পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট ঃ ইতিহাসের বৃহত্তম পুঁজি অপসারণ প্রত্যক্ষ করছে চীন। উদীয়মান অন্যান্য দেশের জন্য খবরটি ভালো নয়। চীন থেকে পুঁজির বহিঃপ্রবাহের কারণে এশিয়ার দেশগুলো থেকেও আরো পুঁজি বেরিয়ে যেতে পারে। খবর ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। নাটকীয় সংখ্যা যাদের পছন্দ, দীর্ঘদিন ধরে তাদের কাছে নানা আকর্ষণ হাজির করেছে চীন। এবারে চীন থেকে পুঁজির বহিঃপ্রবাহ আরেকটি নাটকীয় সংখ্যা হাজির করেছে। ইতিহাসের বৃহত্তম পুঁজি অপসারণের সাক্ষী হচ্ছে দেশটি। গত বছর চীনের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ ৭০০ বিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে বেরিয়ে যাওয়া পুঁজির ঢল চীনা অর্থনীতির রূপান্তর প্রক্রিয়াকে জটিল করছে। পাশাপাশি অন্যান্য উদীয়মান দেশেও বিষয়টি সমস্যা সৃষ্টি করছে। কারণ, এসব দেশ থেকেও এরই মধ্যে পুঁজি সরতে শুরু করেছে। ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল ফিন্যান্সের চিফ ইকোনমিস্ট চার্লস কলিন্স বলেন, ২০১৫ সালে চীন থেকে যে পুঁজি সরে গেছে, তার মাত্রা অভূতপূর্ব। চীনা অর্থনীতির আকার ১০ ট্রিলিয়ন ডলার। দেশটির বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভ বিশাল। কাজেই যে পুঁজি সরেছে, তাতে দ্রæত কোনো বিপর্যয়ের আশঙ্কা নেই। তার পরও ঝুঁকি তো থেকেই যায়। বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চীন থেকে সরে যাওয়া ৭০০ বিলিয়ন ডলার পুঁজি জাপান, সুইজারল্যান্ড ও সৌদি আরব ছাড়া অন্য দেশগুলোর রিজার্ভের যোগফলের চেয়ে বেশি। চীনের বহিঃপ্রবাহ আকারে অন্যান্য দেশের চাইতে বহুগুণ বেশি। যদিও কিছু দেশের হারানো পুঁজি তাদের অর্থনীতির আকার অনুপাতে চীনের চেয়ে বেশি হতে পারে। সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হলো, চীন তাদের মুদ্রার অবনমন অব্যাহত রেখেছে। এমন সময়ে চীন ইউয়ানের অবমূল্যায়ন করছে, যখন বিনিয়োগকারীরা ঝুঁকির ব্যাপারে আগের চেয়ে আপসহীন অবস্থান নিচ্ছে। এদিকে মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভও ধীরে ধীরে সুদ হার বৃদ্ধি করছে। এ অবস্থায় ইউয়ানের দর যত নিচে নামবে, চীনের প্রতিবেশী এশীয় দেশগুলোর প্রতিযোগিতা সক্ষমতা তত কমবে। এতে উদীয়মান দেশগুলো থেকে আরো পুঁজি সরতে থাকবে। সব মিলিয়ে অনেক দেশের রিজার্ভে ধস নামবে, মূল্যস্ফীতি বাড়বে, বিনিয়োগের গতি কমবে এবং প্রবৃদ্ধি ব্যাহত হবে। অর্থনৈতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক অস্থিরতা অথবা বাইরের কোনো সংকটের ফলে বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ— পুঁজি অপসারণের কারণ হিসেবে অতীতে এসব বিষয়ই চিহ্নিত হয়েছে। চীনের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পরস্পর-সংশ্লিষ্ট কয়েকটি কারণে পুঁজি প্রত্যাহার হচ্ছে। স্থানীয় ও বিদেশী— সবাই বাজার থেকে নিজেদের অর্থ গুটিয়ে নিচ্ছে। চীনের অনেক নাগরিক সন্তানদের বিদেশে পড়ানোর স্বপ্ন দেখে থাকেন। এ কারণে দীর্ঘদিন ধরে সে দেশ থেকে পুঁজি বাইরে যাচ্ছে। অনেকে ভাবছেন চীনের বাইরে অর্থ নেয়া ভবিষ্যতে কঠিন হয়ে পড়বে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।