বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ডাক্তারের অভাবে মানবেতর জীবন যাপন করছে দিনাজপুর জেলা কারাগারের আসামীরা। এই কারাগারে সাজা প্রাপ্ত ও বিচারাধীন অবস্থায় আসামী রয়েছে প্রায় ১২’শর বেশী। নিয়ম অনুযায়ী সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি মাসে একদিনের জন্য কারা হাসপাতালে যাওয়ার কথা থাকলেও শেষ তিনি কবে গিয়েছেন বলতে কেউই। তার অবর্তমানে সদ্য পাশকৃত একজন প্যারামেডিক্স চিকিৎসক যেনতেনভাবে আসামীদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে।
জানা যায়, কারা হাসপাতালের দুর্নীতি অনেকটাই ওপেন সিক্রেট। ২৭শ’ টাকা দিলেই সুস্থ যে কোন কয়েদী ঠাই পেয়ে যেতো হাসপাতালে। ফলে অসুস্থ আসামীরা হাতে হ্যান্ডকাপ আর পায়ে বেড়ী লাগিয়ে হলেও জীবন রক্ষার্থে বাহিরের হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হচ্ছে। গত সেপ্টেম্বরে কারাগারে নতুন সুপার যোগদান করেই সি-িকেট ভেঙ্গে আসামীদের মধ্যে কিছুটা স্বস্থি ফিরে আসে। তবে চিকিৎসক না থাকায় কারা হাসপাতালে ঠাই পেয়েও নিরাপদ বোধ করছে না অসুস্থ আসামীরা।
জামিনে মুক্তি পাওয়া আসামী ও ভিতরে আটক থাকা আসামীর স্বজনদের কাছ থেকে অভিযোগে জানা গেছে ডাক্তারের ভূমিকায় থাকা প্যারামেডিক চিকিৎসক রোগ নির্ণয় দূরের কথা অনেক সময় ঔষধের নামও ঠিকমত বলতে পারে না। দীর্ঘদিন ধরে হাসপাতালে কাজ করার সুবাধে সাজা প্রাপ্ত দু থেকে তিন আসামীই মূলত চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে আহত হয়ে কারাগারে যাওয়া আসামী অথবা কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়া আসামীরা পড়ছে মৃত্যু ঝুকিতে। ফলে জীবন বাঁচাতে আসামীর স্বজনেরা বাহিরের ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ঔষধ কিনে কারাগারে পাঠিয়ে স্বজনের জীবন রক্ষার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
তবে কারা হাসপাতালে স্থান পেতে অসুস্থতার প্রয়োজন হয় না নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা দিলেই হাসপাতালে ঠাই হয়ে যেতো। চিকিৎসা সেবা না দিয়ে হাজার হাজার টাকার মূল্যমানের ঔষধ-ইনসুলিন ইত্যাদি মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে কারা হাসপাতালের আলমারিতে অকেজো হয়ে পরে থাকার নজির রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।