পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশে চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের প্রথম দিকে বেশ সরব ছিলেন যুবলীগ চেয়ারম্যান ৭১ বছর বয়সী ওমর ফারুক চৌধুরী। ক্যাসিনো অভিযানে কার্যত তিনি চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন। পরে যুবলীগের উপর সারির বেশ কয়েকজন এ অভিযানে গ্রেফতার হলে তিনি একে দেখেছিলেন সংগঠনের ঢাকা মহানগরের নেতাদের বিরুদ্ধে ক্যাসিনো চালানোর অভিযোগ তোলার পেছনে ‘ষড়যন্ত্র’ হিসেবে।
অভিযানের কয়েকদিনের মধ্যে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট গ্রেফতারের পর ওমর ফারুক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। তার ব্যাংক হিসাবও তলব করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তার নামে থাকা সব হিসাবের লেনদেন তথ্য, বিবরণীসহ সব পাঠাতে বলা হয়। এমনকি তিনি যাতে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন সেজন্য সীমান্তে সতর্কতা জারি করা হয়।
যদিও ওমর ফারুক চৌধুরী ইতোমধ্যে দাবি করেছেন ‘এমন কোনো সংবাদ আমাকে জানানো হয়নি। আর আমি পালাতে যাব কেন? পালাবার তো কোনো কারণ নেই। আমি কোনো অপরাধ করিনি যে, আমাকে পালিয়ে যেতে হবে।’ রাজনীতি করতে গেলে ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে স্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি পালিয়ে যাবার লোক নই। আমি রাজনীতি করি। রাজনীতি করতে গেলে একটু আধটু ভুলভ্রান্তি থাকতেই পারে। তবে প্রায় ২১ দিন থেকে তাকে প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছে না। তিনি ধানমন্ডির বাসায় রয়েছেন বলে দলের নেতারা দাবি করছেন। ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠেয় কাউন্সিল উপলক্ষে গতকাল যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা ছিল সেখানে তাকে দেখা যায়নি।
যুবলীগের নেতাকর্মীরা বলছেন, রাজনীতি থেকে নিজেকে এক প্রকার গুটিয়ে নিয়েছেন যুবলীগ চেয়াম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী। সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর উত্তরায় সংগঠনের একটি ওয়ার্ড কমিটির সম্মেলনে তাকে দেখা গিয়েছিল। এরপর থেকে ২১ দিন ধরে তার দেখা পাচ্ছেন না নেতা-কর্মীরা। পার্টির বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও ধানমন্ডির কার্যালয় কোথাও তাকে দেখা যাচ্ছে না।
গত বুধবার যুবলীগের সম্মেলনের তারিখ ২৩ নভেম্বর চূড়ান্ত হওয়ার পর নেতা-কর্মীদের অনেকে ধারণা করেছিলেন ওমর ফারুক চৌধুরী সংগঠনের কার্যালয়ে আসবেন। তবে গত বৃহস্পতিবার দিনভর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অসংখ্য নেতা-কর্মী অপেক্ষা করেও তার দেখা পাননি। ফোনেও তাকে পাচ্ছেন না তারা। এমনকি গতকাল শুক্রবার প্রেসিডিয়াম সভায় তার সভাপতিত্ব করার কথা থাকলেও তিনি আসেননি। নেতারা জানান ওমর ফারুক চৌধুরীর অনুমতি নিয়েই প্রেসিডিয়াম সভা করা হয়েছে।
নভেম্বরে যুবলীগের সম্মেলন হবে কয়েকদিন থেকে এই খবর প্রচার হওয়ার পর থেকেই যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন নেতা-কর্মীরা ভিড় করছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুবলীগের বেশ কয়েকজন জানান, ব্যাংক হিসাব তলব ও অনুমতি ছাড়া বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আসার পর ওমর ফারুক চৌধুরী প্রকাশ্যে আসছেন না। তাছাড়া তার বয়স নিয়ে মিডিয়ায় খবর প্রচার হওয়ায় চেয়ারম্যান পদে তিনি থাকছেন না তা পরিষ্কার বুঝতে পারার অসহায়ত্ববোধ থেকেই নীরব রয়েছেন। ইসমাইল হোসেন সম্রাট গ্রেফতারের পর তার মধ্যে ভয় ঢুকে গেছে। গণমাধ্যম কর্মীরা প্রতিদিনই বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করেও ওমর ফারুক চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তার ঘরবন্দি হয়ে থাকাকে অনেকেই রহস্যজনক মনে করছেন। ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে তার প্রতিষ্ঠিত যুব গবেষণা কেন্দ্রের কার্যালয়েও তিনি বসছেন না। ধানমন্ডির ৮/এ সড়কে তার বাসায় গেলে নিরাপত্তারক্ষী জানান, তিনি বাসায় আছেন; ঘর থেকে বের হন না। তকে কারো সঙ্গে দেখা করবেন না। জানতে চাইলে যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ আতিয়ার রহমান দিপু বলেন, ওমর ফারুক চৌধুরী হয়তো অসুস্থ সে জন্য তিনি বের হচ্ছেন না।
এদিকে ২৩ নভেম্বর যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি কে হচ্ছেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। বেশ কয়েকজনের নাম আলোচনায় আসছে। সংগঠনের নেতারা বলছেন, কাউন্সিল আসুক তারপর বোঝা যাবে কারা নেতৃত্বে আসছেন। তবে গতকাল যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সভা শেষে আতিয়ার রহমান দিপু বলেন, যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদের বিষয়ে একমাত্র সিদ্ধান্ত রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার। যুবলীগের চেয়ারম্যানের পদ দেয়ার মালিক যিনি সেই শেখ হাসিনাই চেয়ারম্যান পদ ঠিক করবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।