বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেছারাবাদ উপজেলার দৈহারী এ.কে. ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার হালদারকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে স্কুল থেকে বের করে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত সোমবার সকালে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে যাওয়ার পর ম্যানেজিং কমিটির বিদ্যুৎসাহী সদস্য ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে তার সাঙ্গপাঙ্গরা এ ঘটনা ঘটায়। পরে পুলিশ বিদ্যালয়ে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
প্রধান শিক্ষক রনজিত কুমার হালদার অভিযোগ করেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর নুরুল ইসলামের নেতৃত্বে ২০/২৫ জন বহিরাগত তার অফিসে ডুকে তাকে গালাগালি শুরু করেন। এক পর্যায়ে হুমকি ধামকি দিয়ে তাদের কথিত মতে বিদ্যালয়ের গচ্ছিত চার লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা এক মাসের মধ্যে নুরুল ইসলামের হাতে তুলে দিতে হবে বলে একটি কাগজে লিখে দিতে বাধ্য করেন। পুজোর ছুটি শেষে সোমবার প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ে গেলে প্রভাবশালী নুরুল ইসলাম ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা রনজিত কুমার হালদারকে তাদের বিরুদ্ধে করা অভিযোগ প্রত্যাহার করার জন্য চাপ সৃস্টি করেন। কথা চালাচালির এক পর্যায় নুরুল ইসলাম প্রধান শিক্ষককে অফিস থেকে ঠেলতে ঠেলতে রাস্তায় বের করে দেয় বলে তিনি অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রধান শিক্ষককে তার অফিসে বসিয়ে দেন এবং ম্যানেজিং কমিটির সভা ডেকে বিরোধ মীমাংসার পরামর্শ দেয়। ধাক্কা দিয়ে অথবা খারাপ ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষককে বের করে দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন সদস্য নুরুল ইসলাম। নুরুল ইসলাম বলেন, দফতরি নিয়োগের আশ্বাস দিয়ে সুমন হালদার নামে এক জনের কাছ থেকে প্রধান শিক্ষক দুই বছর আগে আড়াই লাখ টাকা নিয়ে তাকে চাকরি দিচ্ছে না। এমনকি টাকাও ফেরত দিচ্ছেন না। প্রধান শিক্ষকের দেয়া অভিযোগের তদন্ত করা কর্মকর্তার ভাষ্যমতে, কাগজে টাকার অংক লিখে স্বাক্ষর নেয়ার ঘটনা ঘটেছে। দফতরি নিয়োগের নামে বড় অংকের টাকা লেনদেনের বিরোধ নিয়ে বিদ্যালয়ে একের পর এক ঘটনা ঘটছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।