Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দু’মাস বাড়ি ছাড়া শতাধিক পরিবার

স্টাফ রিপোর্টার, মাগুরা থেকে | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৯, ১২:০২ এএম

মাগুরা সদর উপজেলার সিংহডাঙ্গা গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার একটি হত্যাকান্ডের জেরে প্রায় দুই মাস বাড়ি ছাড়া। প্রতিপক্ষের ভয়ে বাড়ি ফিরতে না পারায় তারা এখন অনেকটাই ফেরারি জীবন যাপন করছেন। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এ হত্যাকান্ড সংঘঠিত হয়।

সরেজমিনে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, প্রায় শতাধিক বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট হয়েছে। অনেকের ইটের পাকা বাড়িও মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। ফলে প্রতিপক্ষের ভয়ে ক্ষতিগ্রস্থ এসব পরিবার এলাকায় ফিরে এসে বাড়িঘর নির্মাণসহ স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারছে না। কেবল প্রতিপক্ষই নয়, এলাকার অনেক নিরিহ মানুষের ঘরবাড়ি ভাঙচুর, গাছপালা লুটপাটের শিকার হয়ায় তাদের অবস্থাও একই।
কুদ্দুস খন্দকার, বাচ্চু মোল্যা, ছালেক বিশ্বাসসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, গ্রাম্য দলাদলির জের হিসেবে কবির হোসেন নিহত হয়। কিন্তু প্রতিপক্ষের উপর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে এভাবে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট হওয়ায় তারা এখন অসহায় জীবন যাপন করছেন। এদের অধিকাংশই আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি আবার কেউ শহরে বাসা ভাড়া করে জীবন যাপন করছেন।

বিশেষ করে বেশি সমস্যায় পড়েছে কৃষক ও দিন মজুররা। ঠিকমত কাজ করতে না পারায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে তারা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। এর থেকে রক্ষা পেতে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলো স্থানীয় বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক দলের নেতাদের সাথে যোগাযোগ করলেও তারা এর কোন সমাধান দিতে পারেনি। ফলে তারা প্রাণ ভয়ে নিজেদেরে বাড়ি-ঘরে ফিরতে পারছেন না।
প্রতিপক্ষের হাতে নিহত কবির হোসেনের স্ত্রী রুবিয়া বেগম জানিয়েছেন, আমার স্বামীকে যারা হত্যা করেছে আমি তাদের আইনের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।

উল্লেখ্য, মাগুরা সদর উপজেলার সিংহডাঙ্গা গ্রামে গত ১৪ আগস্ট বুধবার বিকালে সামাজিক প্রতিক্ষের সমর্থকদের হামলায় কবির হোসেন (৫৫) নামে স্থানীয় এক আ.লীগ কর্মী খুন হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয় আরো ১০ জন। নিহত কবির হোসেন পেশায় একজন কৃষক।
মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর এলাকায় ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিক প্রতিহত করে। সেখানে পুলিশের একটি অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছে। তবে কেউ প্রাণভয়ে বাইরে অবস্থান করলে তাদের গ্রামে ফিরলে পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম সহযোগিতা দেয়া হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ