রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
পাবনার সুজানগর উপজেলা গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার মধ্যে একটি। এই উপজেলার সড়ক পথে সল্প সময়ে নাজিরপুর ফেরিঘাট পার হয়ে রাজবাড়িসহ দক্ষিণের এবং উত্তরের জেলায় জন সাধারণ চলাচল করেন। কিন্তু এই উপজেলা সদর ও অভ্যন্তরীণ সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এতে যানবাহনের পাশাপাশি জনসাধারণ সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
উপজেলা প্রকৌশল অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদর এবং ১০টি ইউনিয়নের অভ্যন্তরে দুই শতাধিক পাকা সড়ক রয়েছে। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের অর্থায়নে গত ১০/১২ বছর আগে এই সড়ক পাকা করা হয়। উপজেলা সদরের সড়ক, সুজানগর-আতাইকুলা রাস্তা সড়ক ও জনপথ বিভাগের। ইউনিয়নের গ্রামীণ জনপদের সড়কের মধ্যে নাজিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে ভাটিকয়া সড়ক, বোনকোলা হতে শ্রীপুর সড়ক, রাইপুর বাজার হতে বোনকোল বাজার সড়ক, শুটকার মোড় বাস স্ট্যান্ড এলাকা হতে শ্যামনগর সড়ক, নাজিরগঞ্জ বাজার হতে হাসামপুর সড়ক, মালিফা হতে নাজিরগঞ্জ বাজার সড়ক, সাগরকান্দী বাজার হতে বড়ুরিয়া ভায়া কামালপুর কালীঘর সড়ক, দুলাই চরগোবিন্দপুর বাজার হতে চরদুলাই বাজার সড়ক, ২৪ মাইল বাজার হতে আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদ সড়ক, ভাটপাড়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ হতে ভাটপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সড়ক এবং নাজিরগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড হতে নাজিরগঞ্জ ফেরিঘাট সড়ক গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। অপরদিকে, পাবনা থেকে বাঁধের উপর দিয়ে সুজানগর সড়ক। এই সড়ক পাবনা সওজ বিভাগের আওতাধীন। সুজনগরের রাস্তা-ঘাটের অবস্থা এমন হয়েছে যে, ‘ভাগের মা গঙ্গা পায় না।’
উপজেলার নাজিরগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান খান এবং ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, ১০/১২ বছর আগে পাকা করা ওই সকল সড়কের অধিকাংশ জায়গা থেকে কার্পেটিং উঠে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত, খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে। কোন কোন সড়কের ইট-শুরকি উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। অথচ সড়কগুলো দিয়ে উপজেলা সদর এলাকাসহ ১০টি ইউনিয়নের শত শত মানুষ বাস, মাইক্রোবাস, সিএনজি, ভটভটি এবং করিমনসহ বিভিন্ন যানবাহনযোগে জেলা ও উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করেন। রাস্তা-ঘাটের বেহাল দশায় সুজানগর পৌর মেয়র আব্দুল ওহাব ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
এলাকার কৃষকরা অভ্যন্তরীণ সড়ক ব্যবহার করে কৃষিপণ্য হাট-বাজারে নিয়ে যান। শিক্ষার্থীরাও সড়ক পথে স্থানীয় স্কুল-কলেজে যাতায়াত করে।
কিন্তু দীর্ঘদিন প্রতিটি সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়লেও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছেনা। মানুষজনকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম জানান, সকল সড়কের মধ্যে ৩২টি সড়ক অধিক গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। সড়ক সংষ্কার বিষয়ে কথা বলেছি, পাবনা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরন রায় জানিয়েছেন, সুজানগরে ২টি সড়কের কাজ চলছে। উপজেলা সদরের কাজ খুব শিগগিরই শুরু করা হবে। পাবনা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী কে. এম. বাদশা মিয়া জানান, গ্রামীণ জনপদে প্রায় ২ শত কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার কাজ বরাদ্দ পায়া গেলে শুরু করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।