Inqilab Logo

শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪, ১৫ আষাঢ় ১৪৩১, ২২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

মিমের মিডিয়ার চেয়ে সংসারে মনোযোগী হওয়া বেশি দরকার -সিদ্দিক

বিনোদন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান ও মারিয়া মিম দ¤পতির মধ্যে ছাড়াছাড়ি হচ্ছে এমন সংবাদ এখন নাট্যাঙ্গণে। এ ছাড়াছাড়ির মূল কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, মারিয়া শো বিজে কাজ করতে চাইলেও সিদ্দিক তা করতে দিতে চাচ্ছেন না। এই দ্ব›েদ্বর কারণে প্রায় তিন মাস ধরে আলাদা থাকছেন তারা। মারিয়া মিম আর সিদ্দিকের সঙ্গে থাকতে চান না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। তিনি শিগগিরই সিদ্দিককে ডিভোর্স দিতে যাচ্ছেন বলেও নিশ্চিত করেছেন। এ ব্যাপারে সিদ্দিক বলেন, আমাদের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো গণমাধ্যমে দেখে আমি খুব অবাক হয়েছি। বিভিন্ন সংসারেই এমন অশান্তি হয় আবার মিটেও যায়। আমাদেরও তেমন হয়েছে। আমি জানি না কার প্ররোচণায় মিম গণমাধ্যমে এসব কথা বলছে। মিমের অভিযোগ সম্পর্কে সিদ্দিক বলেন, স্বামী হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে মিমের মিডিয়ায় কাজের চেয়ে সংসারে মনোযোগী হওয়াটা বেশি দরকার। আমার তো আর্থিক সংকট নেই যে আমার স্ত্রীকে কাজ করে সংসার চালাতে হবে। আমাদের স্বপ্ন একটাই সন্তানকে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমাদের ছেলের বয়স এখন ৬। এটা তার স্কুলে যাওয়ার বয়স। এই সময়ে আমরা দুজনই যদি মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ি তাহলে আমাদের একমাত্র ছেলের ভবিষ্যৎ নষ্ট হয়ে যাবে। এ কারণে মিমকে বলেছিলাম মিডিয়া থেকে দূরে থাকতে। এর বেশি কিছু না। ডিভোর্স দেওয়ার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি আমাদের মধ্যে। আমাদের স¤পর্কটা কেমন এটা মিডিয়ার সবাই জানে। সিদ্দিক বলেন, গত ঈদের সময় বাড়ি গিয়ে আর ফিরে আসেনি মিম। ডিভোর্স দেওয়ার মতো কিছু হলে তা দুই পরিবারের সবাই বসে যেটা সঠিক মনে হয় সেটাই করবে। তবে সে যদি আমাকে ডিভোর্স দেয় সেটা তার ব্যাপার। ডিভোর্স দিয়ে কাজ করুক। তার আগে কোনোভাবেই কাজ করতে পারবে না। তবে আমি চাই, তার সঙ্গে সংসার করতে। সবকিছুর আগে নিজের পরিবার। এখন হয়তো মিম সেটা বুঝতে পারছে না। আশা করি, একটা সময় বিষয়টি বুঝবে। সিদ্দিক জানান, স¤প্রতি একটি বিজ্ঞাপনে কাজ করা নিয়ে ঝামেলা হয় মিমের সাথে। নিষেধ করা সত্তে¡ও সে কাজটি করতে চায়। বিজ্ঞাপনটিতে তার কাজ করা হয়নি। এতেই হয়তো ক্ষোভে ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৪ মে মারিয়া মিমকে ভালোবেসে বিয়ে করেন সিদ্দিক। ২০১৩ সালে তারা আরশ হোসেন নামে এক পুত্রের বাবা মা হন। ছেলে এখন বাবার সাথেই থাকে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ