পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, চাঞ্চল্যকর অপরাধগুলোর বিচার হচ্ছে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে। একন মানুষকে খুন করা যায় এক সেকেন্ডে। কিন্তু আইনি প্রক্রিয়ায় সেই খুনের সাজা দিতে একটি সময় লাগে। আবরার হত্যা মামলাকে যতটুকু অগ্রাধিকার দিয়ে শেষ করা উচিৎ ততোটুকুই অগ্রাধিকার দেবে সরকার।
কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার চায় না সমাজে এরকম অপরাধ সংঘটিত হোক। গতকাল রোববার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে জাতিসংঘ শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছর পূর্তি ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত শিশু সংলাপ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন । ‘চাইল্ড পার্লামেন্ট’র স্পিকার মারিয়াম আক্তার জিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব কামরুন নাহার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। আইনমন্ত্রী আরো বলেন, অত্যন্ত অল্প সময়ে আইনি সকল প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাজন হত্যা মামলার সাজা দেয়া হয়েছে। সুরাইয়া আক্তার রিশা হত্যা মামলার রায় হয়ে গেছে। আগামি ২৪ অক্টোবর নুসরাত হত্যা মামলার রায় হবে। কিছু দিনের মধ্যেই রমিজ উদ্দিন স্কুলের দুই শিক্ষার্থীকে বাস চাপায় হত্যা মামলার রায় হবে। এ ধরণের অপরাধগুলোকে সরকার অগ্রাধিকার দিয়ে বিচার করছে। আনিসুল হক বলেন, আবরার হত্যা হত্যাকান্ড অত্যন্ত মর্মান্তিক। আমাদের সমাজে এটা হওয়া উচিত নয় এবং এটা যাতে আর না হয় সেরকম বিচারিক ব্যবস্থা সরকার নেবে। আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কোন সহযোগিতা চাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে নিশ্চয়ই সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। সে যদি মনে করে যে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিরাপত্তা দরকার নিশ্চয়ই সরকার সেটা ভেবে দেখবে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বহুদিন আগে বুয়েটে একজন শিক্ষার্থীকে হত্যা করা হয়েছিল তার বিচার কিন্তু আজ পর্যন্ত হয়নি। সেটার দাবিও আপনারা তোলেন। সরকার সে বিচারও করবে।
এর আগে অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এ কথা সর্বজন স্বীকৃত যে শিশুরাই উন্নয়নের চাবিকাঠি, শিশুরাই জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। শিশুদের জীবনে ভালো একটি শুরু তাদের পরিণত বয়সে সমৃদ্ধি বয়ে আনে যার প্রভাব পড়ে পুরো জাতির ওপর। অর্থাৎ শিশুদেরকে সমতা এবং বৈষম্যহীন পরিবেশে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার ওপর নির্ভর করছে আমাদের সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।