাউন্সিলরের নাম রয়েছে। সম্রাট তার সাম্রাজ্য ধরে রাখা ও বিস্তারের জন্য বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের ভান্ডারও গড়ে তুলেছিলেন। তার সব অস্ত্র ছিল অবৈধ। সেসব অস্ত্রভান্ডারের তথ্য এখন গোয়েন্দাদের হাতে। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট তার কব্জায় থাকা অস্ত্রের তথ্য দিয়েছে। একই সঙ্গে কারা এই অস্ত্র পরিচালনা করে তারও তথ্য দিয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদে সম্রাট অস্ত্র সংগ্রহ, অস্ত্র সংগ্রহের করিডোর, সহযোগীদের মধ্যে বিতরণ, মাসিক চুক্তিতে ভাড়া দেয়াসহ নানা কাজে ব্যবহারের বর্ণনা দিয়েছে। তার ওইসব অস্ত্রের দেখভাল করতো খালেদ মাহমুদ। এসব অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তিনি এবং তার সহযোগীরা ক্যাসিনো পরিচালনা, সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ, নতুন নির্মাণাধীন ভবনে চাঁদা আদায়, ফুটপাথে চাঁদাবাজি, সস্ত্রাসী কর্মকান্ড ও টেন্ডারবাজি করতো। অনেক ভুক্তভোগী অস্ত্রের ভয় পেয়ে তাদের চাঁদা দিতে বাধ্য হয়েছে। সম্রাট ও তার সহযোগীরা ওইসব অস্ত্র গণপূর্ত ভবন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, রেল ভবন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসাসহ বিভিন্ন স্থানে যেখানে টেন্ডার হতো সেখানে বহন করে নিয়ে যেত। চাঁদা দিতে রাজি না হলে অস্ত্র প্রদর্শন করে প্রতিপক্ষকে ভয়ভীতি দেখাত।

সূত্র জানায়, এদের সঙ্গে জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে রিমান্ডে থাকা সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি করা এরই মধ্য সম্পন্ন হয়েছে। তারা নিজেদের কর্মকান্ডের জন্য একে অপরকে দোষারোপও করেছে। সম্রাট প্রত্যেক মাসের শেষ সপ্তাহে জুয়ার নেশায় ছুটে যেতেন সিঙ্গাপুরে মারিনা-বে-সেন্ডস ক্যাসিনোতে। যাওয়ার আগে অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ পাচার করতেন সিঙ্গাপুরে। যে অর্থের পরিমাণ ছিল প্রত্যেক মাসে প্রায় ৫ কোটি টাকা। মাসের শেষ সপ্তাহে সেখানে গিয়ে তিনি থাকতেন ৭ দিন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকারও করেছেন। প্রত্যেক মাসে ওই টাকা তিনি জোগাড় করতেন দেশে ক্যাসিনো পরিচালনা, সরকারি জমিতে অবৈধ মার্কেট নির্মাণ, নতুন নির্মাণাধীন ভবন থেকে চাঁদা আদায়, ফুটপাথে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও টেন্ডারবাজি করে। মাসের শেষ সপ্তাহে মতিঝিলের হুন্ডি ব্যবসায়ী আব্দুল আজিজ তার কাছে হাজির হতো। বস্তায় কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ হুন্ডির মাধ্যমে তিনি অবৈধভাবে সিঙ্গাপুরে পাচার করতেন।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীব শাহ আলম, জীবন, ইয়াবা ব্যবসায়ী সিএনজি কামাল, অভি ফারুক, আশিকুর রহমান রনির মাধ্যমে প্রতি মাসে শুধু স্ট্যান্ড থেকেই চাঁদা তুলতো দুই কোটি টাকা। চাঁদাবাজির বাইরে নানান অপকর্ম করতো তার লোকজন।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, ৩২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজান মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ, জমি দখল ও টেন্ডারবাজির মাস্টার হিসেবে বেশ সুপরিচিত। নিজের কোনো ব্যবসা নেই, তবুও দেশে-বিদেশে রয়েছে তার কোটি কেটি টাকার সম্পত্তি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস এবং অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে মিজানের আলিশান দু’টি বাড়ি ও দামি গাড়ি থাকার সন্ধান পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কাউন্সিলর মিজানের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে জমি দখল, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজিসহ জেনেভা ক্যাম্পের মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনাকারীদের সঙ্গে মিজানের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে। কাউন্সিলর মিজান মোহাম্মদপুরের বাসিন্দাদের কাছে ত্রাস হিসেবে পরিচিত। তাকে পাগলা মিজান নামে সবাই চেনে। মোহাম্মদপুরে অপরাধীদের প্রশ্রয়দাতা ছিলেন এই কাউন্সিলর। তার কারণে মোহাম্মদপুরে অনেক হত্যাকান্ড ঘটলেও ক্ষমতার জোরে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যেতেন।

জিকে শামীম-খালেদকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন দুদকের
কারাগারে থাকা যুবলীগ নেতা জিকে শামীম এবং খালেদ মাহমুদ ভুইয়াকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন জানানো হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক মো. আল মামুনের আদালতে দুদক এ আবেদন জানায়। আগামি ২৭ অক্টোবর আসামিদের উপস্থিতিতে এ বিষয়ে শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। মামলার বাদী দুদকের উপ-পরিচালক মো. সালাউদ্দিন জিকে শামীমকে এবং উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম খালেদ মাহমুদ ভুইয়াকে গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করেন। গত সামবার শামীম ও তার মা আয়েশা আক্তারের বিরুদ্ধে ২৯৭ কোটি ৮ লাখ ৯৯ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদ এবং খালেদের বিরুদ্ধে ৫ কোটি ৫৮ লাখ ১৫ হাজার ৮৫৯ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলা করে দুদক। উভয় আসামি অন্য মামলায় ইতিপূর্বে গ্রেফতার হয়ে কারাগারে রয়েছেন।



 

Show all comments
  • Real Bangla sylhet ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১২ এএম says : 0
    এইসব জানোয়ারদের দুনিয়ায় থাকার কোন অধিকার নেই কিন্তু আমাদের দেশের আইন কিছু দিন পর ছেড়ে দিবে দেখবে।এই জানোয়ারের বিচার শাপলা চত্বরে প্রকাশ্যে ঝুলিয়ে দেওয়া হোক। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য এটাই একটা শিক্ষা দেওয়ার প্রয়োজন।
    Total Reply(0) Reply
  • Syed Wasif Ali ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    "যাদের আদর্শ নাই, নীতি নাই, যারা দুর্নীতিবাজ, যারা দেশকে ভালােবাসে না, তারা যদি প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে যায়, তাতে প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয় না, প্রতিষ্ঠান শক্তিশালী হয়।" - জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
    Total Reply(0) Reply
  • Khan Dinar ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    একেকজন ধরা পড়ার পর পত্রিকাগুলো নানারকম রং বেরঙের কাহিনী বের হয়। বের হয় কে গত ১০/২০ বছর ধরে আকাম কুকাম করছিল।কথা হলো যখন আকাম কুকাম করে তখন সবাই যেমনঃ পুলিশ, দুদক, রেব, সাংবাদিক কেউই কোন কিছু জানেন না। আবার যখন প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দেন তখন সবাই যেন একটু বেশিই জানা শুরু করেন। কথা হলো প্রধানমন্ত্রী যদি বলেন তাহলে সেখানে অন্য কারো দরকার নেই।
    Total Reply(0) Reply
  • Raihan Hossain ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৩ এএম says : 0
    বাকি ক্যাসিনো এবং বার গুলোতে দ্রুত অভিযান চালানো উচিৎ বলে আমি মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • M Rajib Hossain ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    হে ঢাকার ছেচরা মাস্তানরা সাবধান। ঢাকার ডনের হাতে কিন্তু হ্যান্ডকাপ লাগানো হয়েছে। বাঘে ধরলে নাকি ছাড়ে অার শেখ হাসিনা ধরলে ছাড়ে না,, গুলিস্তানের মাস্তান মনে করছিল দুনিয়া টা খুব সহজ। যা ইচ্ছা করবে অার সবাই হা করে দেখবে। কিন্তু সরকার তা করতে দেয় নাই। ধন্যবাদ পি এম। এমন করে প্রত্যক জেলার ডন দাবীদার গুলা কে এরেস্ট করে ক্রসফায়ার দিলে অারো ভাল হতো।
    Total Reply(0) Reply
  • Siifat Bin Amzad ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৪ এএম says : 0
    এরকম হাজার সম্রাট আছে যাদের ব্যাবহার করা হয়েছে। এই সম্রাট সেই সম্রাট যার উপস্থিতি টের পাওয়া যেতো দলীয় জনসভায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Rana Rahman ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    যদি যুবলীগের নেতারা এই অবস্থা হয় তাহলে একটু ভাবুনতো এই দেশে মন্ত্রী, সচিব, আমলাদের সহ প্রশাসনে কি অবস্থা
    Total Reply(0) Reply
  • Lavin Khan ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার শুভ উপলব্ধি যখন হয়েছে তখন আর কালক্ষেপন না করে আপনি দূর্নীতির বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু করেছেন সেটা শক্ত হাতে অব্যাহত রাখবেন এই আশা করছি, আশাকরি তাহলেই দেশটা সত্যিকারের উন্নতির দিকে এগিয়ে যাবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Lavin Khan ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৫ এএম says : 0
    এই কাজটা আরো আগেই করার দরকার ছিল,করলে আমরা আরো আগেই ববহুদুর এগিয়ে যেতাম।যাই হোক দেরি করেও হলেও শুরু করেছেন,ভালোভাবে তদন্ত করবেন অনেক টাকা অাত্নসাত করা হয়েছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashik Tajwar ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
    শুদ্ধি অভিযান কোনো অবস্থায় শিথিল হবে না। এই অভিযান চলতেই থাকবে। দুর্বৃত্তায়নের চক্র ভেঙে দিতে প্রধানমন্ত্রী বদ্ধপরিকর।
    Total Reply(0) Reply
  • ash ২৩ অক্টোবর, ২০১৯, ৫:২০ এএম says : 0
    KISU E HOBE NA ODER ! HOY TO 6 MASH 1 BOSOR JAIL E THAKBE PORE ...............
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: যুবলীগ

১১ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ