পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া মুক্ত থাকলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতকে এক বিন্দু পানিও দিতে পারতেন না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার সাথে হাসপাতালে তার আত্মীয়-স্বজন দেখা করেছেন। তারা ফিরে এসে জানিয়েছেন, বেগম জিয়ার মুমূর্ষু অবস্থা। তার হাতের আঙুল ফুলে গেছে, পা ফুলে গেছে। সমস্ত শরীরে ব্যথা। এতোবার বলা হয়েছে, দেশনেত্রীর উন্নত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু কোন ব্যবস্থা করা হয়নি। অথচ সরকারের দল অনুগত, নতজানু ডাক্তাররা বলেছেন, তিনি ভালো আছেন সুস্থ্য আছেন। কিন্তু পরিবারের লোকদের মাধ্যমে জানছি তিনি অসুস্থ। অথচ সরকার তোয়াক্কা করছে না। সরকার তোয়াক্কা করবে কেন? দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে থাকলে শেখ হাসিনার জন্য লাভ। তিনি (প্রধানমন্ত্রী) তিস্তার পানি এক বালতি পানি আনতে পারেন না, কিন্তু ফেনী নদীর পানি দিয়ে আসেন। আজকে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে এক বিন্দু পানি দিতে পারতেন না। এজন্য খালেদা জিয়া কারাগারে।
শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এক জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যকাণ্ডের বিচার, দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বাতিল ও বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এই জনসভার আয়োজন করে বিএনপি।
রুহুল কবির রিজভী ভারতের সাথে করা সব চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, আজকে বাংলাদেশের উপকূলে ২০টি রাডার স্থাপন বসিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হবে। আমাদের সমুদ্র বঙ্গোপোসাগর, আমাদের পানির সীমানা সেখানে পর্যবেক্ষণ করবেন ভারতীয়রা। বাহ্! আর এই চুক্তি করলেন প্রধানমন্ত্রী। কি দেশপ্রেম? অবশ্য তার কাছে এমন চুক্তি আশা করা যায়। কারণ প্রধানমন্ত্রীর চোখে তো দেশপ্রেমিক অন্যজন। তার চোখে পদ্মাসেতুতে যারা দুর্নীতি করে তারা দেশপ্রেমিক। এই প্রধানমন্ত্রীর এধরণের চুক্তি করাটাই স্বাভাবিক।
আবরার হত্যার বিচার নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমি আবরার ফাহাদের মা, আমি এর বিচার করবো’। আমরা তো বিচার দেখেছি, দেখিনি? বিশ্বজিতের বিচার দেখেছি, বিএনপির উপজেলা চেয়ারম্যান নূর আহমেদ বাবুর বিচার দেখেছি। ইলিয়াস আলীর স্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘ইলিয়াস আলী গুম হয়েছে, এটা আমি দেখবো’। প্রধানমন্ত্রী এধরণের কথা সব সময় বলে এসেছেন। আপনারা দেখবেন, ৬ মাস থেকে ১ বছর পর আবরার হত্যার যারা আসামী তারা সবাই ছাড়া পাবে। জনগণের মধ্যে ধোয়াশা তৈরির জন্য এধরণের কথা প্রধানমন্ত্রী বলছেন।
ছাত্রলীগের কর্মকা- নিয়ে সমালোচনা করে ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ছাত্রলীগের এতো বড় অপরাধের (বুয়েটে আবরার হত্যা) পরদিন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগ ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করেছে। যাদের আত্মার মধ্যে শয়তানের আত্মা, এই আত্মা যতক্ষণ না দূরীভূত হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এই দেশে, ছাত্র সমাজে, ক্যাম্পাসে শান্তি ফিরে আসবে না। শান্তি ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব ছাত্রদলের। যারা ৮০ দশকে গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছে, বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরাচার এরশাদকে হটিয়ে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে। তাদের নেতৃত্বে আবারও দেশে গণতন্ত্র ফিরে আসবে। তা না হলের শেখ হাসিনার উন্নয়নের সোনার খনি থেকে জিকে শামীম, সম্রাট না হলে খালেদ চৌধুরীরা বের হতে থাকবে।
জনসভার জন্য পুলিশের কাছ থেকে বিএনপি কোন অনুমতি নেবে না মন্তব্য করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, পুলিশকে আমরা অবহিত করি, সভা-সমাবেশে সহযোগিতা করার জন্য। কিন্তু পুলিশ রাজনৈতিক দলের স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করবে এজন্যই কি স্বাধীনতা এনেছি, রক্ত দিয়েছি। বিএনপি স্বাধীনতার ঘোষকের দল, গণতন্ত্র যিনি বার বার ফিরিয়ে এনেছেন সেই নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দল। সেই দল তাদের কথা, তাদের অনুমতিতে জনসভা করবে এটা হতে পারে না।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর বিএনপির সভাপতি হাবীব উন নবী খান সোহেলের সভাপতিতে এবং মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও উত্তরের সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসানের পরিচালনায় জনসভায় বক্তব্য রাখেন, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, কেন্দ্রীয় নেতা ফজলুল হক মিলন, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, আজিজুল বারী হেলাল, আবদুস সালাম আজাদ, আমিরুল ইসলাম খান আলিম, অঙ্গসংগঠনের আফরোজা আব্বাস, সাইফুল আলম নিরব, শফিউল বারী বাবু, মুন্সি বজলুল বাসিত আনজু, সুলতান সালাহউদ্দিন টুকু, সাদেক আহমেদ খান, আবদুল কাদের ভূঁইয়া জুয়েল, মোরতাজুল করিম বাদরু, হাসান জাফির তুহিন, হেলেন জেরিন খান, ফজলুর রহমান খোকন, ইকবাল হোসেন শ্যামল।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।