Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

নদীভাঙনে বিলীনের পথে শ্রীপুর

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৮ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

 তেতুলিয়া-কালাবদ নদীর অব্যাহত ভাঙনে বিলীনের পথে বরিশালের মেহেদিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়ন। ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামটি ইতোমধ্যে পুরোপুরি নদীগর্ভে চলে গেছে। প্রতিদিনিই ইউনিয়নের কোন না কোন এলাকা নতুন করে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে।

পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক শামীম এমপি এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডের একাধিক কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও ভাঙনরোধে এখনো কোন পদক্ষেপ দৃশ্যমান নয় বলে ক্ষুদ্ধ ভাঙন কবলিত জনপদের সাধারণ জনগণ। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে শ্রীপুর ইউনিয়নের কয়েকশ’ বাসিন্দা গতকাল বরিশাল নগরীতে মানববন্ধন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি পেস করেছে।

খরস্রোতা তেতুলিয়া ও কালাবদর নদীর মাঝে দ্বীপের মতো একটি ইউনিয়ন শ্রীপুর। প্রায় ২০ হাজার মানুষের বসতি এই ইউনিয়নে। নদীভাঙনে এ পর্যন্ত ৫০০ বসতবাড়ি, শ্রীপুর বাজার, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি মহিলা মাদরাসা, একটি কওমি মাদরাসা এবং একটি দাখিল মাদরাসাসহ বিপুল ফসলি জমি নদীগর্ভে চলে গেছে। নদীভাঙন রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মো. লোকমান হোসেন জানান, প্রায় ৫ বছর যাবত শ্রীপুর ইউনিয়ন ভাঙছে। এ পর্যন্ত ৩ হাজার পরিবার গৃহহীন হয়েছে। সম্প্রতি নদীভাঙন আবারও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। ভাঙনরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার দাবিতে ২০১৭ সাল থেকে তারা ধারাবাহিকভাবে আন্দোলন করছেন বলে জানান লোকমান হোসেন। এ বছরের শুরুতে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম এমপি সরেজমিনে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনে যান। পাউবোর শীর্ষ পর্র্যায়ের কর্মকর্তারাও একাধিকবার গিয়েছেন। কিন্ত ভাঙনরোধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা এখনও নেয়া হয়নি।

শ্রীপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ জানান, শ্রীপুর গ্রাম নিয়ে গঠিত ২ নম্বর ওয়ার্ডটির এখন আর অস্তিত্ব নেই। বিলীন হওয়ার পথে বাহেরচর গ্রাম। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী পরিদর্শন করে যাওয়ার পর ভাঙনরোধে পাউবোর ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সেটি কবে অনুমোদন হয়ে বাস্তবে কাজ শুরু হবে তা বলতে পারছেন না কেউ। অবিলম্বে ভাঙন রোধে নদীতে ব্লক ফেলার কাজ শুরুর দাবি ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার জনগণের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ