বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে রূপগঞ্জে আটক নিরীহ ব্যবসায়ী জসিমকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। গত রোববার রাতে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান নিজে উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই করে নিরপরাধ হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়। এছাড়া অভিযুক্ত এএসআই মিজানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওসি। রোববার দুপুরে সাওঘাট এলাকার ওষুধ ব্যবসায়ী জসিমকে পরিবারের সঙ্গে খাবার খাওয়ানো অবস্থায় বিনা অপরাধে আটক করে নিয়ে আসে এএসআই মিজানসহ পুলিশের বিশেষ সোর্স রাব্বি। পরে জসিমের স্ত্রী খাদিজা বেগমের কাছে দুই লাখ টাকা দাবি করে। টাকা না দেয়া হলে ১’শ পিছ ইয়াবা ট্যাবলেট দিয়ে মামলা দিবে বলে হুমকি দেয়।
ব্যবসায়ীর স্ত্রী খাদিজা বেগম জানান, রূপগঞ্জ থানার এসএসআই মিজান (১)সহ বেশ কয়েকজন পুলিশের পোশাক ছাড়াই তাদের ঘরে প্রবেশ করে। পরে পুলিশের সোর্স রাব্বির হাতে থাকা হ্যান্ডকাপ জসিমের হাতে পড়িয়ে সিএনজিতে উঠিয়ে নেয়। প্রতিবাদ করতে গেলে জসিমের বাবা আলী আশরাফকেও হ্যান্ডকাপ পড়ানোর চেষ্টা চালায়। পরে সিএনজিতে উঠিয়ে কর্ণগোপ এলাকার একটি সিএনজি পাম্পে নিয়ে গিয়ে জসিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে তার স্ত্রী খাদিজাকে আসতে বলা হয়। পরে খাদিজা ওই সিএনজি পাম্পে আসলে তার কাছে এএসআই মিজান ও সোর্স রাব্বি দুই লাখ টাকা দাবি করে। এ সময় পরিবারের লোকজন জসিমের কি অপরাধ জানতে চাইলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে এএসআই মিজান ও সোর্স রাব্বিসহ পুলিশ কোন উত্তর না দিয়ে জানায়, দুই লাখ টাকা না দেয়া হলে জসিমের নামে মাদক মামলা দেয়া হবে। পরে খাদিজাসহ পরিবারের লোকজন স্থানীয় সংবাদকর্মিদের অবহিত করেন। সংবাদকর্মিদের সহযোগিতায় বিষয়টি রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসানকে অবহিত করেন পরিবারের লোকজন। পরে ওসি মাহমুদুল হাসান নিজে উপস্থিত থেকে যাচাই-বাছাই করে নিরপরাধ হওয়ায় ওই ব্যবসায়ীকে ছেড়ে দেয়া হয়। রূপগঞ্জ থানার ওসি বলেন, অহেতুক কাউকে হয়রানি করবে, সেটা হতে দেবোনা। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।