Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

অবৈধ আয়ে অঢেল সম্পদ কাউন্সিলর রাজীবের

উধাও লেনদেনের আলামত

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২১ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাই ছিল না তারেকুজ্জামান রাজীবের। সন্ত্রাসী কর্মকান্ড, চাঁদাবাজি ও দখলদারিত্বের মাধ্যমে বিপুল সম্পদের মালিক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবের সরকারি সম্মানী ছাড়া আর কোনো বৈধ আয়ের উৎস নেই। বর্তমানে তার দৃশ্যমান কোনো ব্যবসাও নেই। তবু সম্পদের পাহাড় গড়েছেন স্বঘোষিত জনতার কাউন্সিলর রাজীব। শনিবার রাতে গ্রেফতারের পর তাকে সঙ্গে নিয়ে মোহাম্মদপুরের বাসা ও কার্যালয়ে তল্লাশি চালায় র‌্যাব। রাতভর এ অভিযানে শুধুমাত্র ৫ কোটি টাকার চেক ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি। রাজধানীর ভাটারা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য আইনে পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলায় আজ তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে র‌্যাব সূত্রে জানা গেছে।
গতকাল রাজীব গ্রেফতারের পর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিক্ষোভ করেন স্থানীয় ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ। এ সময় বিক্ষোভকারীরা রাজীবের সহযোগী জীবনসহ অন্যদের গ্রেফতার এবং রাজীবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। বিক্ষোভকারী এ সময় দাবি করেন, জাহাঙ্গীর কবির নানকের ছেলে হিসেবে পরিচয় দিয়ে রাজীব এলাকার সাধারণ মানুষ ও ব্যবসায়ীদের জিম্মি করে শত শত কোটি টাকার সম্পদ হাতিয়ে নিয়েছে। নানকের ভয়ে দলীয় লোকজনও প্রতিবাদ করার সাহস পেত না বলে গতকাল বিক্ষোভের সময় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন। র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, মোহাম্মদপুরে তার বাসা এবং অফিসে তল্লাশি করা হয়েছে। সেখানে তেমন কিছু পাইনি। আমরা বুঝতে পেরেছি তার বাড়িতে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত যেসব ডকুমেন্ট ছিল সেগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তবে তারই একজন সহযোগীর আত্মীয়ের বাড়ি থেকে একটি চেকবই উদ্ধার করা হয়েছে। বইটিতে দেখা গেছে, ব্র্যাক ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে এক দিনে (তিনটি চেকের মাধ্যমে) ৫ কোটি টাকা জমা দেয়া হয়েছে। আমরা এগুলো তদন্ত করে দেখছি, কোথায় টাকা জমা দিয়েছেন, টাকাগুলো কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার আবতাবউদ্দিন রোডে বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে থাকা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের এ কাউন্সিলরকে গ্রেফতার করে র‌্যাব। এ সময় ওই বাসা থেকে সাতটি বিদেশি মদের বোতল, একটি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, তিন রাউন্ড গুলি, নগদ ৩৩ হাজার টাকা ও একটি পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
র‌্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, সন্ত্রাসবাদ, চাঁদাবাজি এবং দখলদারিত্বের মতো সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে রাজীবকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে তাকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর মোহাম্মদপুরে তার বাসা ও কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। আপাতত তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দু’টি মামলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, অর্জিত আয়ের উৎস এবং অর্থ পাচারের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন এবং এই অর্থ তিনি কোথায় খরচ করেছেন দেখা হবে। যদি এখানে মানিলন্ডারিংয়ের কোনো বিষয় থাকে তবে তার বিরুদ্ধে মামলা হবে।
র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, রাজীবের সহযোগী এবং তার সঙ্গে জড়িত রয়েছে এমন আত্মীয় বা অনাত্মীয় প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা তো আসলে তার বৈধ আয়ের কোনো কিছুই দেখতে পাচ্ছি না। তার যে একটি রাজকীয় বাড়ি রয়েছে এ বাড়িটির বাজার মূল্য প্রায় ১০ কোটি টাকা। বাড়ির আসবাবপত্র থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস বিদেশ থেকে আমদানি করে এনেছে। এসব সম্পদ জ্ঞাত আয়বহির্ভূত বলে আমাদের মনে হয়েছে। তিনি বলেন, কাউন্সিলর হওয়ার আগ পর্যন্ত তার দৃশ্যমান কোনো ধরনের ব্যবসা বা পেশা ছিল না। বর্তমানে সিটি করপোরেশন থেকে যে সম্মানী পান, সেটা তার একমাত্র প্রধান আয়। এ ছাড়া যে অবৈধ লেনদেনের বিষয়গুলো রয়েছে তা তদন্ত সাপেক্ষে বেরিয়ে আসবে।
একটি সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, মোহাম্মদপুর এলাকায় যুবলীগের রাজনীতি দিয়েই রাজীবের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার শুরু। অল্পদিনেই নেতাদের সান্নিধ্যে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এরপর অভিযোগ আছে, কেন্দ্রীয় যুবলীগের এক নেতাকে এক কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন রাজীব। যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদটি ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতেন রাজীব। বিগত চার বছরে আট থেকে ১০টির বেশি নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন। গুলশান ও মোহাম্মদপুরে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে তার। মোহাম্মদীয়া হাউজিং সোসাইটির ১ নম্বর রোড এলাকায় পানির পাম্পের জন্য নির্ধারিত জায়গায় বাড়ি বানিয়েছেন। বাড়ির জায়গাটির দামই প্রায় সাড়ে তিন কোটি টাকা। ওই সূত্র আরো জানায়, কমিশনার হওয়ার পরপরই তিনি বাহিনী দিয়ে প্রচারণায় বনে যান স্বঘোষিত ‘জনতার কমিশনার’। তবে কথিত এই ‘জনতার কমিশনার’-এর বিরুদ্ধে জনতার কাছ থেকেই মাসে কোটি টাকা চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ, চন্দ্রিমা হাউজিং, সাত মসজিদ হাউজিং, ঢাকা উদ্যানসহ বিভিন্ন এলাকায় দখলবাজি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে টং দোকানদার থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া রাজীবের বিরুদ্ধে।
কাউন্সিলর রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার
রাজধানীর ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর যুবলীগ নেতা তারেকুজ্জামান রাজীবকে যুবলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যুবলীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্তের আলোকে অসামাজিক ও সংগঠনের শৃঙ্খলাপরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গতকাল রোববার তাকে বহিষ্কার করা হয়। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। রাজীব ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। সূত্র জানায়, ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের মধ্যেই সিটি করপোরেশন এলাকার কাউন্সিলরদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে দখল, চাঁদাবাজি করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ ওঠে। কাউন্সিলরদের কেউ কেউ সরাসরি ক্যাসিনো কারবারের সঙ্গেও জড়িত ছিলেন। অভিযানের পরপরই অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। মোহাম্মদপুরের কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজীবও দুই সপ্তাহ ধরে আত্মগোপনে ছিলেন।
যেভাবে সুলতান হয়ে ওঠেন রাজীব
মোহাম্মদপুর এলাকায় যুবলীগের রাজনীতি দিয়েই শুরু হয় রাজীবের রাজনৈতিক জীবন। চালাক চতুর রাজীব অল্পদিনেই নেতাদের সান্নিধ্যে এসে মোহাম্মদপুর থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ বাগিয়ে নেন। এই পদ পেয়েই থানা আওয়ামী লীগের এক নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধাকে প্রকাশ্যে জুতাপেটাসহ লাঞ্ছিত করেন। সে সময় যুবলীগ থেকে তাকে বহিষ্কারও করা হয়। অভিযোগ রয়েছে, তারেকুজ্জামান রাজীব মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে বহিষ্কারাদেশ বাতিল করে উল্টো ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বনে যান। যুবলীগের সাইনবোর্ড আর কাউন্সিলরের পদটি ব্যবহার করে এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে চাঁদাবাজি, দখলবাজি, টেন্ডারবাজি, মাদক ব্যবসা, ডিশ ব্যবসাসহ নানা মাধ্যমে হয়ে ওঠেন আরো দুর্ধর্ষ ও বেপরোয়া। তারেকুজ্জামান রাজিব ২০১৫ সালে কাউন্সিলর হওয়ার পরপরই সম্পূর্ণ বদলে যায় জীবন। চালচলনে আসে ব্যাপক পরিবর্তন। হঠাৎ কেউ দেখলে মনে হবে মধ্যপ্রাচ্যে কোনো রাজা, বাদশাহ বা সুলতান। কোথাও গেলে সঙ্গে থাকে গাড়ি আর মোটরবাইকের বহর। রাস্তা বন্ধ করে চলে এসব গাড়ি। রোদে গেলে আশপাশের কেউ ধরে রাখে ছাতা। সঙ্গে ক্যাডার বাহিনী তো আছেই। মাত্র চার বছরে মালিক বনে গেছেন অঢেল সম্পত্তি, গাড়ি আর বাড়ির। ইচ্ছে হলেই বদলান গাড়ি। রয়েছে মোটা অঙ্কের ব্যাংক ব্যালেন্স। পরিবারের অন্য সদস্যদেরও দিয়েছেন বাড়ি-গাড়ি। এই কাউন্সিলর নিজের এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন রাজত্ব। চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব, টেন্ডারবাজি, কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ আর মাদকসেবীদের আখড়ায় পরিণত করেছেন তার সা¤্রাজ্য। মোহাম্মদপুরের বসিলা, ওয়াশপুর, কাটাসুর, গ্রাফিক্স আর্টস ও শারীরিক শিক্ষা কলেজ, মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটি এবং বাঁশবাড়ী এলাকায় তৈরি করেছেন একক আধিপত্য। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কাউন্সিলর নির্বাচন করার আগে রাজনীতির পাশাপাশি এক চাচাকে কাজকর্মে সহযোগিতা করতেন। ওই চাচা ঠিকাদারি করতেন। নির্বাচনের সময় তার ওই চাচা একটি জমি বিক্রি করে ৮০ লাখ টাকা দিয়ে তাকে কাউন্সিলর নির্বাচন করতে সহযোগিতা করেন। ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বনিবনা না হওয়ায় এখন ওই চাচার সঙ্গেও যোগাযোগ নেই।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিগত ৪ বছরে ৮-১০টির বেশি নামীদামি ব্র্যান্ডের গাড়ি কিনেছেন রাজীব। যার মধ্যে মার্সিডিজ, বিএমডবিøউ, ক্রাউন প্রাডো, ল্যান্ডক্রুজার ভি-৮, বিএমডবিøউ স্পোর্টস কার রয়েছে। শাহ আলম, জীবন, ইয়াবা ব্যবসায়ী সিএনজি কামাল, অভি ফারুক, আশিকুর রহমান রনির মাধ্যমে প্রতি মাসে শুধু স্ট্যান্ড থেকেই তোলেন প্রায় দুই কোটি টাকা। কোথা থেকে কে কত টাকা করে চাঁদা তুলে কাউন্সিলরকে দেন- এমন একটি লিস্ট পেয়েছে গোয়েন্দারা। মোহাম্মদপুর এলাকার ফুটপাথগুলো থেকে প্রায় কোটি টাকা চাঁদা আসে তার পকেটে। তার ওয়ার্ডে সব ধরনের টেন্ডার থেকে তাকে দিতে হয় নির্দিষ্ট পার্সেটেজ। মোহাম্মদপুর থেকে আল্লাহ করিম মসজিদ পর্যন্ত পুরো ফুটপাথ থেকে প্রতিদিনই চাঁদা তোলেন তার লোকজন। অভিযোগ রয়েছে, আল্লাহ করিম মসজিদ ও মার্কেট কমিটিতে জোর করে তার লোককে রাখা হয়। যদিও এই কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক আগে। তারপরও নতুন কমিটি দেয়া হচ্ছে না। এই মসজিদ মার্কেটের পার্কিংয়ের জায়গায় দোকানপাট করে এসব দোকানপ্রতি বড় অঙ্কের টাকা নেন তিনি। শুধু তাই নয়, মসজিদ ও মার্কেটের জেনারেটর রাখার জায়গাটিতেও তিনি দোকান বসিয়েছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগ রয়েছে তার শ্যালক একরাম বিভিন্ন হাউজিংসহ নানা জায়গায় গিয়ে জায়গাজমি সংক্রান্ত ব্যাপারে জবরদস্তি করেন। পরে এসব ঝামেলা মেটান কাউন্সিলর নিজেই। শুধু তাই নয়, রহিম ব্যাপারী ঘাটের ৩৩ নং ওয়ার্ড যুবলীগের অফিসটিও তার নেতৃত্বে দখল করেছে যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কাউন্সিলরের ঘনিষ্ঠ যুবলীগ নেতা আশিকুর রহমান রনি (ভাঙ্গাড়ি রনি) চার রাস্তার মোড় ময়ূরী ভিলার পাশে সিটি করপোরেশনের পাবলিক টয়লেটের পাশে সরকারি জায়গা দখল করে চারটি পাকা দোকান এবং একটি অফিস করে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন। বুদ্ধিজীবী কবরস্থানের জন্য যাদের জমি সরকার নিয়েছে তাদের জন্য আলাদা বরাদ্দকৃত জায়গাটিও দখল করে ট্রাক ও বাস রাখার জন্য ভাড়া দিয়ে রাখা হয়েছে। এখানে প্রতিটি বাস ও ট্রাক থেকে অগ্রিম লাখখানেক টাকা নিয়েছেন কাউন্সিলরের লোকজন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কাউন্সিলর


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ