পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
বাজারে দেখা মিলছে শীতের সবজি। তারপরও চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে বিভিন্ন সবজি। অন্যদিকে বেড়েছে আলুর দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে আট টাকা পর্যন্ত। তবে পেঁয়াজ এখনো অপরাজিত। কোনো পরিকল্পনাই সফলতা মেলেনি পেঁয়াজে। তবে সপ্তাহের ব্যবধানে কিছু সবজির দাম কমেছে। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গোল আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫-২৮ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগেও ছিল ১৮-২০ টাকা। অর্থাৎ বাজার ভেদে সপ্তাহের ব্যবধানে গোল আলুর দাম কেজিতে বেড়েছে ৭-৮ টাকা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আলুর মজুদ শেষ হয়ে আসছে। ফলে কমছে সরবরাহ। এ কারণে আলুর দাম কিছুটা বেড়েছে। তবে শিগগিরই বাজারে নতুন আলু আসবে। আর তখন আবারও দাম কমবে। এদিকে সরবরাহ বাড়ায় শীতের আগাম সবজি শিমের দাম সপ্তাহের ব্যবধানে কিছুটা কমেছে। প্রতিকেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১২০-১৪০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে শিমের দাম কেজিতে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। শিমের পাশাপাশি কিছুটা দাম কমেছে কপির দাম। ছোট আকারের ফুলকপি মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ১৫-২৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ২০-৩০ টাকা পিস। আর গত সপ্তাহে ৩০-৪০ টাকা পিস বিক্রি হওয়া বাঁধাকপির দাম কমে ২০-৩০ টাকায় দাঁড়িয়েছে। তবে দাম অপরিবর্তিত রয়েছে মুলার দাম। আগের সপ্তাহের মতো মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি দরে।
অধিকাংশ শীতের আগাম সবজির দাম কমলেও কয়েক মাস ধরে চড়া দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো ও গাজরের দাম এখনো চড়াই রয়েছে। পাকা টমেটো আগের সপ্তাহের মতো প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৪০ টাকা। গাজর বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা। এর সঙ্গে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে লাউ, করলা, ঝিঙে, বরবটি, বেগুন, পটল, ঢেঁড়শ, উসি, মিষ্টি কুমড়া, ধুন্দুলসহ সব ধরনের সবজি। গত সপ্তাহের মতো ছোট আকারের লাউ বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা। করলা, বরবটি, বেগুন, চিচিংগা, ঝিঙা, ধুনদলের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৭০ টাকার মধ্যে। এ সবজিগুলোর দাম সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, আস্তে আস্তে শীতের আগাম সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। শিম, কপির দাম বেশ কমেছে। এখন যদি টানা বৃষ্টি বা বন্য না হয়, তাহলে কিছুদিনের মধ্যে সব ধরনের সবজির দাম কমে যাবে। এদিকে ভারতের রফতানি বন্ধ করার খবরে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম এখনো একশ টাকাতে রয়েছে। ভোক্তারা এক কেজি পেঁয়াজ কিনছেন ১০০ টাকায়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও এ নিয়ে চিন্তিত, কিন্তু উপায়হীন। তবে একের পর এক বৈঠক করে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়, যদিও এতে কোনো ফল পাওয়া যাচ্ছে না। অর্থাৎ পেঁয়াজ তার দামের ঝাঁজ নিয়ে নিজের জায়গাতেই আছে।
বাজার করতে আসা এক ক্রেতা বলেন, প্রতিনিয়তই কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়বে, এটা এখন নিয়মে পরিণত হয়েছে। তাই হঠাৎ কোনো কিছুর দাম বাড়লে কেউ আর উচ্চবাচ্য করে না। এই দেখেন ১০০ টাকা কেজি পেঁয়াজ কিনে খাচ্ছি। কেউ তো পেঁয়াজ কেনা বন্ধ করছে না। একাধিক সবজির কেজি ১০০ টাকা, তা নিয়েও দেখেন কারও কোনো আপত্তি নেই। আসলে সবকিছুই আমাদের সয়ে গেছে।
এদিকে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৪০-৩৫০ টাকা কেজি। এছাড়া তেলাপিয়া ১৩০-১৬০ টাকা, পাঙাস ১২০-১৫০ টাকা, শিং ৪০০-৬০০ টাকা, কাচকি ২৫০-৩৫০ টাকা, পাবদা ৪০০-৬০০ টাকা, ট্যাংরা ৫৫০-৭০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে প্রতিকেজি গরু ও মহিষের গোশত বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৫৭০ টাকা, খাসি ৭০০-৮০০ টাকা, ব্রয়লার ১৩৫-১৪০ টাকা, লাল লেয়ার ১৮০-২০০ টাকা, পাকিস্তানি কক ২৫০-২৭০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা ডজন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।