Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও রেস্তোরা মালিক সমিতির মতবিনিময় সভা

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৯, ৬:০৪ পিএম

নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে যৌথভাবে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও রেস্তোরা মালিক সমিতি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) গুলশানের পূর্ণিমা রেস্তোরাঁয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতির (গুলশান জোনের) মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেয়া হয়।

এ সময় ভোক্তা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মনঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া গুলশান জোনের সভাপতি রেজাউল করিম খানের সভাপতিত্বে ও তালুকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি মহাসচিব রেজাউল করিম সরকার রবিন ও সমিতির কেন্দ্রীয় নেতারা, ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দসহ দুই শতাধিক গুলশান জোনের রেস্তোরা মালিক উপস্থিত ছিলেন। নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সহযোগী হয়ে কাজ করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতো তারাও মাঠে নেমেছে বলে জানান নেতারা।

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি হাসান নুর ইসলাম (রাস্টন) বলেন, একটি নির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা হোক। এরপর সেই নীতিমালার ভিত্তিতে রেস্তোরাগুলিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে। আমরা বিভিন্ন সংস্থার কাছে করুণা চাই না, চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার। তিনি বলেন, হাজার সমস্যার মধ্যে দিয়ে আমাদের এই ব্যবসা চালাতে হচ্ছে। মোবাইল কোর্ট অনেক সময় অতিরঞ্জিত করার ফলে রেস্তোরাঁ ব্যবসা ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে তিনি দাবি করেন।

প্রধান আলোচক মনঞ্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, রেস্তোরা মালিক সমিতি সঠিক পথে কাজ করলে এবং হেলথ অ্যান্ড হাইজিন নিশ্চিত করলে আমাদের মনিটরিং টিম জরিমানা করবে না। রেস্তোরাঁ মালিকদের অনেক সচেতন হতে হবে এবং হেলথ অ্যান্ড হাইজিন অর্থাৎ পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে হবে। না হলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বিভিন্ন আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে মালিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা রেস্তোরাঁ ব্যবসা করেন তারা কেউ চোর-ডাকাত নয়। আবার অধিদপ্তরও আপনাদের শত্রæ নয়। ভোক্তা অধিদপ্তর প্রথমবার সংশোধনের সুযোগ দেবে। এরপর কেউ আইন অমান্য করলে অধিদপ্তর থেকে ছাড় দেয়া হবে না।

প্রধান আলোচক এম রেজাউল করিম সরকার রবিন বলেন, নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি মাঠে নেমেছে। তবে ছোট বড় সবাইকে হেলথ অ্যান্ড হাইজিনের আওতায় আনতে হবে। মোবাইল কোর্ট যেন সকল দরজার কড়া নাড়ে। ছোট বড় কাউকে ছাড় দেয়া যাবে না, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের নিদের্শে হেলথ অ্যান্ড হাইজিন টিম গঠন করেছি। যাহা প্রত্যেক রেস্তোরাঁয় যাবে।

বাংলাদেশ রেস্তোরা মালিক সমিতি, ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক সুজন উদ্দিন তালুকদার সভায় বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। এর মধ্যে বিভিন্ন দপ্তরের মোবাইল কোর্ট ও মনিটরিং এর চাপে ৩০ শতাংশ রেস্তোরাঁ বন্ধ হয়ে গেছে। ৫০ শতাংশ রেস্তোরাঁ হুমকির মুখে। অভিযোগ এবং আইন প্রয়োগের সঠিক ন্যায্য ব্যবস্থা না থাকার কারণে রেস্তোরাঁ ব্যবসার সম্ভাবনা ভেস্তে যাচ্ছে। এই শিল্পকে বাঁচাতে একটি মাত্র অধিদপ্তরের আওতায় মনিটরিং পদ্ধতি চালু করতে হবে। একই অপরাধের জন্য বিভিন্ন অধিদপ্তরের বিভিন্ন রকম জরিমানা গুণতে হয় রেস্তোরাঁ মালিকদের। কিছুটা তাদের মনগড়া সিদ্ধান্ত, কিছুটা রেস্তোরাঁর সাইজ ও পরিধি বিবেচনা করে জরিমানা করা হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ সালের ৪৩ নং আইন এর সরকারী গেজেট সপ্তম অধ্যায় ৪৫/৪৬/৪৭/৪৮/ এ নমুনা সংগ্রহ ও খাদ্যবস্তু পরীক্ষার কথা বলা হলেও কর্তৃপক্ষ তা আমলে না নিয়ে শুধুমাত্র আন্দাজ করে জরিমানা করছে। যে দেশে খাদ্য শিল্প আন্তর্জাতিক মানে হবে না সে দেশ উন্নতির শিখরে পৌঁছায়তে পারবে না। একটি মাত্র সংস্থার মাধ্যমে রেস্তোরাগুলিকে মনিটরিং করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। ল্যাব টেস্ট এর মাধ্যমে খাবার দূষিত নিশ্চিত করে জরিমানা করতে হবে। এছাড়া প্রশিক্ষণ ব্যতিত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে নিরাপদ খাবার নিশ্চিত করা সম্ভব নয় এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মতবিনিময় সভা

১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ