পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহিস্কৃত যুবলীগ নেতা জি কে শামীম এবং যুবলীগের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরী এ দুই আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
অন্যদিকে দেশে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগিকে ফের ৫দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর ইয়াছির আহসান চৌধুরীর আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন। অর্থ পাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের রিমান্ড চাওয়া হয়। রিমান্ডে যাওয়া সেলিম প্রধানের দুই সহযোগী হলেন- আক্তারুজ্জামান ও রোমান। সূত্র জান্য়া, দুই মামলায় ১৯ দিনের রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মানি লন্ডারিং মামলায় ৫দিনের রিমান্ড শেষে রোববার তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আবু সাঈদ তাকে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করেন। অন্যদিকে জি কে শামীমের জামিন আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। পরবর্তীতে শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।
সবশেষ গত ২ অক্টোবর অস্ত্র ও মানি লন্ডারিং আইনে গুলশান থানায় হওয়া দুই মামলায় শামীমের ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এর মধ্যে অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত ৭ অক্টোবর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই দিন অস্ত্র মামলায় তার আইনজীবীরা জামিন আবেদন করলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। এরপর মানি লন্ডারিং মামলায় তাকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। সেই রিমান্ড শেষে জি কে শামীমকে গতকাল আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২০ সেপ্টেম্বর কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার জি কে শামীম এবং তার সাত দেহরক্ষীকে আটক করে র্যাব। ওই অভিযানে এক কোটি ৮০ লাখ নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়। এছাড়া প্রায় ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। যার মধ্যে তার মায়ের নামে ১৪০ কোটি ও ২৫ কোটি টাকা শামীমের নামে। একইসঙ্গে পাওয়া যায় মার্কিন ডলার, মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্র। পরদিন শামীম ও তার দেহরক্ষীদের গুলশান থানায় হস্তান্তর করে তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনে তিনটি মামলা দায়ের করে র্যাব। ওই দিন শামীমকে আদালতে হাজির করে অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরপর গত ২ অক্টোবর দ্বিতীয় দফায় দুই মামলায় তার ৯ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
অপরদিকে, মানিলন্ডারিং এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষে খালেদ ভূইয়াকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকেই গুলশানে খালেদের বাসা ঘিরে রাখে র্যাব। এ দিন সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে ৫৮২ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব। এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা ও চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলার জব্দ করা হয়।
সেলিম প্রধান ফের ৫ দিনের রিমান্ডে
দেশে অনলাইন ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান ও তার দুই সহযোগিকে ফের ৫দিন করে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গত ৬ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম খান এই তিনজনকে গ্রেফতার দেখানোসহ রিমান্ড আবেদন করেন। ওই দিন আদালত রিমান্ড শুনানির জন্য গতকাল দিন ধার্য করেন। সংশ্লিষ্ট থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা শেখ রকিবুর রহমান রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। সেলিম প্রধান ও রোমানের পক্ষে তাদের আইনজীবী ইয়াসিন জাহান (নিসান ভূঁইয়া) এবং আক্তারুজ্জামানের পক্ষে মো. নজরুল ইসলাম মামুন রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। প্রয়োজনে আসামিদের তারা জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের প্রার্থনা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের ৫দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন যা সাত কার্যদিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে। প্রসঙ্গত, ৩০ সেপ্টেম্বর ব্যাংককগামী একটি ফ্লাইট থেকে সেলিম প্রধানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে সেলিম প্রধানের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার গুলশানের কার্যালয় ও বনানীর বাসায় অভিযান চালান র্যাব সদস্যরা। এ অভিযানে ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, ২৯ লাখ টাকা, ২৩টি দেশের মোট ৭৭ লাখ সমমূল্যের বৈদেশিক মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, দুটি হরিণের চামড়া, তিনটি ব্যাংকের ৩২টি চেক ও অনলাইন গেমিং পরিচালনার একটি বড় সার্ভার জব্দ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।