পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য র্যাবের হেফাজতে থাকা যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ক্যাসিনো বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজনের নাম জানিয়েছেন। দিনভর জিজ্ঞাসাবাদে ক্যাসিনো ছাড়াও অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ বিষয়ে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন র্যাব কর্মকর্তারা। অধিক তদন্তের স্বার্থে সম্রাটের এসব তথ্য যাচাই-বাছাই করছে সংস্থাটি। তবে সম্রাট পুরোপুরি মুখ খুলতে গড়িমসি করছেন। অসুস্থতার বাহানা দিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন নানা প্রশ্ন। অন্যদিকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান মিজানকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সাতদিনের রিমান্ড শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিআইডির পরিদর্শক গিয়াস উদ্দিন।
এছাড়া বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার নাম খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম। জবানবন্দি রেকর্ড করার পর তাকে কারাগারে পাঠান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় সাতজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন। অপর ছয় আসামি হলেন অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ, মেহেদী হাসান ওরফে রবিন, মেফতাহুল ইসলাম, মুজাহিদুল ও মনিরুজ্জামান মনীর।
তদন্ত সূত্র জানায়, জার্মানির একটি ব্যাংকে ও সুইজারল্যান্ডের একটি কো-অপারেটিভ সোসাইটিতে অর্থ জমা রেখেছেন সম্রাট। অবৈধ ক্যাসিনো পরিচালনা, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে তিনি যে বিপুল র্অর্থ আয় করতেন তার একটি অংশ এসব ব্যাংকে জমা রাখতেন। এছাড়া সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোতে তিনি কাঁড়ি কাঁড়ি অর্থ উড়িয়েছেন। বিভিন্ন দেশে সম্রাটের প্রায় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের তথ্য পেয়েছে তদন্তের সাথে জড়িতরা। জার্মানির একটি ব্যাংকে ৩৬ কোটি টাকা রেখেছেন সম্রাট। আর সুইজারল্যান্ডের একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে রেখেছেন ৪৪ কোটি টাকা। এ সব তথ্যের সতত্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, হুন্ডিসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অবৈধ আয়ের অর্থ সম্রাট বিদেশে পাচার করতেন। সুইজারল্যান্ডে ওই টাকার দেখভাল করেন পল্টনের একসময়ের যুবলীগের নেতা সুইজারল্যান্ড প্রবাসী আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এর আগে ক্যাসিনোকান্ডে গ্রেপ্তার খালেদ মাহমুদ ভূইয়া, আরমান ও জি কে শামীর বিদেশে কোটি কোটি টাকা পাচারের কথা স্বীকার করেন। সূত্র জানায়, র্যাবের জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেলে রিমান্ডে থাকা সম্রাট ও আরমানকে মুখোমুখি করা হয়। এসময় তারা নিজেদের অবৈধ কর্মকান্ডের জন্য একে অপরকে দোষারোপ করেছেন।
সূত্র জানায়, প্রত্যেক মাসে একবার করে সিঙ্গাপুরে ক্যাসিনো খেলতে যেতেন সম্রাট। র্যাবকে তিনি জানিয়েছেন এটা তার নেশা ছিল। সিঙ্গাপুর শহরে তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এছাড়াও মালেশিয়ার পূত্রাজায়ায় ‘কুইক রোডে’ তার একটি ফ্ল্যাট রয়েছে। এদিকে সম্রাট ক্যাসিনোসহ বিভিন্ন অবৈধ পথে যে অর্থ আয় করতেন তা থেকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগসহ অনেকে ভাগ পেতেন। সম্রাট কাদের অর্থ দিতেন এ তথ্য তিনি প্রকাশ করছেন। এ পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কিছু নামও বলেছেন।
আবরার হত্যায় স্বীকারোক্তি দিলেন তাবাখখারুল
বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় আরও এক আসামি রোববার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তার নাম খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম। জবানবন্দি কের্ড করার পর তাকে কারাগারে পাঠান ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এ নিয়ে এই মামলায় সাতজন আসামি আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলেন।
আদালত ও পুলিশ সূত্র বলছে, আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা আদালতের কাছে স্বীকার করেছেন এই আসামিরা। তাদের জবানবন্দিতে উঠে এসেছে কীভাবে আবরার ফাহাদকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার আসামি অমিত সাহা ও সামছুল আরেফিনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের আদালতে হাজির করা হয়। আদালতকে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়ে বলছে, বুয়েটের মেধাবী ছাত্র আবরার ফাহাদকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছেন আসামিরা। বুয়েটের শেরেবাংলা হলের যে ২০১১ নম্বর কক্ষে ফেলে নির্যাতন করা হয়, সেই কক্ষ অমিত সাহার। আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত ৬ অক্টোবর রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।