পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশে চলছে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা। এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে ভারতীয় জেলেরা। তারা বাংলাদেশের পানিসীমায় ঢুকে অবাধে মাছ শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির অভিযোগ, বঙ্গোপসাগরের আন্তর্জাতিক সীমা বা ইনোসেন্ট প্যাসেজ পেরিয়ে বাংলাদেশের অন্তত ৫০ নটিক্যাল মাইল অভ্যন্তরে ঢুকে ভারতীয় জেলেরা মাছ ধরছে। বিশেষ করে বাংলাদেশে মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞার সুযোগে ভারতীয় মাছ ধরার কয়েকশ অত্যাধুনিক ট্রলার এখন এই সমুদ্রসীমা চষে বেড়াচ্ছে।
স্থানীয় মৎস্য কর্মকর্তার দাবি, বাংলাদেশের সমুদ্র সীমায় ভারতীয় নৌযানের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নৌবাহিনী এবং কোস্টগার্ড কাজ করছে। অপরদিকে বাংলাদেশি জেলেদের ক্ষোভ, সাগরে মাছ ধরতে না পেরে আর্থিক কষ্টে মানবেতর দিন কাটাচ্ছেন তারা।
উপক‚লীয় মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শেখ ইদ্রিস আলী অভিযোগ করে বলেন, ভারতীয় জেলেরা বাংলাদেশে ঢুকে মাছ ধরে নিয়ে যাচ্ছে। তারা খুবই বেপরোয়া। সামনে পড়লে বাংলাদেশি জেলেদের মারধর করে, জাল নষ্ট করে দেয়। ওদের ট্রলার অনেক বড়, আমাদের ট্রলার ছোট। সমুদ্রসীমায় মাছ ধরার ক্ষেত্রে আমাদের নিষেধাজ্ঞার সুযোগটাই ওরা বেশি কাজে লাগায়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জেলেদের সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। সমুদ্রে প্রবেশের পর মোবাইলে নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না। তখন কারও সঙ্গে আর যোগাযোগ থাকে না। কিন্তু, ভারতীয় জেলেদের কাছে ওয়্যারলেস রয়েছে। ওদের ট্রলার বড় হওয়ায় লোকসংখ্যাও বেশি। বিপদে পড়লে ওদের রাষ্ট্রীয়ভাবে সাহায্য করে। আর আমরা নেটওয়ার্কের বাইরে থাকায় বিপদের খবর জানাতেও পারি না।
সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া জেলেরা জানান, আধুনিক জাল ও ট্রলার নিয়ে অনেকটা সাগর সেচে তোলার মতো মাছ ধরে ভারতীয়রা। দ্রুতগামী নৌযান ও কারেন্ট জালসহ জিপিএস ব্যবহার করে ভারতীয় জেলেরা। তারা উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বাইনোকুলার দিয়ে বাংলাদেশের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের তৎপরতায় চোখ রাখে আর তাদের আসতে দেখলেই দ্রæত পালিয়ে যায়। এসব জেলেদের নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ড মাঝে মধ্যে আটক করলেও তাদের বেপরোয়াভাবে পানিসীমা লঙ্ঘন করে মাছ ধরা থামে না।
দেশি জেলেরা অভিযোগ করে বলেন, একই সাগরে দুই ধরনের নিয়ম হয় কীভাবে? ভারতে যখন সমুদ্রে মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে, ঠিক সেই সময় বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ থাকা উচিত।
এ বিষয়ে কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের গোয়েন্দা কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, অবৈধ অনুপ্রবেশ ও সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে মাছ শিকারের সময় কোস্টগার্ড এবং নৌবাহিনীর হাতে প্রায়ই ভারতীয় জেলেরা আটক হয়। গত জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত কোস্টগার্ডের হাতে ৫১৬ ভারতীয় অনুপ্রবেশকারী আটক হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ৯ থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। এসময় দেশিয় জেলেরা সমুদ্র বা নদী থেকে ইলিশ আহরণ বন্ধ রাখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।