পুনরায় যমুনা ব্যাংকের এমডি হলেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ
যমুনা ব্যাংক লিমিটেড-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও হিসেবে আরও ৫ বছরের জন্য পুনরায় নিয়োগ পেয়েছেন মির্জা ইলিয়াছ উদ্দিন আহমেদ। বাংলাদেশ ব্যাংক তাকে পুনঃনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে।
কর্পোরেট রিপোর্ট : মাসব্যাপী আয়োজিত ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ২০১৬ শেষ হচ্ছে আজ। শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা সারতে মেলা প্রাঙ্গণে আসছেন অনেকেই। অন্যদিকে মেলা চলাকালে শেষ শুক্রবার হওয়ায় ঐদিন এখানে ভিড় ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেক বেশি। যেখানে ছিল না তিল ধারণের জায়গা। মেলা প্রাঙ্গণে প্রতিটি রাস্তা ভরে যায় মানুষে মানুষে। যেন গভীর সমুদ্রে একটি ¯্রােত আরেকটি ¯্রােতের সঙ্গে মিশে যাচ্ছে। সকাল থেকেই মানুষের ভিড় ছিল লক্ষণীয়। দুপুরের পরই মেলামাঠের চারপাশে বিভিন্ন রাস্তার ফুটপাথে চোখে পড়ে মানুষের দীর্ঘ হেঁটে চলা। ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ, বন্ধু-বান্ধব, ছেলে-মেয়ে সবারই গন্তব্য বাণিজ্যমেলা। মেলার আশপাশের রাস্তা প্রায় বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যার আগেই। এতে ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেল নিয়ে আসা ক্রেতারা চরম দুর্ভোগে পড়েন। তবে দুর্ভোগ শুধু তাদের নয়। যে কেউ মেলায় প্রবেশ করেই দুর্ভোগের সংজ্ঞা বুঝে নিয়েছেন ভালো করেই। বাণিজ্য মেলা ঘুরে বহু মানুষের কেনাকাটার দৃশ্যের পাশাপাশি ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে দেখা গেছে বিক্রেতাদের। মেলা কেন্দ্র করে চারপাশের রাস্তায়ও চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে পথচারী, গণপরিবহনের যাত্রীসহ সবাইকে। বিশেষ করে দুপুরের পর থেকে শ্যামলী থেকে শেরেবাংলা কলেজগেট হয়ে আসাদগেট ও মিরপুর থেকে আগারগাঁও হয়ে রোকেয়া সরণির মুখ পর্যন্ত প্রতিটি সড়কই স্থবির হয়ে পড়ে দর্শনার্থীদের ভিড়ে। মেলার প্রবেশপথ আর টিকিট কাউন্টারগুলোর সামনে দেখা গেছে দীর্ঘ লাইন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের সমাগম অনেক বেড়েছে। বাণিজ্যমেলা চলাকালীন শেষ সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় ক্রেতা-দর্শনার্থীদের এমন ভিড় নেমেছে বলে জানিয়েছেন সবাই। তবে এতটা চাপের কথা কেউই ভাবেননি বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা-দর্শনার্থী। বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এবার মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীর ভিড় অনেক বেশি। বিক্রিও বেড়েছে যেকোনো সময়ের তুলনায় অনেক। তবে মানুষ বেশি হওয়ায় বিক্রেতাদের হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারা। ১১ নম্বর প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়নে বিদেশী খাদ্যপণ্য বিক্রেতা আব্দুর রহিম জানান, এবারের মেলায় শুরু থেকেই দর্শনার্থীর ভিড় ছিল। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় ও শেষ মুহূর্ত ঘনিয়ে আসায় আখেরি ছাড়ের পসরা সাজিয়েছেন প্রায় সব ধরনের বিক্রেতারা। দেশী গৃহস্থালি ও রান্নার জিনিসপত্র ছাড়াও শেষ মুহূর্তে ক্রেতাদের সবচেয়ে বেশি টানছে বিদেশী পোশাক ও সাজসজ্জার প্যাভিলিয়নগুলো। সবচেয়ে বেশি ছাড় দেয়া হয়েছে পোশাক ও গৃহস্থালি সামগ্রীতে। আখেরি অফার নামে প্রায় সব স্টলেই রয়েছে বড় বড় পোস্টার। র্যাফেল ড্রয়ের মাধ্যমে পুরস্কার জয়ের সুযোগ ছাড়াও ফ্রি উপহার ও মূল্যছাড়ের মাধ্যমে ক্রেতা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নেমেছেন বিক্রেতারা। এসব সুযোগ-সুবিধা ক্রেতা ও দর্শকদের টানছে ভালো। বিভিন্ন দেশ থেকে নিয়ে আসা সবজি কাটার সামগ্রী, ছোট-বড় সব ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক পণ্য, ফার্নিচার, গৃহস্থালি সামগ্রী, পোশাকসহ নানা পণ্যের আকর্ষণীয় ছাড়ের ঘোষণা সংশ্লিষ্ট স্টলগুলোর ভিড় বাড়িয়েছে অনেক। মেলায় ছাড়ের পরিমাণও ছিল কম। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে এসেছি। তবে মানুষের ভিড়ের কারণে এখানে ভোগান্তি বেড়েছে অনেক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।