দশ বছর আগে ছেলেকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় বিচার না পেয়ে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করে গতকাল শনিবার জয়পুরহাট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন জামাল উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। জামাল উদ্দিন কালাই পূর্ব পাড়া মহল্লার বাসিন্দা। তিনি কালাই ডিগ্রী কলেজের দপ্তরী ছিলেন। দুই বছর আগে আবসরে গেছেন।

সংবাদ সম্মেলনে জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, ২০০৯ সালের ২৮ মে কথা কাটাকাটির জের ধরে ছেলে আব্দুল হাকিমকে প্রকাশ্য বিকেলে কালাই থানার কাছে ছুরি মেরে হত্যা করে আসামি লেবু মিয়াসহ কয়েকজন।

এ ঘটনায় জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতের মাধ্যমে থানায় মামলা করেন। আসামিরা হলো কালাই সদরের কাজীপাড়া মহল্লার মিঠু, বাদশা, রাশেদ ও একই উপজেলার মোলামগাড়ি বাজারের লেবু ও সেবু রকি এবং বালাইটের আবুল কালাম আজাদ। এদের মধ্যে মামলার প্রধান আসামি মিঠু, লেবু ও সেবুকে গত দশ বছরেও গ্রেফতার করতে পারেনি। এলাকায় আসামি লেবুর বিরুদ্ধে মাদক ও সন্ত্রাসের নানা অপরাধের অভিযোগ রয়েছে

সম্মেলনে বলেন, গত ৩১ জুলাই লেবু ফেন্সিডিলসহ রাজশাহীর বাঘা থানায় গ্রেফতার হয়। সেখানে লেবু নিজের নাম গোপন করে সাজু পিতার নাম আব্দুস সাত্তার পরিচয় দেয়। ওই ঘটনার পর থেকে লেবু সাজু নাম ধারণ করে রাজশাহী জেলাকারাগারে বন্দী আছেন। বিষয়টি তিনি কালাই থানায় জানিয়েছেন। কালাই থানা কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত লেবুকে হত্যা মামলায় গ্রেফতার করা হয়নি।