পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আদালতের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন ক্যাসিনো সম্রাট দীর্ঘ ৪৫ মিনিট। গা বেয়ে ঘাম ঝরছিল। সেখানেই তাকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দেন। শুনানির মাঝেই একবার নিজের আইনজীবী এবং বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে। এজাহারে বলা হয়েছে, কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা থেকে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করা হয়।
মাদক ও অস্ত্র আইনের পৃথক দুই মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া সম্রাটের সহযোগী ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের বহিস্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক আরমানকেও ৫ দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন সম্রাটের অস্ত্র মামলায় ৫ দিন ও মাদক মামলায় ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গতকাল আদালত প্রাঙ্গণে সকাল থেকেই যুবলীগের হাজারো নেতাকর্মী জড়ো হয়। তারা সম্রাটের মুুক্তি চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। আদালতে পৃথক দুই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মাদক ও অস্ত্র মামলায় সম্রাটকে ২০ দিন ও মাদক মামলায় আরমানকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রিমান্ডের আবেদনে বলা হয়েছে, প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, আসামিরা ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবৈধ মাদক, জুয়া ও চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আরও মাদকদ্রব্য উদ্ধার ও মূল রহস্য উদঘাটনে আরমানের এবং অস্ত্র-গুলির রহস্য উদঘাটনে সম্রাটের রিমান্ড মঞ্জুরের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তারা। রিমান্ডের আবেদনে আরো বলা হয়েছে, সম্রাট ও আরমানের সহযোগী ও সুবিধাভোগিদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ এবং নাম-ঠিকানা যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। এর আগে গত ৭ অক্টোবর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন রমনা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম। একই দিনে মাদক আইনের মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন একই থানার পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মাহফুজুল হক ভূঞা। সম্রাটের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দুটি দায়ের করেন র্যাবের নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক। বর্তমানে এ সব মামলা তদন্ত করছে ডিবি। গতকাল রিমান্ডের আদেশের পর তাদের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল ও পল্টনসহ রাজধানীতে ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সম্রাটের। সবার কাছে তিনি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। পাশাপাশি, দলীয় পদের অপব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজি করতেন। কেউ চাঁদা দিতে না চাইলে তাকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করতো তার ক্যাডাররা। সম্রাটের কার্যালয় থেকে র্যাব অবৈধ অস্ত্র, মাদকসহ নির্যাতন করার ইলেকট্রিক শকড মেশিন উদ্ধার করে। মাদক মামলায় সম্রাটের পাশাপাশি তার সঙ্গে আটক আরমানকেও আসামি করা হয়েছে।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবের আড়ালে ক্যাসিনো ব্যবসা চালানোর অভিযোগে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় ওই দিনই গ্রেফতার করা হয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে, দুদিন পর গ্রেফতার করা হয় যুবলীগ নেতা ও ‘টেন্ডার কিং’খ্যাত জিকে শামীমকে। অভিযানের প্রথম দিন থেকেই আলোচনায় আসে ইসমাইল হোসনে চৌধুরী সম্রাটের নাম। এরপর গত ২৩ সেপ্টেম্বর অন্যদের সঙ্গে সম্রাটেরও দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার আদেশের পাশাপাশি ব্যাংক হিসাব তলব করা হয়। সম্রাটকে গ্রেফতার করা হবে কিনা, তা নিয়ে ধোঁয়াশা সৃষ্টি হওয়ার মধ্যেই ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গতকাল দুপুর ১২টা ৩৭ মিনিট। যুবলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটটকে আদালতে নেয়া হয়। তার পক্ষে আদালতের ভেতরে অবস্থান নেন আইনজীবী গাজী জিল্লুর রহমান, আব্দুল কাদেরসহ প্রায় ২৫ জন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে এ সময় রিমান্ড শুনানি করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান কৌঁসুলি আব্দুল্লাহ আবু, একই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সাজ্জাদুল হক শিহাব, তাপস পাল ও এপিপি আজাদ রহমান।
শুনানি শুরু হয় ১২ টা ৪৪ মিনিটে। শুরুতেই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা আদালতকে সম্রাটের দুই হাতের হ্যান্ডকাপ (হাতকড়া) খুলে দেয়ার আরজি জানান। তার এক আইনজীবী বলেন, হুজুর সম্রাট আপনার কাস্টডিতে। তিনি অসুস্থ। শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার হ্যান্ডকাপটি খুলে দেয়ার অনুমতি দিন। উত্তরে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন বলেন, আগে শুনানি শুরু করুন, এরপর দেখছি। প্রথমে শুনানি শুরু করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। তিনি আদালতকে শুধুমাত্র মামলার এজাহার পড়ে শোনান, এরপর রিমান্ড চান। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীর পর শুনানি শুরু করেন সম্রাটের আইনজীবীরা। তাদের একজন বলেন, সম্রাট যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি, তিনি নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখে পাশে দাঁড়িয়েছেন। হাজার হাজার নেতাকর্মী তাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসে। একটি কুচক্রি মহলের ষড়যন্ত্রে তাকে গ্রেফতার করে এখানে দাঁড় করানো হয়েছে। তাকে যেখান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে (কুমিল্লা) সেখানে কোনো অস্ত্র পাওয়া যায়নি। অথচ একটি কার্যালয় থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তার রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে, এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত?
তিনি আরও বলেন, সম্রাট ৬ অক্টোবর সকালে গ্রেফতার হয়েছিলেন কুমিল্লা থেকে। এ সংবাদ সবাই টিভিতে শুনেছে, দেখেছে। তাকে গ্রেফতারের ৬-৭ ঘণ্টা পর এমন একটি জায়গা থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে যেখানে প্রতিদিন হাজার হাজার যুবলীগ সমর্থক ভিড় করেন। এছাড়া র্যাব সব অভিযানে সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়, অথচ সেখানে কেন অভিযান শুরু হওয়ার ৪ ঘণ্টা পর সাংবাদিকদের ঢুকতে দিল, এ নিয়েও সন্দেহ আছে। তাই আমরা তার জামিনের আবেদন করছি।
সম্রাটের পক্ষের আরেক আইনজীবী বলেন, হুজুর, সম্রাটের ওপেন হার্ট সার্জারি হয়েছে, বাল্ব লাগানো। বাল্বের মেয়াদ শেষ, ২৪ অক্টোবর বাল্ব প্রতিস্থাপনের ডেট। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে তাকে জামিন দেয়া হোক। পুলিশ বলছে, অস্ত্র উদ্ধারের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য সম্রাটের রিমান্ড প্রয়োজন। অথচ যে অস্ত্র সম্রাটের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি সেটার রহস্য উদ্ঘাটনে তাকে কেন রিমান্ডের প্রয়োজন? আদালতের ভেতরেই এ সময় পেছন থেকে এক আইনজীবী চিৎকার করে বলেন, সম্রাট মারা গেলে দায় কে নেবে? আদালত নেবে? তার চিৎকারের পর শুরু হয় সম্রাটের সমর্থকদের হট্টগোল। তারা পেছন থেকে ‘ঠিক’ ‘ঠিক’ বলতে থাকেন।
তখন হাকিমের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা সম্রাটের আরেক আইনজীবী বলেন, আমরা চাই না সে মারা যাক। এখানে কোনো রাজনৈতিক বক্তব্য দেব না। আমরা শুধু তার জামিন চাই। মাদক মামলার শুনানিতে সম্রাটের আরেক আইনজীবী ও ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আফরোজা শাহনাজ পারভীন বলেন, যেদিন সম্রাটকে নিয়ে কাকরাইলের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়, তার একদিন আগে আমি ও আমার স্বামী ওই কার্যালয়ে যাই। সেখানে রান্নাবান্না হয়, আমরা একবেলা খাবার খাই। রান্নার জিনিসপত্র কার্যালয়ের একমাত্র ফ্রিজ থেকেই বের করা হয়েছিল। অথচ পরদিন অভিযানে দেখলাম একই ফ্রিজ থেকে তরকারি-মাছ-মাংসের জায়গায় মদের বোতল বের হয়েছে। এটা কীভাবে সম্ভব, একমাত্র র্যাবই বলতে পারবে।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদেশ লেখার জন্য পাঁচ মিনিট সময় নিয়ে খাস কামরায় চলে যান বিচারক। কিছুক্ষণের মধ্যেই আদালত পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা দুই মামলায় সম্রাট ও আরমানের রিমান্ড মঞ্জুরের আদেশ পড়ে শোনান। আদেশে রিমান্ডের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা মেনে সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবদের নির্দেশও দেওয়া হয়। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন আদেশে অস্ত্র মামলায় ৫দিন এবং মাদক মামলায় ৫দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
সম্রাটের বিরুদ্ধে দায়ের করা অস্ত্র মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্রাটকে জিজ্ঞাসাবাদে ও স্থানীয় তদন্তে জানা গেছে, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি হিসেবে ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে রাজধানীর বিভিন্ন ক্লাব পরিচালনা করতেন। তার নিয়ন্ত্রণে ক্লাবগুলোয় ক্যাসিনোসহ জুয়ার আসর বসতো। জুয়া খেলা থেকে তিনি বিপুল অর্থ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। তিনি নিজেও ক্যাসিনো খেলায় সিদ্ধহস্ত। প্রতিমাসে ক্যাসিনো খেলার জন্য তিনি সিঙ্গাপুর যেতেন। সবার কাছে তিনি ‘ক্যাসিনো সম্রাট’ হিসেবে পরিচিত। মতিঝিল, আরামবাগ, ফকিরাপুল, পল্টনসহ ১০টি ক্লাবে ক্যাসিনো কারবারের তিনি জড়িত ছিলেন। পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডও করতেন তিনি। তার রয়েছে বিশাল ক্যাডার বাহিনী। অবৈধ উপার্জন করে তিনি এই ক্যাডার বাহিনী চালাতেন। ভিন্নমত পোষণকারী কিংবা কেউ চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে সম্রাটের ক্যাডার বাহিনী তাদের ওপর ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন ও লাঠি দিয়ে নির্যাতন করতো। বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কয়েকটি মামলায় তিনি জেল হাজতেও ছিলেন। সম্রাটের অন্যতম সহযোগী কাউন্সিলর মমিনুল হক সাঈদ ও খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
মাদক ও অস্ত্র মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সম্রাটের দেখানো মতে তার কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ৭.৬৫ বোরের একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দুটি ইলেকট্রিক টর্চার মেশিন, দুটি লাঠি, ১৯ বোতল বিদেশি মদ, চার প্যাকেট তাস, ছয়টি নীল রঙের প্যাকেট থেকে এক হাজার ১৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, র্যাবের একটি দল জানতে পারে, চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে অন্যতম পলাতক আসামি ক্যাসিনো সম্রাট গ্রেফতারের ভয়ে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশী দেশ ভারতে যাওয়ার জন্য কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় লুকিয়ে আছেন। এই সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সরওয়ার আলম ও নিজাম উদ্দিন আহম্মেদের নেতৃত্বে চৌদ্দগ্রামে গিয়ে আলকরা গ্রামের কঞ্জুশ্রীপুর গ্রামের মনির চৌধুরীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে সম্রাট ও আরমানকে গ্রেফতার করা হয়। আরমানকে মাদক সেবনরত অবস্থায় পাওয়া যাওয়ায় তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে তাৎক্ষণিক ছয় মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়। আর সম্রাটের কাকরাইলের কার্যালয়ে অস্ট্রেলিয়ান ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় তাকে ছয় মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।
আদালতে যেমন ছিলেন সম্রাট
আদালতে আসার পর এজলাসের এক কোণে সহযোগী এনামুল হক আরমানের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছিলেন সম্রাট। সেখানে তাকে অনেকটা অসহায় মনে হচ্ছিল। দীর্ঘ ৪৫ মিনিট আদালতের ভেতরে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। গা বেয়ে ঘাম ঝরছিল তার। পাশ থেকে একজন তাকে টিস্যু পেপার এগিয়ে দেন। শুনানির মাঝেই একবার নিজের আইনজীবী এবং বেশ কয়েকবার রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে।
আদালত চত্বরে সমর্থকদের ভিড়
দুই মামলায় ২০ দিনের রিমান্ড শুনানির জন্য আদালতে আনা হবে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা যুবলীগের বহিস্কৃত সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে। মঙ্গলবার তাকে আদালতে আনার কথা। তাই সকাল থেকেই তার কর্মী ও সমর্থকরা আদালত চত্বরে ভিড় জমাচ্ছেন। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের রাস্তা সংলগ্ন গেট ও ভবনের মূল গেটে জটলা করে অবস্থান করছেন তারা। সম্রাটের আগমন উপলক্ষে এসেছেন জানালেও নেতাকর্মীরা নাম প্রকাশ করতে রাজি হননি। এদিকে সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। পুলিশ মূল গেটের সামনে থেকে তাদের সরিয়ে দিতে চাইলেও তারা সেখানেই অবস্থান করেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।