Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বরিশালে মদ্যপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু

বরিশাল ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নগরীতে অতিরিক্ত মদ্যপানে তিন বন্ধুর মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হচ্ছে নগরীর দপ্তরখানা এলাকার বাসিন্দা জোসিস প্রকাশ রায়ের ছেলে সিদ্ধার্থ রায় মিঠু (৩২), একই এলাকার বাসিন্দা নরেন্দ্র নাথ কর্মকারের ছেলে বিকাশ চন্দ্র রায় (৩২) ও মহানগরীর বিমানবন্দর থানা এলাকার গণপাড়ার বাসিন্দা পরিমল চন্দ্র দাসের ছেলে রতন চন্দ্র দাস (২৫)।

অতিরিক্ত মদ্যপানে এ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিশ জানালেও এদের মধ্যে রতন দাস ও বিকাশ চন্দ্র দাসকে হৃদরোগ ও বমি সমস্যা উল্লেখ করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে সিদ্ধার্থ অ্যালকোহল পানে অসুস্থ হয়েছে বলে ভর্তি হয়।

কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মো. নুরুল ইসলাম বলেন, তিনজন অতিরিক্ত মদ্যপানে মৃত্যু হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে তিনটি লাশই তথ্য গোপন করে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসে সৎকারের চেষ্টা করা হয়েছে। তারা কোথায় কখন এবং কিভাবে মদ্যপান করলো সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।

নিহত সিদ্ধার্থ রায় মিঠুনের ভাই বিপ্লব চন্দ্র রায় বলেন, সিদ্ধার্থ হাটখোলা এলাকায় হোগলা ও সাজির ব্যবসা করে। শুনেছি দুর্গাপূজার বিজয়া দশমীর রাতে প্রতিমা বিসর্জনের পূর্বে দপ্তরখানায় বন্ধুরা মিলে চোলাই মদ পান করে। এতে তাদের মধ্যে তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে বিকাশ ও সিদ্ধার্থকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। কিন্তু অবস্থা বেগতিক হওয়ায় তাদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। অবশ্য রতন ওদের বন্ধু কিনা নিশ্চিত নন বিপ্লব।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিসি (দক্ষিণ) মোয়াজ্জেম হোসেন ভ‚ঁঞা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনটি লাশের মধ্যে দুটি কোতয়ালী থানার মধ্যে। অপরটি এয়ারপোর্ট থানা এলাকার। এরই মধ্যে কোতয়ালী থানা এলাকার দুটি লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শেবাচিম হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়া অপর লাশটির বিষয়ে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি জাহিদ বিন আলম জানান, রতনের লাশ বুধবার রাতেই তড়িঘড়ি করে সৎকার করেছে স্বজনরা। তবে হাসপাতাল থেকে দেয়া মৃত্যুর প্রমাণপত্র অনুযায়ী রতন বারবার বমি ও হৃদ যন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। উদ্ধার হওয়া অপর দুই লাশের সাথে রতনের লাশের কোন সম্পৃক্ততা রয়েছে কিনা সে বিষয়টি কোতয়ালী পুলিশ তদন্ত করে দেখছে। তাছাড়া ঘটনা যেহেতু কোতয়ালী থানা এলাকায় সেহেতু আইনি ব্যবস্থা নেয়া হলে তারাই নেবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ