Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লোহাগাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ

স্কুল ভবন তাজ উদ্দীন, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) থেকে | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০১ এএম

: লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ার তেওয়ারিখিলে বুড়ি পুকুর পাড় সংলগ্ন এলাকায় ১৯৫০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় তেওয়ারিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টিতে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে ২৩৭ জন ও শিক্ষক আছে ৫ জন। দুই শিফটে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান করা হয়।

১৯৭১ সালের দিকে পাকা ভবন পায় বিদ্যালয়টি। তবে বর্তমানে ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। মাঝে মাঝে ছাদের প্লাস্টার ঝরে পড়ে। কোথাও কোথাও প্লাস্টার উঠে গিয়ে রড দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। ফলে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ভিজে যায়। পাশেই রয়েছে তিন কক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি একতলা ভবন। তবে ওই ভবনে যেতে আলাদা কোন পথ নেই। বাধ্য হয়ে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পুরাতন ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবনের নিচ দিয়েই যেতে হয়।

এক ছাত্রের অভিভাবক নুরুন নবী জানান, স্কুলের পড়াশুনা নিয়ে আমরা সন্তুষ্ট। ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবনটি ভেঙে ফেলা দরকার। পুকুর পাড় দিন দিন ভেঙে স্কুলের সামনের উঠান ছোট হয়ে আসছে। স্কুলের সামনে পুকুর পাড়ে কোন নিরাপত্তা দেওয়াল বা বেষ্টনী না থাকায় শিশুদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় থাকি।

প্রধানশিক্ষক নুরুল আমিন জানান, নতুন ভবনের ৩টি কক্ষে ক্লাস চলে। কক্ষ সঙ্কটের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস করতে হয় সিঁড়িঘরে। তাছাড়া বাধ্য হয়ে পুরাতন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে এখন ৫ম শ্রেণির পরীক্ষা নিতে হচ্ছে।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আবিদ হোছাইন মানু প্রকাশ মানু কনট্রাকটর জানান, পুরাতন ভবনটি খুবই ঝুঁকিপ‚র্ণ। যেকোন সময় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোন কাজ হয়নি।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, ঝুঁকিপ‚র্ণ স্কুল ভবনটিতে কোন ক্লাস না করার জন্য ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে বলে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সমগ্র উপজেলায় যে কয়টা ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবণ রয়েছে তা চিহ্নিত করার উদ্যেগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে মৌখিকভাবে তেওয়ারিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপ‚র্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌছিফ আহমেদ জানান, এ সর্ম্পকে আগে জানা ছিল না। এখন জানলাম। ঝুঁকিপ‚র্ণ ভবনটি শীঘ্রই ভেঙে ফেলার জন্য দ্রæত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ