পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী বিএসএফের একজন প্রধান কনস্টেবল বিজয় ভান সিংয়ের (৫১) মৃত্যু ঘটনায় প্রভাবশালী ইংরেজি দ্য টেলিগ্রাফ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, শুক্রবার বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ঢাকায় বলেছেন, দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে এবং এ বিষয়টি আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা হয়েছে। কিন্তু বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ভারতে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে বিএসএফ। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে দেখা দেয় উত্তেজনা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বিব্রত ঢাকায় ক্ষমতাসীনরা।
এতে আরো বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার বিএসএফের প্রধান কনস্টেবল বিজয় ভান সিং’কে হত্যা করা হয়। আহত হন একজন কনস্টেবল। এ জন্য বিজিবিকে দায়ী করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, বাংলাদেশী জলসীমায় অবস্থান করা ভারতীয় একজন জেলেকে মুক্ত করতে গিয়েছিলেন বিএসএফের সদস্যরা। এ সময় তাদের ওপর গুলি ছুড়েছে বিজিবি। এতে নিহত হয়েছেন বিজয় ভান সিং। এ ঘটনায় উভয় দেশের দুই বাহিনীর মধ্যে সম্পর্ক অকস্মাৎ তিক্ত হয়ে ওঠে। এ দুটি বাহিনীর মধ্যে সব সময়ই একটি উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। টেলিগ্রাফ আরো লিখেছে, বিএসএফের বোটে গুলি করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ঢাকায় আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এটি একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। বিজিবি এবং বিএসএফের মধ্যে সম্পর্ক চমৎকার। আকস্মিক এই ঘটনায় আমরা সবাই শোকাহত।
টেলিগ্রাফ লিখেছে, ঢাকায় বাংলাদেশ সরকারের সূত্রগুলো বলেছেন, রাজশাহীর চারঘাট এলাকায় ওই গুলির ঘটনা ঘটে। এরপরই দুই দেশের সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। এ নিয়ে ঢাকায় ক্ষমতাসীনরা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েন। তারা সৃষ্ট উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করেন। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ভারতীয় জেলেকে উদ্ধারে যেসব বিএসএফ সদস্য গিয়েছিলেন তারা দৃশ্যত বাংলাদেশী জলসীমায় প্রবেশ করেছিলেন। বিএসএফ দাবি করছে, কোনো উস্কানি ছাড়াই বিজিবি সদস্যরা প্রকাশ্যে গুলি ছুড়েছে। অন্যদিকে বিএসএফ সদস্যরা আন্তর্জাতিক নৌসীমানা বিষয়ক কনভেনশন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ বিজিবির। একই সঙ্গে বিজিবির অীভিযোগ, আটক জেলেকে জোরপূর্বক নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন বিএসএফ সদস্যরা। তখনই তাদের দিকে গুলি ছোড়া হয়। এ নিয়ে দুই দেশের সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসেন এবং আলাদা আলাদা তদন্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
তবে মুর্শিদাবাদে পুলিশের সূত্রগুলো বলেছেন, বিএসএফের বামনাবাদ আউটপোস্টের ইনজার্চ কেসি মীনা জলাঙ্গি পুলিশ স্টেশনে বিজিবি সদস্যদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মুর্শিদাবাদ পুলিশের প্রধান মুকেশ বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি এবং এ মামলায় তদন্ত শুরু হয়েছে। মুর্শিদাবাদের সূত্রগুলো বলছেন, যদি বিএসএফ সদস্যরা সতর্কতা অবলম্বন করতেন তাহলে এই ট্রাজেডি এড়ানো সম্ভব হতো।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র বলেছেন, বাংলাদেশে এখন ইলিশ মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেখানে সরকার কমিটি গঠন করেছে। তাদের কাজই হলো ইলিশ শিকার বন্ধ করা। তাদের ঘেরাওয়ের মধ্যে পড়েন ভারতীয় জেলেরা। এ সময়ে দু’জন পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। তখন বিএসএফ জওয়ানরা এগিয়ে যান এবং প্রবেশ করেন বাংলাদেশে ওই জেলেকে ফেরত নিতে। তবে এই বক্তব্যকে প্রত্যাখ্যান করেছেন মুর্শিদাবাদ বিএসএফের একজন কর্মকর্তা। তিনি বলেন, এই দাবি মিথ্যা। আমাদের একজন সহকর্মী মারা যাওয়ার পর বাংলাদেশ সত্য লুকানোর চেষ্টা করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।